| কবিতার কালিমাটি ১৫২ |
ভুল সংশোধনী
বেহিসেবি হয়ে গেলে কুনকে ভরে যায়,
হিসেবে নতুন ভুল হয়।
ভুলের খেসারত দিতে নতুন করে প্রস্তুত
হতে হয় জীবনকে
চাই বা না চাই তিক্ততায় কাটে প্রতিটা
সকাল
অত্যল্প করে রাখি গমের দানা, হাঁড়ির
চাল
আড়ষ্ট মুঠোয় শীত জমা হলে দাঁতে
দাঁত চেপে
চোয়াল শক্ত রাখি
রক্তাক্ত শ্রমের বিনিময়ে চলে ভুল
সংশোধনী
জাবেদা খাতায় মিশ্র দাখিলা
চলতেই থাকে মৃত্যুর আগ অব্দি।
এবং জন্মান্তর
অতঃপর
শোক গায়ে ঘুমানো নদীতট,
নতুন রোদ মুন্সিয়ানায় ছড়াচ্ছে চারিধার…
যাপন ঘিরে কতটুকুই বা সে আমার?
ভিন্ জন্মের উদাস ছাওয়া রঙ কেন
শীতপূর্বের ন্যাড়া জমিনে?
রাসমেলার নাচপুতুলের মত কাঠি-সুতো
নাড়ে চাড়ে কে সারাক্ষণ,
সে কি স্বর্গের বাছাই কোনো দূত?
সন্তুষ্টির জন্য প্রপাতজলের কাছে
বসি,
ভাবনায় ভাবনা বাড়লেও তার প্রকাশ
হয় ক্ষীণ ধারাটির মতো…
বেঁচে থাকা
সে তো জন্ম জন্ম জুড়ে ধারাবাহিক
প্রক্রিয়া,
নিখুঁত পয়ারে লেখা থাকে জীবনের
ছন্দ-গতি-ক্ষণ।
নীরবতা না ভাঙলে
(১)
একনাগাড়ে চুপ থাকাটাও একদিন
বিস্ফোরণ ঘটায় শব্দের,
তুমি নীরবতা না ভাঙলে
আমিও গর্জনশীল চল্লিশা…
(২)
যত বিষ্ময় গোপন করেছি চোখে
আজ অন্ধ হওয়ার মুখে আমি!
যেটুকু জমেছে অপমান,
শ্বাসে শ্বাসে সাগরও ফুরিয়ে ফেলবে
কোনোদিন।
(৩)
হেমন্তের বেশ কয়েকটা দিন
আবেশে জাপটে রেখেছে আমায়
তোমার পার্শ্ববর্তী থাকাটা
নিঃশব্দে শব্দ তৈরি করছে পারস্য
গল্পের…
(৪)
মোটে চারআনা শীত এখন
হাল্কা চাদরে ঢাকাটা পা পর্যন্তই
উঠে আসে
আবেশে কাটানো সন্ধ্যায়
গান শোনাটাই তোমাকে পাশে পাওয়ার
মতন…
(৫)
পরবর্তীতে শুধুই ঘর আর ঘরের মধ্যে
ইশারায় কথাবলা মানুষ,
শব্দ নয়, কম পড়ে শুধু মন
মননে আসে গভীর ঘুম আর খিদে নিয়ে
কাল সকাল।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন