কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / ষষ্ঠ সংখ্যা / ১২৬

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / ষষ্ঠ সংখ্যা / ১২৬

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫

পৌলমী ভট্টাচার্য্য

 

কবিতার কালিমাটি ১৪১


বৈদ্যভাষ্যে আমি ভেন্টিলেটেড নাগরিক

 

ছায়ারা চুপিসারে কথা বললে

লোকাল হৃদয় মগ্ন হয়ে যায়। নভপথ গুছিয়ে চলে গেল যে আলোকুণ্ড, এডিটেড হয় সেখানে বিহগী যাপন। এবার হয়তো আমার ধ্বংসের পালা, একফালি সুপুরির পেট খুলে বেরোতে পারা মতিচ্ছন্নতা দে দোল বলে আমাকে দুলিয়ে দিল। পিঠে সম্রাজ্ঞী রাতের উড়নি তে যেন বউ সেজেছি,

খোঁপায় মকর প্রবাসের ফ্যাশন।

 

পাহাড়ের গা-এ হেলান দিয়েছে রূপেশ্বরী ঝরনারা, কবেই তো শ্যাওলা বরণী হয়েছি কান্নায়, তাই ধন্যবাদ ধুচ্ছি বিকল্পে। পিঠে  বিনা কারণের বোঝা ঘুরলে

প্রাণ+ধ্বনি = অসহায়তা বোঝায়।

শব্দের পশ্চার ঘোরালেই বৈদ্যভাষ্যে আমি ভেন্টিলেটেড নাগরিক।

 

স্ত্রীপট পোড়ে মার্তণ্ড সুবাসে

 

আমার করোটি এবং শ্বাসখাঁচা নগ্ন কুঁড়ির মতো বাতাস ভোগী। ভোরগিঁট খুললেই কেবল তুমি যাব বলে বায়না করে।

এই জীবনটাকে তুমি বসরাই গোলাপ ভাবলে ওইটাকে ভাবি সাধুর বসতে ফসফরাস,

 

তাই লজ্জিত দ্যাখো অকৃত্রিম অনুভবী লাইলাক এবং স্ত্রীপট পোড়ে মার্তণ্ড সুবাসে ।

 

আঙুলের খাঁজে কিলবিল করে পাপ

 

জলের ভেতর এই প্রথম মুখ ঢোকালাম

প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে নির্বাসিত নাম কানে গুজল ঈশ্বর।

 

বিশ্বাস করিনি...

শীতল অঙ্গার শুনে হাসি।

 

অসময়ে খুন করতে করতে আত্মাকে বিচ্ছেদ করলেও তাকে মগজহীন করতে অক্ষম; মাংসমজ্জা থেকে শীত ঠুকরে বসেছি গুমঘরে -

দেখি - আঙুলের খাঁজে পাপ কিলবিল করলে রাজহাঁসটির ঠোঁটে কী হাসি যেন লেদমেশিনে আমার চ্যাপ্টা হচ্ছে জীবন।

 

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন