কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / ষষ্ঠ সংখ্যা / ১২৬

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / ষষ্ঠ সংখ্যা / ১২৬

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫

ঝুমা চট্টোপাধ্যায়

 

সমকালীন ছোটগল্প


হা-ভাতের দিনগুলোতে

 

১৯৫৮ সালের মাঝামাঝি এক দুপুরে নিকুঞ্জ দোতলা ঘরের জানালার সামনে দাঁড়িয়েছিল বললাম- এরপর দুটো আলাদা পাত্রে যদি ডিমের হলুদ আর সাদাটা ফ্যাটাতে পারো ভালো এবং ঘি অল্পই নিও কারণ ভাজতে বেশি লাগে না, শুধু পাত্রটা ভীষণ গরম হওয়া জরুরী যাতে ছ্যাঁৎ শব্দটা ওঠে তারপর হয়ে গেলে কাঁচের প্লেটে সাজিয়ে নিয়ে একটু একটু করে খাওয়া

বলছিলাম, লেখার মতই ভাজাভুজিতে অন্যরকম ফর্ম টেনে আনা যায় বিশেষ ডিম বা পাঁঠার মাংস হলেআদা গরম মশলা হিং জোগাড় না হলেও ভাবনা নেই, তেজপাতার সুগন্ধ সে অভাবটা পুরে দিতে পারে,  কিন্তু কে রাঁধছে সেটা ম্যাটার করছেনিকুঞ্জদের দোতলা ঘরের জানালার বাইরে অনেকদূরে দিগন্তের গায়ে ঘন গাছগাছালির অস্পষ্টতা, অনেকদূরে দাঁড়িয়ে থাকা বন্ধুর মত বা যে আর বন্ধু নেই সেইরকম আমি এরকম অনেক উদাহরণ অনেক রকমভাবে দিতে পারি কিন্তু নিকুঞ্জ উদাহরণ চায় না চায় যে আমি সব সময় সত্যিটা বলি অথচ ওর সত্যি আমার সত্যি দুয়ের মাঝে যে ফাঁক, তা কখনও সত্যি কখনও বা মিথ্যে মিথ্যে কারণ আমি সত্যি কথাই বলি, বেশিরভাগ, আর সত্যি কারণ নিকুঞ্জ মিথ্যে ভালোবাসে না লেখাতেও না, আনন্দেও না মিথ্যে আনন্দ নিকুঞ্জ মনে রাখে না দোতলার খোলা জানালা আমারও ছিল, তবু বলল- সন্দীপন তুমি ঠিক জানো না,আসলে তুমি বোঝো না সুনীল তোমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চায় দ্যাখাতে চায় তুমি না, - শ্রেষ্ঠ সব সময় খেয়াল করে দেখবে ওর লেখাতে তোমার কথা থাকেই না, কিন্তু সবার লেখাতে থাকবেই এটা একটা মিথ্যে

১৯৫৮ সালে আমার কোনো বই হয়নি, লেখাও হয়নি কোনো শান্তিনিকেতনের সাহিত্যমেলা, কৃ্ত্তিবাস বা সমসাময়িক লেখক বন্ধু বা বন্ধুদের উদাহরণ ছিল আমার কাছে , সম্পূর্ণত এরকম- সমস্ত মূল্যবোধই  তৈরী হচ্ছে একটা নিজস্ব মঙ্গলচিন্তাকে ঘিরে কিন্তু কেন? এতে কি ওড়ার আকাশটা শুরুতেই সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে না? বাকি আকাশটা কি তাহলে...?

নিকুঞ্জর কাঁধে হাত রেখে বললাম- দিগন্ত থেকে আমাদের আরো দূরে যাওয়া উচিত, বুঝলে? শিল্পী আর বৈজ্ঞানিক এটাই করবে

গাছেদের দল থেকে আলাদা না হয়েই নিকুঞ্জ বলল- কমলবাবুর সঙ্গে আজই কি সাক্ষাতের দিন?

কেন বলো দেখি?

নামানে আমি মনে করি লার্জার দ্যান লাইফের পাঠ, যা ওনার কাছে শিখছি সবাই, তা এবার শেষ হওয়া দরকার সন্ধেবেলা আজ অন্যত্র যাব ভেবেছি

অন্যত্র যাবে? কোথায়?

খানিকটা চাল যোগাড় না করলে আর চলছে না সন্দীপন! তুমি বড়লোকের ছেলে, সমস্যা তোমার নেই, কিন্তু আমার আছে শিল্পী বা বৈজ্ঞানিক আমার সমস্যার সমাধান করতে পারবে না

নিকুঞ্জ জানালার গরাদ ধরে বাইরে চেয়ে,ফরোয়ার্ড করে বললাম- এই ভুলটা কোরোনা তোমার লেখার হাত ভালোআজ চলো,মিনিবুক করবার কথা ভাবছি, সবার হাতে হাতে ঘুরবে ভাল ক্রেজ হবেকমল বাবুর গোলাপসুন্দরী থেকে উদ্ধৃতি টেনে বলা যায়…, গোলাপসুন্দরীর সমাস-ব্যঞ্জনা মূখ্যত ফরাসী টেরজা-রিমাকেও ছাপিয়ে ছুপিয়ে আরো আরো উঁচুতেকিংবা আলো ক্রমে আসিতেছে

সন্দীপন এইটা তোমরা কি করতে চাইছ, ভাল বোঝা যায় না সুনীলও বলছে ওরও মিনিবুক থাকবে

জাস্ট! জাস্ট! ওটাই দিগন্ত ছাড়িয়ে!

না! আমাকে দয়া করে অনুরোধ কোরো না সন্দীপন ! কাপড়টা আমার দেখেছ, কেমন ছিঁড়ে গিয়েছে! পরে কোথাও আর যাওয়া চলে না!

জানলা ছেড়ে নিকুঞ্জ আমার কাছে দুপুর শেষ কড়ি বরগার মাঝ বরাবর ফাটা ভাঙা ইঁট সুড়কির খোদল থেকে কালচে রঙ লোহার শিক ঝুলছে, তাতে দোল খাচ্ছে পায়রারা, নিকুঞ্জদের

চলো এখন কোথায় যেতে চাও?

তুমি বাড়ি যাবে না সন্দীপন? বাড়ি যাও

তুমি তো জান নিকুঞ্জ মদ্যপান না করলে আমার আর কোথাও থিতু হতে মন চায় না!

ওহ্! আস্তে বলো! গুরুজনরা রয়েছেন বাড়িতে মদ্যপানের কথা শুনতে পেলে আমায় ভুল বুঝতে পারেনকিন্তু তোমার তো জাতীয় দোষ আগে ছিল না! বামুনের ছেলে তুমি!

হুম্ উলট পুরাণ আমার সবসময় কমলবাবু ভাবতে বলেছেন যে এরকম!

একদমই না! এসব তোমাকে সুনীল শেখাচ্ছে আজকাল তোষামুদেদের বিশেষ পছন্দ করে আমি জানি, তুমি এখন ওর একজন হৃদয় হর্ষের ভাড়াটে মদ গাঁজা শ্মশান ভ্রমণ মুরগী-মাংস কিচ্ছু বাদ রাখলে না তোমরাএদিকে বলছ এটাই নাকি লার্জার দ্যান লাইফ! আমার এতে বিশ্বাস নেই নারকেল ডাঙার ওধারে এক আড়তে চাল দিচ্ছে শুনলাম, তা আমি এখন ওদিকেই যাব গত দুই দিন বাড়িতে সব আলু পুড়িয়ে খেয়ে আছে

মাই ডিয়ার ফেলো, চলো আমার সঙ্গে যেতে যেতে কথা বলা যাবে…, পরে একটু  পানীয় নেব আমরা, যতটা খারাপ ভাবছ তা নয়, স্ট্রেঞ্জ বাট ইন্টারেস্টিং দ্যাট ইস মাই ফেবারিট পয়জন!

নাহ্! তুমি তোমার মত যাও!

অসম্ভব নিকুঞ্জ! চালের মত এই সংঘর্ষও জরুরী একবেলা না খেয়ে থাকা একবেলা শুধু মুদু নিঃশ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া একই সুতরাং

একটা কথা বলব সন্দীপন! মূল ব্যাপার হল তোমাদের বাংলা ভিন্ন হয়ে গেছে বাক্যে ক্রিয়াপদের ব্যবহার নেই, শব্দে বিভক্তি রাখছ না, সর্বনামকে অস্বীকার করছ- ভাবছ নতুনতর বাংলার জন্ম দিচ্ছ! কিন্তু আমি বলছি তোমাদের সৃষ্ট বাংলা টিকবে না কোনও মহৎ ভাব এতে প্রকাশ করা যাবে না আর এখন আমাদের ঘরে অন্ন নাই পরিধানে ভদ্রস্থ পোষাক নাই, সারা কোলকাতাতেই এই অবস্থা! তোমার কর্তব্য প্রথমে পরিবারকে সাহায্য করা, তারপরে অন্য কথা, তা তোমরা যে হঠাৎ বাংলা লাভার হয়ে উঠবে হাউ  কুড আই নো দ্যাট? রিমেমবার, ইন আওয়ার কলেজ উই অল ইউজড টু হেট দিস ল্যাঙ্গুয়জ!

হ্যাঁ সেই আটান্ন-ঊনষাটে শুধু কোলকাতা কেন গোটা বাংলা্র কোথথাও একটুও খাবার মত চাল ছিল না ডাল ছিল না শাক সবজি বলতে শাপলা বা কমল-কাকড়ি মশলা বলতে সবুজ কিছু কাঁচা লঙ্কা, সহজলভ্য আলু চিবিয়েই উঠতি মধ্যবিত্তর (আসলে চূড়ান্ত নিম্নবিত্ত) দিনাতিপাতের ব্যবস্থা করে বাহুতে ভর দিয়ে মাথাটুকু সোজা রাখার আকুল প্রচেষ্টা, এমনকি আমাদের আহিরীটোলার জ্যাঠামশাই-এর শাসন কেন্দ্রিক বাড়িতেও কোনও কোনোদিন সন্ধেবেলায় যখন দেওয়াল গিরি আর রেড়ির তেলের আলোয় আঁধারিতে বসে আমার প্রোফাউন্ড ভুলগুলো মনে মনে ঝালিয়ে নিতাম , আমার সম সাময়িক বন্ধু সম্পর্কে অতীতেও বহুবার এমন করেছি, আর একদিকে রাজ্য সরকার অন্যদিকে জমির মালিক ধনী কৃষক মিল মালিক মজুদকারী সবার সঙ্গে সবার সম্পর্ক  এবং সে সম্পর্কের দ্বারা সৃষ্ট ভাতের অভাব।  হ্যাঁ সেই তেরোই জুলাই এ…, তার আগে মার্চের এগারতে কোলকাতা শহরে বড় একটা কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিল… তা সত্ত্বেও।

সেদিনই নিকুঞ্জকে বলে দিয়েছিলাম- নিকুঞ্জ ইতিহাসের শেষে আর ইতিহাস নেই সুনীল শক্তি তারাপদ শরৎ দীপক সমীর প্রকৃতপক্ষে স্বাধীন প্রসঙ্গহীন ঠিক কবিতায় যেমন- বা চিত্র শিল্পে চূড়ান্ত বিমূর্ততায় পৌঁছেই আবার যাত্রা শুরু করে উল্টোদিকে- ফিরে আসছে অবয়বে-oops!

Well, as long as you caught me at it

You may as well come in-

You are of course in a poem…

(simmerman)

কবিতা, ভালো মন্দেই মিশে থাকে, আমার কাছে, হয়ত আমার নিজের কাছে, একাকীর কাছে কবিতা একমাত্রই অবলম্বন, গদ্যও নিজেকে নিজের মত করে দেখার চমৎকার এক জলজ উদারণ- শক্তি লিখে দিয়েছিল সেই বাজারে অনেক পরে লিখেছিল অবশ্য, এখন কেউ হয়ত ভাবতে পারে হবে অন্য কিছু তবে এসব সাত কাহন কেন? কেনই বা চাল ছেড়ে খাদ্য আন্দোলন ঘটল তা বাদ দিয়ে এসব কেন? মিছিলে তেরো বছরের কিশোরের পুলিশের গুলিতে মরে যাওয়া, চাল চাই- বলে ধর্মতলা চৌরঙ্গী এলাকায় মিছিল বেরলো ধোঁয়া ওগলানো উনুন শেওলা-কলতলা, খাটা পায়খানা সুদ্ধ সেই মিছিলেই যদিও হাইড্রোজেন বোমা বানানোর কাজ থেমে থাকেনি সুনীল শুধু ফিসফিসিয়ে বলে গিয়েছিল খুব শিগ্গিরি  আইওয়া চলে যাচ্ছে, আপনার কাছে সেইসব ড্যাশ কমা সেমিকোলন বৃত্ত আশা করি…’’ হ্যাঁ যা বলছিলাম এবং যেভাবে বলছিলাম, কারণ লেখা আংশিক হতে বাধ্য কারণ লেখা অন্য জিনিষ কথকতার মত স্বয়ং সম্পূর্ণ নয় গরম ভাত বা নিছক ভুতের গল্প লিখেছিল সুনীল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, কবিতা থেকে বাইরে বেরিয়ে এসেই লিখেছিল হাভাতেদের ভাতের গল্প গদ্য নয় কিন্তু মশলা তার সংগ্রহ করা ছিল আগে থাকতেই সেই যখন শ্মশান ঘাটে কলকে টানতাম সবাই ডোমে মড়ার মাথার খুলি ফাটাত, ফট ফট শব্দ উঠত, চিতা ঘি কপ্পূর অগুরু মাংস পোড়া গন্ধ সব মিলে মিশে একাকার শক্তির মাথায় বাইরন শেক্সপীয়র কিলবিল করে উঠত সেই গন্ধে, শরতের হাতে কলকে সমীর নতনেত্র, মাটির ভাঁড়ে আমাদের মদ্যপান আর কখনো ফিনকি জ্যোৎস্না ফুটলে হল্লা মেল্লা আমাদের পারমাণবিক বিস্ফোরণ লাঠিপেটায় চিতার মড়ার খুলি ফেটে নরম ঘিলু ছিটকে পড়ত, আমি ভেবে নিয়েছিলাম আমারই হয়ত দেরি হয়ে গেল, পেরেক ছিল জুতোয়, হবেও বা

কি পাগলামি করিস শরৎ? সকলের সামনে লজ্জায় ফেলিস

সুনীলের হাতে কলকে, চোখে লাল জলের দাগ মদের ভাঁড় নিয়ে শরৎ সুনীলের সঙ্গে টানাটানি করে করতেই পারে মধ্যরাতের শ্মশান আমাদের বিশ্রামের সময় রক্ত ঝরছে চতুর্দিকে, ছাদ নেই অন্ন নিশ্চিত নয়- আর এমনি করেই শুদ্ধতা তার সংজ্ঞা পালটাচ্ছে,  আশ্রয় কই?

বাহুতে তার ভর দিয়ে বসে শক্তি সুনীল তুই আমাদের মধ্যে জুপিটার, ভয় পাস না! টাকাটা খুবই জরুরী বটে কিন্তু ডিসগাস্টিং বাংলা কবিতাকে ফের বাঁচিয়ে তুলতে এইটাই রাস্তা, নে আর এক ভাঁড় সব দুঃখ্খু চলে যাবে

এ্যই নিকুঞ্জ অত দূরে বসে আছিস যে? তোর ভাঁড় কৈ?

বাতাস বইছে এলোমেলো আর নেশা, তৃষ্ণার্তের মত এগিয়ে এলো সুনীল, সন্দীপন আপনার ভাঁড় কোথায় রাখলেন? দেখুন বুক ভেঙে কান্না এই…, রবীন্দ্র এসে দেখে যান আমি কিরকম করে বেঁচে! ওষ্ঠাধর সঙ্কুচিত করে নিজের পুরনো কবিতা পড়ারি রি  করে শরীর! নিকুঞ্জ তুমি কি ভাবলে? একদম কড়কড়ে নতুন কিছু ভেবেছ যদি তো শোনাও সবাই শুনছে… ‘’ বলে আর এক আকণ্ঠ চুমুক

এরপর ঊনিশশো একষট্টি আমার প্রথম বই ক্রীতদাস ক্রীতদাসী শক্তি তাকিয়ে থাকল কিছুক্ষণ পান্ডুলিপি নয়, আমার দিকে সুনীল তখনও নয় শুধু আনন্দবাজারে বাংলা সাহিত্য যদি কোনোদিন সত্যভাষী হয় তবে আজ থেকে তিরিশ  কি পঞ্চাশ বছর পর এই কৃশ্কায় গল্প গ্রন্থটির আর একবার খোঁজ পড়বে, সমালোচনায় লিখল এইই আর কোথাও কোনো স্বীকৃতি নেই

নিকুঞ্জ বলেছিল- টু ফলো পোয়েট্রী ওয়ান মাস্ট লীভ বোথ পারেন্টমহান পোপের বাণী, সেই ১৯৬১ তেই বলেছিল- চেতলাগঞ্জে আজ অনেকগুলো চালের নৌকা ভিড়েছে দেখলুম, এবার চালের দর একটু নামবে মনে হচ্ছে-

তখন সেই পায়রা-দোলা দুপুর নিকুঞ্জর ভাইকে চ্যাংদোলা করে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হল ওর আড়ালেই, গঙ্গার শ্মশান-ঘাটায় অপুষ্টিতে ভুগে অনাহারে মৃত্যু বুদ্ধদেব বসু লিখেছিলেন- সাহিত্য চর্চা, সঙ্গ নিঃসঙ্গতায় রবীন্দ্রনাথ, কত সাল মনে নেই পাতলা বই দুই মলাটের, হলুদ বিবর্ণ ছেঁড়া কোথাও কোথাও দোতলা ঘরের তাকে থাকত বরাবর নিকুঞ্জ আমি বহুবার কাড়াকাড়ি করেছি বইটা তুলে এনেছিলাম আমার ফতুয়ার পকেটে, কে আর ও বই পড়বে এ বাড়িতে এরপর, ভাই এর পরদিন নিকুঞ্জকেও যখন তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল

(এই কাহিনী পুরোপুরি কাল্পনিক, তবে চরিত্রগুলি স্বনামখ্যাত ও বিতর্কিতও বটে। বাস্তবের সঙ্গে এ কাহিনীর মিল খুঁজে পাওয়া গেলে আমার কোনো দায় নেই, জানিয়ে দিলাম।)

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন