কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / তৃতীয় সংখ্যা / ১৩০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / তৃতীয় সংখ্যা / ১৩০

মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

প্রশান্ত গুহমজুমদার

 

কবিতার কালিমাটি ১৪৪


শীতকাল

 

লাল। ফুটিয়া ফুটফুটে। মনে পড়ে। সিঁড়িগুলো।

মাছি আসিতেছে। গড়ানে গরমে। শীতকাল।

সুতরাং কিছু আসে। যেমত বহুকালের চাকা।

দেখিয়াছে। অনিয়মিত যাতায়াত। বিরতিসহ।

আসে এবং আসিতেই থাকে। এলো চুলে চিহ্ন কিছু।

বসন্তের! ছুরির? কী সুন্দর! কী অপরূপ!

চোখদুটি দেখে। শীত লালে ও হলুদে।

এক বিধুরে বিধুরতা! আর আসিবে না।

না-য়ে তাহার যাত্রা অত:পর। তাহার সঙ্গে।

তাহার সমীপে। সম তালে।

 

খন্ডহর

 

খন্ডহর।

অবশেষে শব্দের কুবাতাস।

পুনরায়।

সেই সাপ।

ছানবিন।

কুটিল।

প্রলম্বিত।

অবশিষ্ট কিছু আছে?

খুঁজিতেছে।

তাহার অন্ত।

আবিল।

জল করিয়াছে।

নোনা নিরবধি।

সে।

অনুসন্ধিৎসু।

অঙ্গ হইতে প্রদেশের বিচ্ছিন্ন ডালে।

অন্য ভাষার দিকে।

ভয়ের সন্ধানে।

ভাঙনে।

তাহার চোখ ক্রমে বরফখন্ড।

ধ্বংসগন্ধ।

অবশেষ খুঁজিতেছে।

মৃদুমন্দ আঙুল।

স্পন্দন।

সে।

শয়তানিক।

ছায়া।

অনুরূপ আর কেহ নাই।

অন্ধকারে।

সে মলিন করুণে।

 

অপার

 

স্বপ্নের বিরতিসব মনে আছে? বস্তুত স্মরণের,

সম্বরণের গল্প সে সব। ইহাতে বর্ণ নাই। একখানি

ব্যবহৃত ঘড়ি, অবিশেষ চপ্পল এবং কিছু মায়া।

অন্ধকারপ্রতিম। অথচ সুডোল ছিল, গৌরবর্ণের

বিপরীতে সিক্ত চুলের শঙ্খ ছিল। অতীত ছিল না।

একটি একটি জলপাইপাতা, একটা একটা চালতার ফুল।

একা একা। অনতিনিকটে কলকলি এবং কেহ পারাপার করিবে না,

এইরূপ সন্দেশ ছিল প্রকাশ্যে। চিবুকেও ছিল সেই লৌকিক লিখন।

ছিল ছোট গল্পের গঠন এবং সংযম, তাহাতে কিঞ্চিৎ বাজার।

স্পর্ধা এইসব প্রাচীন ভালোবাসিয়াছিল। সে পারাপারে ইচ্ছুক ছিল।

প্রক্ষিপ্ত, অথচ আলাহিয়া বিলাবল।

সে প্রভাতে কিছু রক্তগন্ধ অপ্রাসঙ্গিক হইবে!


2 কমেন্টস্:

  1. অসম্ভব সুন্দর কবিতাগুচ্ছ। প্রশান্তদা শ্রদ্ধা জানবেন।

    উত্তরমুছুন
  2. বেশ প্রেমে আর প্রকাশ্যে 👌👌👌👌❤️🌹

    উত্তরমুছুন