| কবিতার কালিমাটি ১৫২ |
ছেঁড়া সুতোর আবছায়া পথ
কেবলই লিঙ্ক হারিয়ে যায় -
অর্ধেক কষা অঙ্কের মাঝপথ থেকে অবশেষে
মনীষার হাত ধরে এই গা-ছমছমে ফসল নষ্ট হওয়া মাঠ
চারিদিকে ফ্যাকাশে হলুদ আর সবুজের ছাড়া ছাড়া বেখাপ্পা
ঢেউ
বোবা আকাশকে দিচ্ছে অভিসম্পাত?
এর উল্টোদিকেই তো মন্দাক্রান্তা লাইব্রেরির খাঁ খাঁ
করা রিডিংরুম!
আর পেটমোটা অ্যালবামে নকল ঘোড়ার সঙ্গমের পূর্বরাগ!
অথবা একলাইন স্পেস দিয়ে জোড়া বাক্স বাক্স ছন্দমিলে
পাতা খেতে খেতে
ধ্যানমগ্ন থেকেও বারংবার লিঙ্ক কেটে যাওয়া!
তবুও তো ছুঁৎমার্গ দূরে ফেলে যেন কোথাও সরু নির্জন
বনপথ
তীব্র বাঁক নিতে নিতে যখন নিজেই ফিতাকৃমির বিস্ময়,
কলুষিত গলি
তখনই তৃতীয় কেউ শব্দের অভাব ঘুচিয়ে ফিরিয়ে আনে
অবিশ্বাস্য লিঙ্ক
আর সঙ্গে প্রসূতিঘরে ফিরে আসে এক যুদ্ধোন্মাদ
নির্লজ্জটা বলে তার এখনও অসংখ্যবার জন্ম নেওয়া বাকি
পৃথিবীতে নৈঃশব্দ্য এলে নাকি তার ঘুম ছুটে যায়
মহলাকক্ষ
মহলাকক্ষের কথা
চাপা পড়ে গেছে
ডায়েরির যেখানে এসে উৎসের চিহ্ন গায়েব হল
মিনিট্সে তুলকালাম
লক্ষ কোটিবার চিবোনো
চিউইংগাম মুখ থেকে ফেলে
খোঁজার চেষ্টা হল সেই জিনিস
যা হারালে কেঁদে ওঠে আত্মা
টাটকা রক্তে ভেজা বিকেলের আলো
তবুও পড়ল গিয়ে সেই প্যান্ডোরার বাক্সে!
ভুয়ো হস্তাক্ষরে লেখা পরমাত্মীয়ের দলিল
মঞ্চ থেকে ফিরে আসে
মাঝে শুধু ক্ষণিকের বিশ্রাম
এখনও তো চল্লিশে প্রতিদিন ছেড়ে যায়
আমাদের অবশিষ্ট ছেলেমানুষ
পঞ্চাশে বিস্ময়ের মৃত্যুর পর ষাটে
সবজান্তার সেই
ছুঁচলো বংশদন্ড
অমন সুন্দর চোখ আঁকা ছিল যার
কাজল ধেবড়ে সেও তো পোড়াল তার পয়মন্ত পোশাক!
পরাজিত বাজপাখির সঙ্গে
বুজে যাওয়া নদীকে নিয়ে
সে যদি আবার ফিরে আসতে চায় মহলাকক্ষে!
শুশ্রূষার খোঁজে!
চারণভূমি
গভীর খাদের ধারে সেই ভিউপয়েন্ট
যেখানে পৌঁছতেই শোনা
গেল দৈববাণী
পাহাড়ি গাছের মাথায় নিজে আটকে গিয়ে
ব্রেকডাউন গাড়িকে খাদের দিকে টেনেছিল চাঁদ
ঘরে কোনও দুর্গন্ধ নেই, অলীক চক্রব্যূহ সেজে
কেউ তথ্য বমি করে, কেউ জড়ায় মিথ্যে তাৎপর্যের জালে
আর তার বিন্দু বিন্দু বেঁচে থাকার সাহস
দেখে সামনের ভাঙা আয়নায় কেউ তাকে জিজ্ঞেস করছে -
ধর্মের ভিতর ঠিক কোনখানে জীবনদেবতা বাস করে?
দূরে দূরে আবছা চারণভূমি
বুকসমান ঘাসের আড়ালে বসে আছে যারা
ছোটো ছোটো শূন্যের যোগে পারদর্শী
অতি
আর সকলেরই মুখের চারপাশের প্রজাপতি
উধাও
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন