| কবিতার কালিমাটি ১৫২ |
হান্ডি খো থেকে ফিরে
(১)
মুখর মানে না বুড়ো পাহাড়পাথর
উঁচু ধ্বনি নিচু ধ্বনির সেই শব্দে
অণুপাখি অণুপম পাখিদের নিচু খাদে
পাতাদের প্রতিপদে শ্রুতিরা জিরোচ্ছে
ভূগর্ভে বসে পুরনো ছায়ার বনে
নেশা লাগে ঘুণাক্ষরে,
উদাসী গাছের
দূরে কাছে পা ফেলার ফাঁকে স্বপ্নে
পাওয়া
ধূ ধূ শূন্যে, পুরো অবয়বে বসানো
আলাদা - বিভঙ্গে ঘন করি দোটানায়
ডাকপিয়ন নেই এখানে
রক্তের কানে কানে আণবিকতায়
আলস্য তফাৎ ঠুনকো গড়ে দিয়েছিল
মত্ত কেকালয়ের নিসর্গদমক
তোমার অপলক বৈষম্য, অন্ধ অনন্ত
শিকারী আবার লাফিয়ে ওঠে
এক খাবলা ছিঁড়ে নেয় মানুষের চান্দ্ররোগ
এক ফালি আলোর হাততালিতে হারিয়ে
যায়
অ - সনাক্ত জলভাসি মনের মড়াটা
(২)
জঙলা গাছের গন্ধে
পাহাড়িঝোরার ফিনকিতে
বাহারী ভাঙে
ঘাস - কাগজের বন, সাদা রিবনের রাস্তা
নদীর অবনত লু লাগা রোদ
তোমাকে চনমন করে তোলে
আঁত অবধি মহুল পুড়িয়ে দেয়,
জঙ্গলে কারফিউ,
তোমার জড়ুল বোতাম খুলে
আরক্ত বাষ্প ভাসছে
মজে হেজে থাকবে রোমকূপে
আওয়ারা বাতাস
নির্জলা হতে হতে
মাঝনদীর জলে শুধু মনে মনে
পাথররা চাইবে ভঙ্গিল-মৈথুন
কামের হড়কা রক্তে
সমভিখারীর বেশে নদীর নবীন কাবুকি
কাঁচা, শুকনো, নিপাট ক'রে সেঁকা
হচ্ছ
রক্তঝোরা নিঃসঙ্গ
অপবৃক্ষদের পেছনে ফেলে
পালাও পঞ্চমে,
ছুটে আসা পাথরে বুদ্বুদ ভাঙার শব্দ
বিমূর্ত শরীরটা দমকা ঝড়ে তলিয়ে
গেল
পাথরের শতমুখে!
ইরা হয়েছে ময়ূরীত
মাত্র সাকার
বানায় নাকি নিষিক্ত জল
জল বপনে
পঞ্চমার্ণে ইরা হয়েছে ময়ূরীত
মোর নাকি মুর?
আপ্রাণ প্রয়াসে ইশারায় খেলতে
পারে
বৃষ্টি নামছে দ্রিমায়
মাফ্রিকায় দিনেমার
দিনান্তলীনের নৈহার
মেঘেরা
ঝনযোনি
বারিষ
বরফিনা
ভাজ থেকে
খুলু খুলু মৃদঙ্গ মর্জিনায়
ময়ূরীতর ফুলে,
ফেঁপে হয়েছে সলমা
যবনিকা লাগে না
ঝর্ণার জল
মাটির তাঁবু ও মোচা,
নকল বুঁদির গড়,
ঢেকে দিচ্ছে গড়জঙ্গল
ইন্ধনে ময়ূর,
যৌন মাতুঙ্গায়
খন্নস্পৃহ
রোদপেষার কল,
ছায়া ওড়ায় ভেলকিতে
এই অব্দি
কোয়েল আর নয়
উন্মাদ বৌমানুষ
বৃত্ত, উপবৃত্ত,
মুট - মুষড়ানো
বৃষ্টি ক্ষণিকা
নাচের প্রঘাতে চান্নিরাত
স্থানিকতা
বিচ্ছিন্ন
প্রলয়পয়োধী নেশায়
ময়মত্ত ছিঁড়ে খুঁড়ে নাচুনে তৈরি
হ!
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন