কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১৩৭

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১৩৭

শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫

প্রশান্ত গুহ মজুমদার

 

কবিতার কালিমাটি ১৫২


রম্যরচনা

অবিসংবাদিত এই জল। আলোচনাকালে যাতায়াত করিয়া থাকে

অন্দরবাহিরে। মেঘমধ্যে পুরাতন সারসের ন্যায়। ইহাতে, এরূপে

পুলক হয় বড়ো। জানুদেশে, রোমকূপে অথবা নৈঃশব্দে এমন চলাচল

যে স্বপ্ন প্রকাশ করে, তাহাতে স্নান অশ্লীলতা হয়? আমি বিপরীত দেখি।

ঘোর নীলবর্ণে ফুটিতেছে প্রাকৃত পলাশ। দেখি অচঞ্চল নীলে আশ্বাস

হইয়া আছে পদ্মলোচন। বস্তুর নাই এইরূপ রঙ্গমঞ্চ। বাতাস আসিয়া

থাকে। প্রয়োজনে আসে। গাছ, সম্ভবত গাছ ওইসব, আঁশ হয়, তন্তুসমবায়ে

খোলামেলা পথ হইতে থাকেআলোর ভিতর অপরূপ সে অবতরণে

তোমাদের দেখিক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আলোমুখে তদ্‌গত। ছোট পায়ে বড় পায়ে

মাছগুলি আসে। তাহাদের জন্য অনুরূপ পথ প্রস্তুত করিতে থাকি।

পূর্বেই তো অশ্রুথলি আমি বিয়োগ করিয়াছি, অতিরিক্ত বোধে।

 

ইতিবৃত্তের বেলুন

স্নানের ভিতরে স্নান আজ আবিষ্কৃত হল। ডানা। কিছু দুঃখকষ্ট? জলের

অভ্যন্তরে কেবল জল ছিল? হরিণী ছিল না? আর্ত, সাদা কালো?

 

ভোরের দিকেই অতঃপর এ প্রকারে বোঝা গেল স্নান এবং পর্যটনের মধ্যে

বস্তুত প্রভূত ব্যর্থতা

 

নিরপেক্ষ

আমি দেখিয়াছি। হাস্যকর। কে দেখিয়াছে! আমি। সে কোন অবতলে? ঈষৎ বিকাল। মধুময়। হলুদ পুষ্প হইতে দ্বিধাপূর্ণ জল। আমি দেখিয়াছি। পাগলে তো পূর্ণ ছিল দ্বিতল। ক্ষুধা তাহাকে, তাহাদের আচ্ছন্ন করিয়াছে। আমাকেও। এইরূপ হইবে? এই ক্রিয়াপদের একাল সেকাল! কিন্তু ওই আর্তনাদ নিরপেক্ষ। আমি দুইটি সুপক্ক লোভ দেখিতেছিলাম। তোমাকেও। তোমার ওই শুভ্র সম্ভাবনা। আহ্বান। আঁচলে কোন প্রতিক্রিয়া ছিল না।  সিঁড়ি ছিল। উঠিতেছিলাম। আমি। অপরাহ্ন আসিয়া দুয়ারে। কী অপূর্ব কায়া!

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন