কবিতার কালিমাটি ১৪১ |
অন্যের শরীর ছুঁয়ে দ্বিধাহীন রং
(১)
তুমিও জানতে না কী অভিপ্রায়
খাঁচাবদ্ধ এক খেয়াল
খেয়াল = অভিসন্ধি
না খেয়াল < অভিসন্ধি
(?) চিহ্ন নয়
একটা আলোচনা + চা
ঢুলু তুস জাগানোর প্ররোচনায় ব্যস্থ মাতব্বর
দেখানো হলো মেঘের গোপন ডেরা
অভিযোগহীন চোখের ক্ষেত
নদীর খরস্রোত
বিস্ময়ের সূত্রে আরও এক বিস্ময়
ঘোলাটে পরাজয় = নিশ্চিত বিপক্ষ
পন্থা < অভিসন্ধি > খেয়াল
সুতরাং
মাথায় জল
বা দুধ
পাথরের কী আর আসে
(২)
নিলাম হতে গিয়ে দেখা
চারদিক ফাঁকা ঢোলের বাজনা
(১-১) =
শূন্য
অতএব
শূন্য = আরও শূন্য = দুইটি শূন্যস্থান
কীভাবে দখল নেওয়া যায় ভাবছেন
আলো একটু Dim হলে
এলোমেলো চুলের বৈচিত্র্যে
ভুলোমনের পাখি। অন্ধ-কারাগার
হৃদয়ের বর্ষা-ভেজা গন্ধের মাদক
মহুয়া ফুল তুলবে বলে
ধ্রুব সন্ধায় টুপটাপ
নদীর দুঃখ হ্যাং
রং-তুলির কোলাবরেশন
ব্রাইটনেস বাড়িয়ে দিচ্ছিল পতঙ্গের
(৩)
মাথা ঠোকার জন্যই
বাতির আগুনে বরফের শিং
খবরের বিন্দু বিন্দু জলকণা
শ্রীকৃষ্ণ জপছেন
অযথা মাথার-ঘাম কচু-পাতার নিশ্চিন্ত
নিষিদ্ধ বিশ্বাসের বীজে জন্ম নিচ্ছিল আবার
যদিও ফলের জটিল শরীরে ফাটল ঘনীভুত
ছায়ার নিচে অনর্থক
এবং শব্দের ধাতু
খুলে নিচ্ছিল সব নিষিদ্ধ নদী
(৪)
আয়নার ভেতর প্রতিষ্ঠিত
সুন্দর কাঠামোটি
যাপন করা অতোটাও সরল নয়
মনের জানালা খুলে বাইরেটা
বুঝে স্বচ্ছ মেঘ বুনছিল সময়
(৫)
একফালি চাঁদের ওষ্ঠে
ঠিকরে পড়ছিল রোদের সাঁতার
পিচকুড়ির ঢাল
Down শান্তিনিকেতন
Up নয় কেন
কেনর অথইয়ে ভাসে
নৌকোর লাল
গৃহস্থ পাঁচিল অন্তরঙ্গ চানঘর
চর্যাগীতির দৃশ্য শুনতে চায়
জ্বরের হেঁয়ালিতে
জমছিল বারকোডহীন ঘুমন্ত
আঙুল মৌনমুখর
অসার বিকেলের পাণ্ডুলিপি
আর
ত্রাণের উৎসে
ভেসে যাচ্ছিল সম্মোহিত ভবিষ্যৎ
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন