কবিতার কালিমাটি ১৪১ |
শবরী ধ্যানে
(১)
অভিসারের প্রস্তাব নিয়ে এলে একটা পাখি নদীর ধারে
গলে গলে হেমলক জ্যোৎস্না হয়ে যায়।
আমি তার পালকের মায়ায় পড়েছি একটু একটু...
(২)
অন্য এক আগুনের তাপ জমাট প্রতিহিংসায়। পাপ নামছে পৃথিবীর যত
সান্ধ্য চুলের অহংকারে। এইখানে একদিন
ডুবে যায়
শবরী ধ্যানে,
দোয়া-দুরুদ-
প্রার্থনায়-ক্যারলে
ভেঙে ভেঙে
আসছে
ওঁ শান্তির ওম
সিঁদুরসর্বস্ব মেঘের আলতা-কুমকুম
উলুধ্বনি আজ
সবই প্রভুর
নামে।
ভূমিকা
যাপনের অভিমুখ অর্হতা
ফেরানোর নিবিড় ইচ্ছায়
সাবালক দিনগুলি উঠে দাঁড়ায় সমস্ত ক্ষয়-ক্ষতি লুকিয়ে
আমার কোনো ভূমিকা নেই নাকি? তবুও করছে দাবি
অদৃশ্য ভেতরের তরঙ্গ, নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে অন্য কেউ
উত্তরের অফুরান হাওয়া শারদীয় সুখাবেশে , মোহিত
আমিও
বুঝি- গোপন দুঃখে ঈশ্বর ও আমার বসার জায়গাটা পাশাপাশি!
শীতনামা
শীতঘুমে থাকা গাছেরা
নিরিবিলি সমাজ গড়েছে এখন
পাথরকুচিতে লেগে আছে মৃত জল, শিশির, নিথর শামুকের
কঙ্কাল…
পৌষের কাঙাল ভোরের সূর্য দাগ দাগ নামতে থাকে রক্তিম
শিখরে
তবে কি শীতের রঙ লাল?
রঙিন লাগছে সবই
আগুন জ্বালাতেই বরফ-ঢাকা নিয়ন চারপাশ থেকে হুল
ফোটায়, অতটা তীক্ষ্ণও নয়।
ইথারের পাখি
শূন্য চিৎকারে ইথারের পাখি
আকাশের গোল বন্ধ দরজায় ঠোকর খেয়ে ফিরে আসে
সেই ডাক
নিশিতে প্যাঁচার ডাক ঝেড়ে ফেলছে নিমগাছ, খুব নাকি
অমঙ্গল হয়।
সত্যি?
পাহাড়ের উজানে বুনো শেয়াল ডেকে উঠল এগারো বার
আর কারা যেন চেঁচিয়ে উঠল ‘শুভ’ ‘শুভ’’
ফসলের ভালো দাম পাওয়া যাবে এইবার!
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন