কবিতার কালিমাটি ১৪১ |
ফেরা ফেরারি
(১)
মেশালেই তো হয় একেকটা দরজা
গান ফকির হতে থাকে
খুললে
আর ফোড়ন দেয়ার সময় মেঘপূর্ব আঁচ
না খুললেও
ফিরে আসা
হয়ত এই বাড়িটার স্পৃহা
টানল
একটাই ও
দরজা খুললেই
ফেরারি মুখ
ক্লান্ত
মেঘ নয়
খোসা
জড়িয়ে আছে
মুখেটুখে
নিঃশব্দ
ও
নীরবতার চেয়ে ভারী
ওভেন আর গ্যাস লাইটার
পাশাপাশি
একইভাবে
এখনো
(২)
জল নিয়েই মেঘে কি-রকম টানা বারান্দার ক্লিক
দুঃখ, সে তো জানলার
জল করে করে যে চোখ হয় চেরা-থ্রু
কী রকম যেন হয়
হতে থাকা শহর
চোখ
পাত্তা দেয়নি, ধরেও রাখেনি অতকিছু
বারান্দায় কিছু দুঃখ থাকে
উঠে এলে
রেশ থাকে বৃষ্টির
কয়েকটা টানা রিক্সায়
ঘাম’কে হারিয়ে দেয়া চ্ছাস
উ বাদ গেল
উট অত বৃষ্টি জানে না
কিছুই জানে না বলে বৃষ্টিই জিতল আবার
(৩)
চা-মাখা ভোরের দিকে কেৎলির গরম আপশোস আর তুমি সমস্ত
দিচ্ছিলে
ফু দিচ্ছিলে
চোখের পাতায় নখের পাটায় উসকে ওঠা ছন্নতা
না-পাক নয়
অতটা পাটকিলেও নয় যে মনে হবে
ফু দিচ্ছিলে
কেউ যেন দুঃখ না পায় আর, এই ভেবে...
(৪)
তুমি
আলোনিদানের কাঁখে আঁধারিয়া হল্ট
শব্দ হল তুমিতে
কার দুনিয়ালোটা কারই বা লভ-ইউ সাইন
লাভ নয়?
কার কাছে কাইঁকিচিরের আবেদন এত ময়ী
তুমি
না তোমার আবহ জুড়ে একটি বরষা শুধু
মেঘমর্মী
হল্ট শুনে থামল, তাকাল, বাজ ফেলল
চোখ এত স্পৃষ্ট ছিল না কখনো
তুমি শব্দটা আমি শব্দটায়
জল ঢালে
আলো মেশায়
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন