সমকালীন ছোটগল্প |
হারমোনিয়াম ও হারমোনি অফ
লাইফ
রেল কোয়ার্টারে টালির ছাদে শুয়েছিলাম।
এটা আমাদের বৈকালিক শাহি বিরাম যাপন। আমাদের মানে আমার আর গীতার। বিরাম যাপনটা শাহি
হলেও কিন্তু আরামদায়ক নয়। ছাদের লাল টালিগুলো অসমান এবং ঢালু। অসমান বলেই তার ওপরে
শোয়া যায়। সমান হলে পিছলে নেমে যেতাম। তবে অসমান বলে শোয়াটা কখনো আরামদায়ক হতো
না। রোজই স্কুল থেকে ফিরে কিছুক্ষণ সময় এখানে কাটাতাম। তখন শব্দটা জানতাম না। জানলে
বলতাম relax করছি। ছাদে ওঠার সিঁড়ি তো নেই। উঠি পেয়ারা গাছ বেয়ে। গাছটা আমাদের কোয়ার্টারের
ভেতরেই। পেছনের উঠোনে। গাছটার গড়ন এমন যে অনায়াসে সেটা বেয়ে ছাদে ওঠা যায়। এমনকি
গীতারও উঠতে কোনো অসুবিধা হয় না। গীতা রোজই একটু পরে আসে। এসেই আমার পাশে শুয়ে পড়ে।
মাঝে মধ্যে আচার টাচার আনে। দুজনে মিলে খাই আর আকাশ দেখি। আকাশ দেখার দুটো পার্ট আছে।
একটা পাখির পার্ট আর একটা তারার পার্ট। পাখির পার্টে আমরা আকাশের গায়ে পাখিদের ওড়া
দেখি। আর তারার পার্টে আমরা আকাশের গায়ে তারাদের ফুটে ওঠা দেখি। দুটোই ইন্টেরেস্টিং।
রিলাক্সিং না জানলেও ইন্টেরেস্টিং এই শব্দটা কিন্তু আমরা জানতাম।
হঠাৎ একদিন গীতা এসে জানালো।
- বুঝলি। সোমবার থেকে আমার ছাদে
আসা বন্ধ।
- কেন রে?
- এই সময় আমাকে গান শিখতে যেতে
হবে।
- গান শিখতে!?
- আর বলিস না এই সময় আমাকে সুনন্দা
মাসীর কাছে গান শিখতে যেতে হবে।
- ওমা গান শিখবি কেন?
- বিয়ের জন্য।
- বিয়ের জন্য গান লাগে? এই যে
ঘরে ঘরে আমার মা, তোর মা, আরো যত কাকিমারা আছে, সবারই তো বিয়ে হয়েছে। তাদের কজন গান
গায়? বিয়ের জন্য তুই বরং রান্না শেখ।
- সেটাও শিখি তো। এই তো আজকেই সকালে
ডালে সম্বার দিলাম।
- ওই ডালে সম্বার দিতে দিতেই বাকি
রান্নাগুলোও শিখে যাবি। আর ওতেই হবে। গান-টান শেখা লাগবে না। আর আলাদা করে গান শেখার
আছে কি? আমরা কি গান গাই না? স্কুলে রোজ প্রেয়ার হচ্ছে না। তারপর ২৬ শে জানুয়ারী
জনগণমন?
গীতা করুণ স্বরে বলেছিলো--
- কিন্তু মামা যে বলছে শিখতেই হবে।
গান জানা না থাকলে আজকাল মেয়েদের বিয়েই হয় না।
- দাঁড়া দাঁড়া দাঁড়া। এই মামাটা
আবার কে? তোর তো কোনো মামা ছিল না! হঠাৎ মামা কোথা থেকে এসে গেলো?
- এসে গেলো টাটানগর রেল স্টেশন
থেকে। বাসুমামা। মায়ের সিনিয়ার।
গীতাদের জীবনে একটা হাদসার ঘটনা আছে। গীতার বাবা রেলের টিটি ছিলেন। তিনি চলন্ত ট্রেনে প্যাসেন্জারদের টিকিট চেক করতেন। তাঁর অন ডিউটি এক্সিডেন্টে মৃত্যু হয়েছিলো। ছুটন্ত ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে গেছিলেন তিনি। অনেকের ধারণা বদমায়েশ লোকেরা তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিলো। তবে তারা কারা? সেটা জানা যায়নি। অন ডিউটি মৃত্যু হলে কমপেনসেশন ভালো পাওয়া যায়। গীতারাও পেয়েছিলো। গীতার মায়ের চাকরিও হয়েছিলো। TC র চাকরি। TC মানে টিকিট কলেক্টর। ট্রেনে নয় স্টেশনের গেটে ট্রেন থেকে নামা প্যাসেন্জারদের টিকিট চেক করা। ওতে কোনো রিস্ক নেই। ভালো চাকরি। আর সবচেয়ে বড়ো কথা ওদের আর কোয়ার্টার ছাড়তে হয়নি।
বাবার জন্য শোক ছিলো। কিন্তু বাবাকে
হারিয়ে গীতারা অথৈ জলে পড়ে যায়নি। তারপর শোকের তীব্রতাও ক্রমে ক্রমে কমে এসেছিলো।
যেমন জীবনের নিয়ম আর কি। একটা বাঁধা ছন্দে গীতাদের জীবন চলছিলো। তার মধ্যে এই বৈকালিক
গানের গুঁতো। কিন্তু করার কিছুই নেই মানতেই হবে।
দুদিন পরেই বিষণ্ণ গীতা আনন্দে
লাফাতে লাফাতে এসে নিচে থেকেই চেঁচাতে লাগলো।
- এই নেমে আয় ছাদ থেকে। দেখবি
চল আমাদের বাড়ি। আমার জন্যে কি এনেছে বাসুমামা।
গেলাম, দেখলাম। সেটা একটা নতুন
হারমোনিয়াম।
গীতা বলেছিলো পাকড়াশী হারমোনিয়াম।
এটাই হারমোনিয়ামদের মধ্যে সেরা।
নিজস্ব হারমোনিয়াম হতেই গীতা মহানন্দে
গানে যুক্ত হয়ে গেলো। স্কুল থেকে ফিরে স্কুলড্রেস ছেড়ে ভালো জামা পরে ও গান শিখতে
যেত।
পাড়ার সুনন্দামাসী অবিবাহিতা।
তিনি তার দাদার কাছে থাকেন। তাদের কোয়ার্টারের সামনে একটা বেআইনি মাটির ঘর বানানো
ছিলো। সুনন্দামাসী সেই ঘরটাতেই তার ছাত্রীদের গান শেখাতেন। পাড়ায় এরকম গান শেখানোর
আরো কয়েকজন দিদিমনি ছিলো। এ ছাড়া সাইকেলে চেপে ভূতনাথ কাকুও আসতেন গান শেখাতে। তবে
তাঁর লেভেল ছিলো অনেকটাই উঁচু। তিনি অনেকের সাথে সাথে কয়েকজন গানের দিদিমনিদেরও গান
শেখাতেন। গান শেখা মানে তো শুধু গান শেখা নয়, সে জন্য পরে নেক রেয়াজও করতে হয়। গীতাকেও
সকাল সকাল উঠে রেয়াজ করতে হতো।
গীতাদের কোয়ার্টার আমাদের ব্লকেই।
আমাদের সাত নম্বর আর ওদের চার। গীতার রেওয়াজ শুরু হবার তিন নম্বর কোয়ার্টারের সাহাকাকিমা
খুশি হয়ে বলেছিলেন-
- মাইয়ডা গান ধরসে তো আমার একখান
লাভ হইসে। সকালে আমাগো চালে আর কাক পক্ষী বসে না।
সকালে চালে কাক না বসলে সাহা কাকিমার
কি লাভ কে জানে। তবে এটা যে গীতার গানের জন্য প্রশংসা বাক্য ছিলো না, সেটা বেশ বোঝা
গেছিল।
সাহাকাকিমা বাঙ্গাল কিন্তু সাহাকাকু ঘটি ছিলেন। তখনকার দিনে যখন দেখে শুনে বিয়ে হতো। তখন কিন্তু এরকমটা সহজে ঘটতো না। কি করে এরকম ঘটলো তা নিয়ে পাড়ায় গুজগুজ ফুসফুস চলতো। যাকগে মরুকগে। ওসব নিয়ে ভেবে আর কি হবে। আমার বিকেল আর সন্ধ্যা ধুসর করে দিয়েছে গীতার গান শেখা। আমি তাতেই পরেশান।
মা আমার বিষণ্ণতাটা টের পেয়ে বলেছিলে,
তুইও তো শেখাতে পারিস!
- আমি আবার কি শিখবো? গান?
তখন একটা অদ্ভুত ব্যাপার ছিলো।
ছেলেদের গান শিখতে দেখা যেতো না। বোধহয় ছেলেদের বিয়ের জন্য গান জানতে হয় না বলেই
তারা গান শিখতো না।
মা ঝামটে উঠেছিলো।
- কি বলছি, কি শুনছিস! শিখতে নয়
শেখাতে বলছি। মনীষার মা বলছিলো মনীষাকে আঁকা শেখাতে। তবে সেটা ওদের বাড়িতে গিয়ে শেখাতে হবে।
আমার তখন আকঁতে জানি বলে পাড়ায়
বেশ সুনাম। সেই সুনামটা আমি বেশ উপভোগ করি। তাই বলতেই রাজি হয়ে গেলাম।
মনীষাদের বাড়ি গিয়ে দেখি খাতা
পেন্সিল রং কোনো কিছুই নেই। এমনকি ছাত্রীটিও নেই। সে নাকি বন্ধুর বাড়ি গেছে পুতুল
খেলতে।
তাহলে? ফিরে যাবো?
- আরে না না। তোমার মাকে কিছু বোলো
না। আসলে মনীষা নয়, আঁকা শিখবো আমি।
এই ছাত্রী বদলে আমার কোনো আপত্তি
নেই। ছাত্রী হিসেবে মনীষার থেকে মনীষার মা অনেক বেটার। মনীষার তো সারা বছর নাক দিয়ে
জল পড়ে। হাত দিয়ে সেই জল নাক থেকে নিয়ে ও নিজের ফ্রকে মোছে। সেই মেয়েকে আঁকা শেখানো তো ঘেন্নার ব্যাপার। যতো
না আমার তার চেয়ে বেশি ঘেন্না হবে গীতার, যদি জানতে পারে।
আমি বল্লাম-
- ঠিক আছে কাকিমা। আপনি তবে ড্রইংখাতা,
পেন্সি্ল, ইরেজা্র, রং এসব কিনে রাখবেন। তারপর আমি শেখানো শুরু কোরবো।
- ওরে না না, ড্রইংখাতা নয়। আঁকা
তো হবে কাপড়ের উপর। আর রং নয় রঙিন সুতো। আমি তো কাপড়ের উপর রঙিন সুতো দিয়ে এম্ব্রোয়েডারি
কোরবো। অনেক দিনের ইচ্ছা আমার। কিন্তু আঁকতে পারি না বলে... এবার তুমি এঁকে দেবে। আমি
সেলাই কোরবো।
ও হরি। এই তবে ওনার আঁকা শেখা! দুচ্ছাই!
কিন্তু পড়ে পাওয়া এই চাকরিটা
ছাড়বো কি করে? বিনে মাইনের চাকরি কিন্তু এতে রিজাইন দেওয়ার প্রভিশন নেই। আমি ছোটো
ছোটো ফুল লতা পাতা আঁকতে লাগলাম রুমালে, ওড়নিতে। কাকিমা তাতেই খুব খুশি।
বললেন-
- আগে ছোটো ফুলটুল দিয়ে মক্সো
করি। তারপর বড় কাজ ধরবো। কুর্তি, টেবিল ক্লথ, বিছানার চাদর। অনেক প্ল্যান আছে আমার।
একদিন উনি আমায় ঘন নীল একটা ওড়নিতে
আঁকতে দিলেন।
আমি বল্লাম-
- এতে আঁকবো কি করে? কালো পেন্সিলের
দাগ তো নীলের ওপরে দেখা যাবে না!
- তবে?
- সাদা শিষের পেন্সিল পাওয়া যায়।
সেটা কিনতে হবে।
- কোথায় পাওয়া যায় ঐ সাদা পেন্সিল?
- বিষ্টুপুরে। আমার চেনা দোকান
আছে। ওখান থেকে আমি আঁকার জিনিস কিনি।
- ঠিক আছে। আমি পয়সা দেবো। তুমি
কিনে এনো।
কিনে এনেছিলাম। সাদা পেন্সিলের
শিষ খুব পলকা হয়। অল্পেই ভেঙ্গে যায়। খুব সাবধানে সেই পেন্সিল ছুলতে হয়। আঁকার সময়েও
জোরে চাপ দেওয়া চলে না। আমি খুব সাবধানে পেন্সিল ছুলে নীল ওড়নিতে ছবি এঁকে দিয়েছিলাম।
ওদিকে গীতার গান জোরে-সোরে চলছে।
সরগম পেরিয়ে শুধু আ আ আ। তার পর ভজনের একটা লাইন। তারপর পুরো ভজন। এভাবে এগোচ্ছে। তবে খুবই শ্লথ গতিতে।
এরপর তো এলো তার পারফরম্যান্স ডে। খবর পেলাম গীতা সরস্বতী পূজার ফাংসানে গান গাইবে। একটু দেরি হয়ে গেছিলো। একটা প্যান্ডেলের ডেকোরেশনের কিছু কাজ বাকি ছিলো। সেটা কোনোমতে সেরে ছুটতে ছুটতে ফাংসানে এলাম। গান শুরু হয়েছে। কিন্তু মঞ্চে সুনন্দা মাসীকে দেখা গেলেও গীতাকে দেখছি না। অনেক খুঁজে অবশেষে দেখতে পেলাম। কোরাসের দলের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে। গানটাতে তাদের মানে গীতারও তেমন কোনো ভুমিকা নেই। তা না থাক। খোলা চুলে। শাড়ি পড়া গীতাকে লাগছিলো ফাইন। দেখাচ্ছিল অনেক বড়ো মেয়ের মতো।
গানের কি দরকার? এ মেয়েকে তো দেখেই
পছন্দ হয়ে যাবে সবার। "ঝট মঙ্গনি পট বিয়ে" হয়ে যাবে।
দেখলাম ফাংসানে মনীষার মাও এসেছেন।
গায়ে একটা শাল জড়িয়ে। তবে বারবার শালটাকে খুলতে হচ্ছে। লোকজনকে শালের উপরের সুচিকর্ম
দেখাচ্ছিলেন উনি। নিজের হাতে করা রঙিন সুতোর এম্ব্রয়েডারির কাজ। তবে একটিবারের জন্যেও
আঁকিয়ের নামটা বলছেন না। ফুল লতাপাতার ডিজাইনটা তো আমারই আঁকা। অতি সাবধানে সাদা রং-এর
পেন্সিল দিয়ে। তবে সেই সাদা দাগ এখন আর দেখা যাচ্ছে না। ঢাকা পড়ে গেছে রঙিন সুতোর ফোঁড়ের নিচে। যেমন আমি নিজে ঢাকা পড়ে
গেছি।
কদিন পরে হঠাৎ গীতা এলো। ছাদেও উঠলো। যে কোনো কারণে হোক ওর মন ভালো নেই। বললো-
- আমার মা কালকে কাকুর কাছে আসবে।
একটা খুব দরকারী কাজে।
পরদিনই কাকিমা এলেন। শুনলাম বাবাকে
বলছেন পি এফ লোনের ব্যবস্থা করে দিতে। বাবা জানিয়েছিলেন এখনো উনার পাঁচ বছর চাকরি
হয়নি। তাই পি এফ লোন এখনই পাবেন না।
কাকিমা মুখ কালো করে চলে গেছিলেন।
কিন্তু হঠাৎ করে উনার টাকার দরকার
পড়লো কেন?
সেটাও জানা গেলো। গীতাই জানালো।
- পাকড়াশী হারমোনিয়ামটা বাসুমামা
কলকাতা থেকে আনিয়ে দিয়েছিলেন। দামটা উনিই দিয়েছিলেন। কথা ছিলো মাসে মাসে অল্প অল্প
করে শোধ করা হবে। এখন ওনার অনেক দূরের স্টেশনে বদলি হয়ে গেছে। তাই উনি এখন বাকি টাকাটা
একসাথে ফেরত চাইছেন।
গীতা আরো বলেছিল-
- আপন মামা তো আর নয়। এতো টাকা
কেন ছাড়বে?
আমি আর কি সান্ত্বনা দেবো। মন খারাপ
আমারও হয়ে গেছিল। আর তার ছায়া পড়েছিল আমার মুখে। মনীষার মা সেটা দেখে বুঝতে পেরেছিলেন।
আর আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন-
- কি হলো স্যার?
মাঝে মধ্যে উনি ঠাট্টা করে আমাকে
স্যার বলতেন।
আমি গীতাদের সমস্যাটার কথা বলেছিলাম।
শুনে ওনার চোখ দুটো চকচক করে উঠেছিল। উনি যেমন আমার মুখ দেখে বুঝেছিলেন, আমিও উনার
চোখ দেখে বুঝেছিলাম।
কিছু একটা ব্যাপার আছে।
উনি শুধু বলেছিলেন-
- এটাও আমার অনেকদিনের সাধ।
এরপর এক ঝটকায় অনেকগুলো সমস্যার সমাধান হয়ে গেছিল। গীতার মা টাকা পেয়ে গেছিলেন। সেই টাকা দিয়ে উনি বাসু মামার ধার শোধ করে দিয়েছিলেন। আমার আঁকার চাকরিটাও ঝপ করে চলে গেছিলো। মনীষার মা বলেছিলেন-
-আর আঁকা টাকা নয়। আমার অনেকদিনের
সাধ গান শিখি। নিজের একটা হারমনিয়াম হোক। সেটা বাজিয়ে আমি গান গাই।
গীতার হারমোনিয়ামটা নগদ টাকা দিয়ে
উনি কিনে নিয়েছিলেন। গীতাকে বলেছিলেন-
- মনে কষ্ট পাস না। যখনই মন করবে
চলে আসবি। নিজের মনে করেই হারমোনিয়ামটা বাজিয়ে যাবি।
বয়েই গেছে গীতার হারমোনিয়াম বাজাতে।
ওর গান নেই। আমারও আঁকা শেখানো(?)
নেই।
আমরা দুজনেই আবার ব্যাক টু টালির
ছাদ।
জীবন আবার পুরনো ছন্দে। হারমোনিয়াম
গেছিলো কিন্তু হারমনি অফ লাইফ ফিরে এসেছিল। আর আমার কাছে রয়ে গেছিলো সাদা রং-এর পেন্সিলটা।
যাকে ব্যবহার করতে হয় খুব সাবধানে। নইলে তার শিষ ভেঙ্গে যায়।
তবে হারিয়ে গেলে অন্য কথা। সে
তো পুরোপুরিই চলে গেল।
যেমন শৈশবটা হারিয়ে গেছে।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন