কবিতার কালিমাটি ১৪১ |
হাঁটছে - জানলা
সব প্রশ্নের সামনে। এক
অন্ধকার প্রশ্ন থাকে।
হরিয়ালি স্কার্ট থাকে।
মেয়েটি তুচ্ছ হয়ে হেঁটে যায়। যদিও কোন দিকেই
যাচ্ছে না। জীবনকে উল্টে পাল্টে দেখা অভ্যাস করো। রূপকথা
বলেছিল জানলাকে। হাওয়া কোনদিনই। ফিসফিস করে
কিছু বলেনি। লম্বা বর্ষা।--
ধূসর আলোর রাস্তা।
হুইলচেয়ারে ঘোরে। হাঁটু
থেকে কাটা। জানলা আজকাল আর মানুষকে বিশ্বাস করে
না। রাস্তা এবং হুইল চেয়ারের শিশুদের হাঁটতে শেখায়।
সারারাত - জানলা
সাদা, -- রং হয়ে উঠছে।
রঙিন চোখে রক্ত গড়িয়ে
নামলো।
চাঁদে কোনও
জ্যামিতিক সেলাই নেই।
ফুল। মারা যাওয়ার পর।
একজন দুজন করে শিল্প বেঁচে ওঠে। জানলা বেঁচে ওঠে।
অদৃশ্য মা-কে ডাকছি। হিমযুগ সামান্য উঠে হাত নাড়ে।
অনেক প্রশংসা কাউকে কাউকে বন্দী
বানায়। মৃত মেয়েটি --
সারারাত ধর্ষণ এবং
জানালার সাথে গল্প করে।
না ফুরানো - জানলা
দেহাবসানের পর। কোনো কোনো ঠান্ডা শব্দ। অমরত্ব
পায়।
নত হয়। গাছপালা জড়ো করার জন্য। পাখি পেরিয়ে
ডাক। দুঃখের শব্দগুলো। জোড়া লাগানোর চেষ্টা করে জানলা। পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দুতে একা
মেয়ে খেলে বেড়ায়।
সৌন্দর্য এবং মঞ্জীমা। খুব ভারী লাগে জানলার কাছে।
মৃত্যু নিয়ে আজকাল কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না। না।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন