ধারাবাহিক উপন্যাস
সত্যান্যাস
(A social media studies)
যে বাজার থেকে মুক্ত সে মুক্ত
(এই
লেখাটি লেখার একটাই উদ্দেশ্য। যাতে একেও উপন্যাস বলে! বলে যে কোন সাক্ষর ব্যক্তি কলম
তুলে নেয়! ব্রেন বেশি কাজ না করলে কীভাবে উপন্যাস লিখতে হয় তারই একটি উদাহরণ! মূল ইন্সপিরেশন
অবশ্যই GODARD—BREATHLESS! সেই ২০০৭-এর পর কাকতালীয়ভাবে আবার প্রথম পর্যায়ের গোদার
দেখতে বসে মনে হল, আরে! সবাই সিনেমা বানাতে পারে, সবাই উপন্যাস লিখতে পারে তা সে যতই
মেধায় ওঁ নেশায় ক্ষয়ে যাক না কেন! ব্যাস, সকলেই একটি করে অন্তত উপন্যাস লিখুন!)
দেবাদৃজা,
আমি আর শুভ একটা গাড়িতে উঠলাম। গাড়িটা যেন ন্যানোর থেকেও ছোট। সবুজ রঙের। খুব খুব আস্তে
চলছে। গাড়িটা ধরে হাঁটতে হাঁটতে দেবাদৃজার সঙ্গে কথা বলছিলাম। দেবাদৃজা গাড়ি থেকে মুখ
বের করে কথা বলছে। শুভ কখনও গাড়িটা চালাচ্ছে, কখনও দেবাদৃজার পাশে পিছনের সিটে উল্টোদিকের
জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। দেবা গাড়িতে ডাকল। উঠলাম। চলন্ত অবস্থাতেই। গাড়িটা এতো
ছোট যে সিটে সেট হয়ে দরজা বন্ধ করতে অনেকটা সময় লাগল। আমি দেবাকে বললাম, ওই যাঃ, আমার
ফাইভ স্টারটা ফেলে এসেছি।
হঠাৎ
দেখলাম দেবার স্তন অত্যন্ত তীক্ষ্ণ হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে এসেছে। শুভ চরম উদাসীন হয়ে
ওদিকের জানলা দিয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ সেই স্তন দিয়ে অঝোরে রক্ত বেরিয়ে দেবার
শরীর পোশাক ভিজে যাচ্ছে; কিন্তু ও সামান্য বিরক্ত, বিচলিত নয়। আমি উদ্বিগ্ন হয়ে স্তনের
রক্ত রুমাল দিয়ে মুছিয়ে দিতে লাগলাম, দেবা মৃদু আপত্তি করে বলল, নো হ্যান্ডস্! আমি
পেপারের পর পেপার দিয়ে স্তন মুছতে থাকলাম। দেবা বলল, একস্ট্রা লার্জ নেই? শুভ উদাসীনভাবে
জানলা দিয়ে তাকাতে তাকাতে বলল, শহরেও বসন্ত ধরে!
হঠাৎ
দেবাদৃজার স্বামী (চিনি না) পিছন থেকে এসে গাড়িটা ধরে হাঁটতে লাগলো। এবার গাড়িটার হুড
খোলা দেখলাম। আগের মতোই গাড়িটা খুব আস্তে চলছে। দেবা আর ওর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যালাপ
হতে লাগলো। দেবা বলল, শুভ কান্ট উই বি লিটিল ফাস্টার? দেখলাম হুশ করে গাড়িটা ডানলপের
34B বাসস্ট্যান্ডে এসে থামলো।
![]() |
Woman dreaming |
অর্পণদার চিরাভিলাষ ডায়াসে দাঁড়িয়ে ডানলপ মোড়ে
জুলে ভার্ন নিয়ে নাতিদীর্ঘ বক্তৃতা করছে।
আমি : কী সরল ও সাবলীল
অর্পণদা : ভ্রমণকাহিনী নিয়ে তার আগে কল্পবিজ্ঞান
বিরল।
আমি : ওগুলো প্রথমে ভ্রমণকাহিনীই ছিল।
অর্ঘ্যদা বলল, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কারণটা যেন অর্ঘ্যকে কেউ ডিসক্লোজ না করে
অর্পণদার পাশে অভয়ার লাশ পড়ে আছে। কেউ পাত্তা দিচ্ছে না। কে যেন বলল, বজ্রডাকিনী! আমি : কই, আমি তো দেখলাম সব মাতলামি করছে। কেউ বলল, তাহলে মর্গে নেই কেন?
দাদা বলল, আবার বাবা বাবা মা মা বলে চেঁচাচ্ছিস!
আমি: তাহলে ক্যাপ্টেন নিমোর নামে FIR হোক!
দেবা: বেশরম রঙ্গ কাঁহা দেখা দুনিয়াওয়ালো নে!
নবারুণ চোখ মেরে বলল: ইয়ে কালি কালি আঁখে!
আমি বেশ কয় বছর আগে একটা বাইক কিনেছিলাম। একা গিয়ে। টবিন রোডের রাস্তার উপরে ছোট্ট দরজা দিয়ে ঢুকে বিরাট কার রিপেয়ারিং আর শোরুম। কিন্তু ওই লোকটা কোনোদিনও বাইকটা ডেলিভারি করল না। আমি ওর কাছে মাঝে মাঝেই যাই। বাইকটা এককোণে পড়ে আছে দেখি। কিন্তু কাকুতি মিনতি করে ওটা চাইলেও কেউ পাত্তা দেয় না। বায়না করলে বলে, রিপেয়ার হচ্ছে। ক্রুজার বাইক, অ্যাভেঞ্জার। লোকটা বলল, শোরুমের গেটে বাউন্সার রাখো। মলয় বললেন, কি পরিমাণে মেন্টাল টর্চার চলছে ছেলেটির উপর। সাধে ওনানিজম করে। চুরি পড়ে থাকা বাক্যাংশ। দেবাকে বললাম, তুই এতো বেঁটে হয়ে গেছিস, তুইই এটা চালা। ও ইয়ানিষ লিভাদাসের দিব্যি দিয়ে এক লাথি মারলো বাইকটায়। ওটা দুমড়ে মুচড়ে ধাতুপিন্ডে পরিণত হল। বাবীনদা বলল, জেন অ্যান্ড মোটরসাইকেল মেন্টেনেন্স। আমি : রাম শ্যাম যদু মধু। উপল বলল, সবে তো মেয়ে জন্মাল। এবার মধু’র নেশা, যদুর নেশা, রামের নেশা, সিগারাটের নেশা, শ্যামের উৎপাত সব হবে। দেবাদা বলল, তাহলে প্রগদ্য ইন্দ্রই আবিষ্কার করেছে লিখে দে! আমিঃ ওটা শূন্য দশক আবিষ্কার করেছে! ইন্দ্রঃ তাহলে কেস ডিসমিস করেও বাবীনদাকে বাঁচা!
আমি একটা বাইক কিনেছিলাম। কিনেই স্মি-এর শ্বশুরবাড়ি গেলাম। দেড়তলার ঘর। জানলা বোজা। ভিতরে লাইট জ্বলছে। বাইকটা রাস্তায় পার্ক করে সিঁড়ি দিয়ে বহু বার ইতস্তত করে ঢুকলাম। স্মির ছেলেটা চ্যাঁচাতে লাগলো। ওরা সব বলল, দোতলায় ম্যারি অ্যানের ঘর। একেবারে প্রাচীন যুগের কাফকায়ি দ্য ট্রায়ালসুলভ ছাদ সিঁড়ি আর্কিটেকচার। ম্যারি অ্যানকে দেখতে পেলাম না। কিন্তু খুব ভয় হল। কেন জানি না। করিডোর দিয়ে দৌড়তে লাগলাম। খুব অল্পক্ষণের মধ্যেই বউবাজারের মোড়ে গিয়ে নামলাম। তার পর ভাবলাম, ওই যাঃ। বাইকটা!
অথবা বাইকটা একজন সারাবে বলে নিয়ে, বলাই বাহুল্য বখাটে চুলসর্বস্ব ছোকড়া, সে আর ফেরৎ দিচ্ছে না। ওর বাড়িতে গিয়ে বাইকটা সামনে রাখা আছে দেখলাম। ওর মার কাছে অনেক কাকুতিমিনতি করলাম। উনি বললেন, এখন ডিস্টার্ব কোরো না। নাটক লিখছি। তারপর বললেন, ছেলে যদি ফেরে বলব। সুমন বলল, সত্তর দশকে কেউ বাড়ি ফেরে নাই। বাইকটা স্পেল্ডার প্রো, কালো মডেল।
![]() |
গসিপ |
আমি পেঁয়াজ ব্রাউজার খুললাম আগে ভিপিএন অন করে। এতে করে সহজেই ডিপনেট, ডার্ক ওয়েব অ্যাক্সেস করা যায়। খড়ের গাদা সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে সার্চ করলাম, লেখ্য কথ্য ভাষা। সুদীপ্ত বলল, ইংরাজিও জানে না, বাংলাও জানে না।
আমি: মুখের ভাষা লিখতে চেয়েছিলাম শুধু।
মা: তা বলে তোর খিদে পাবে!
মিস: বুঝতে পারি না বোঝাতে পারি না এই সত্য কথা!
আমি খড় সাজিয়ে লিখলাম, চাইল্ড পর্ণ। মঙ্গোলয়েড লিঙ্কে ভরে গেল। ওদের দেশে বেবি সেক্সডল পাওয়া যায়। আমি: ক্রিপটো কারেন্সি দিয়ে হিটম্যান ভাড়া করব। যদি কখনও খুন হন তবে জানবেন, পিছনে অর্ঘ্য। অ্যাঃ থুঃ, অ্যাঃ থুঃ, অ্যাঃ থুঃ, ডাইনি জ্যায়সি দিখনেওয়ালি অওরত, মুঝে তুমারি মু বিলকুল নেহি পসন্দ হ্যায়। চোরের মা জিরাফ!
একটা এলোমেলো ড্রয়িং ক্লাস টু’র বইতে আছে। সেটাতে কি কি জিনিষ দেখতে পাচ্ছে, তা লিখতে বললাম বাচ্চাদের। সাহিনা এসে কানে কানে বলল, দ্যাখো স্যার, ছেলেদের ওটার মতো দেখতে! দেখলাম একটা স্কেল আঁকা। ওর জন্য চিন্তিত হয়ে পড়লাম। তার পরদিন স্কুলে যাইনি। ওর জন্য মনে একটা চাপা টেনশন ছিল। পরের দিন স্কুল গিয়ে শুনি, ও রেপ্ড হয়েছে!
ক্লাস থ্রির ইমরান, আমার ধারণা ওর লিঙ্গ একটা কড়ে আঙুলের মতো হবে বড়জোর। গুজব রটলো, ফাঁকা মাঠে বটগাছটার নিচে ও নাকি আরেকটা বাচ্চার পোঁদ মেরেছে। আমি বললাম, ইমপসিবল। মদিরাদি বলল, আচ্ছা, আবার আসবেন, হ্যাঁ, নমস্কার! আমি: সব পাখিই মাছ খায়, শুধু মাছরাঙার দোষ হয়। অর্পণদা বলল, ইডিঅমস্ জানা থাকলে সহজে ইডিয়ট হতে হয় না!
অদ্য শ্রী মহাভারত কথাঃ। কথা হ্যাঁয় পুরুষার্থ কি, পরমার্থ কি, পোঁদে ঘি ইত্যাদি
মহাভারতের
যুদ্ধ হচ্ছে। কর্ণ প্রথমেই ছুটে এসে অর্জুনের লুঙ্গি খুলে দিয়েছে। শিখন্ডী বলল, অ্যাই
অসভ্য! দ্রৌপদী আর ঋতুপর্ণে অশ্রাব্য খিস্তি চালাচালি হচ্ছে। সব যোদ্ধারা বাঁশ উঁচিয়ে
এ ওর পোঁদে পেটাচ্ছে। আস্তে আস্তে প্রায় সবার কাপড় খুলে যেতে লাগল। ঋতু বলল, ক্যালেন্ডারিস্!
কে যেন বলল, না না, ওটা পোঁদের ফুটো! ওটা দিয়ে নয়। আমি: আমার বলে বাচ্চা
হয়ে গেছে। ওহেন্সি বলল, তান্ত্রিক বিপরীত রতি সাধনা না করে বলে কী করে যত মত
তত পথ। আমি: ধুর বাল তোর নেহা কি ধূপিয়া, তোর গব্বর কি সিং। বউ বলল, সত্যিই
তুমি সন্ন্যাসী, কোল্যাটারাল ড্যামেজ কন্ট্রোল তো করলে! আমি: আর একবার ধর্মের
কথা বললে সত্যিই গাঁড় মেরে দেব। স্বদেশ বলল, কুম্ভই কুম্ভক! কুম্ভ মানে আবার
কলসী। নৃসিংহ বললেন, জীবনদায়ী ওষুধও অমৃত! আমি বললাম, তাহলে আর কী, আরো
ঝাল দাও ফুচকায়! মেয়েটা বলল, কী যে বিপরীত রতি, বর আমায় ফুচকার নেশা ধরিয়েছে। ওর
নাম জিজ্ঞাসা করলাম। বলল, শঙ্খ ঘোষ! আমি বললাম, ফুচকা কবিতা এমন জিনিষ পেট ভরে যায়,
মন ভরে না। মৌঃ ছেলে হলে নাম হোক প্রবন্ধ! আমিঃ না, শহর। মেয়েটার প্রথম প্রেসক্রিপশনে
নাম ছিল বৈদেহী।
কেকাদি বলল, অর্ঘ্য আটদিন আউট অফ পে।
আমিঃ তাহলে ২৪ লাখই কাটুন।
অর্পণদা বলল, রুলস বলছে, ১০৫ বছর
মদিরাদি: তবে বিরিয়ানী না ছুটি? কোনটা নিবি?
আমি: বিজ্ঞানসম্মত ভাবে স্কুল চালান।
কেকাদি: তুমি ল্যাবের টাকা দেবে?
অর্পণদা: চলো, ছুটির পর সোনাগাছি যাওয়া যাক। স্কুলকেই
টাকা দিতে হবে!
এখন স্মিকে কোথায় পাই – আমি? কামড়ানোর জন্য!
![]() |
Facebook Top fan batch
আমি: গাছ। তার থেকে কাগজ হয়।
অনন্যা: স্থূল। প্রিন্টের কালি কম নাকি!
আমি: তাহলে তন্মাত্র বলবে। আরো স্পেসিফিক বললে,
শব্দ তন্মাত্র!
বেবীদা: স্বাভাবিক, প্যান্টি তো বস্ত্রখণ্ড!
চন্দ্রিলঃ বিকিনি আবিষ্কারের ১১৫ বছর হল!
অর্ঘ্যদা: আমার মনে হয় জাঙিয়া কম পরে গেছিল তাই
আর টেস্টগুলো করালই না।
আমি: হ্যাঁ, পিয়ানোর যা ওয়েট!
ভাই: কোনো বস্তুর ওজন কলকাতা অপেক্ষা ব্যাঙ্গালোরে
৬ এর ১ ভাগ। কারণ খরচ ৬গুণ। সুতরাং শহর পাল্টাও, লাইফস্টাইল নয়!
- তাহলে প্রোগ্রেসিভ কর্ডটা বাজলো না কেন?
- ছেলের নেশা, মারাত্মক নেশা, সহজে ছাড়ানো যায়
না।
- গ্ল্যামারাস ছিল তো, Xtec!
- কী খাবি, গু খাবি?
- ইয়ে আরাম কা মামলা হ্যায়।
- মদিরাদি উপস্থিত? Order অর্ডার। প্রমাণ করো তুমি
স্কুলে উপস্থিত!
- কেন করতে যাবো? এখন তো গরমের ছুটি চলছে!
- নিরক্ষর রাঁধুনি সামলাতে পারেন না B.tech এর
পোঁদে লাগে।
- এভারেস্ট বেসক্যাম্পে বড্ড হেলিকপ্টার সিন্ডিকেট!
নারে?
- সে ফটোশপ জানলেই হল!
- “উঁচায়ি” সিনেমাটা নিজেই একটা বোগাস ফটোশপ।
- নাম ফালিম!
১টা সিগারেটে ৫ মিনিট আয়ু কমে। গড়ে ২০টা সিগারেট ২৫ বছর। ২০*২৫*১২*৩০*৫==??? মিনিট।
- কিন্তু মাইনাস করবে কত থেকে?
- যেদিনই মরি, জানবে তার আগের দিন বুড়ো হয়ে গেছিলাম।
- আ যো ধামানি, শৃণ্বন্তু বিশ্বে অমৃতস্য পুত্রাঃ।
অহম ব্রহ্মা’স্মি’! এটা রিপিট করার জন্য নয়, রিয়ালাইজেশনের জন্য।
- চোপড়াও । বৈদিক মন্ত্রে দীক্ষা নেব না। তাহলে
রণজিৎ গুহ, গৌতমদা রাগ করবেন।
- তাহলে জপের মালাটা হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে শুদ্ধ
করে নিলেই হয়।
- ওটা ক্ষয়ে গেল কেন? রূপো দিয়ে বাঁধাও।
- যত সব বাঁহাতিয়া ব্যাপার স্যাপার।
- মেয়ের বিজ্ঞানসম্মত নাম কী?
- তাহলে তেরো বছর অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই!
- অপেক্ষা করব কেন? ২০০৭ এই ‘থ’ বেরোতে পারতো।
- মা, মরে যাও তো মরে যাও!
- মাত্র ২৮টা পাদ! এ দিয়ে সংকলন হয় না। সমগ্র বের
করছ না কেন?
- লেখা নিয়ে বসলে পার সিটিং 30% এডিটিং। নেভার
এন্ডিং প্রসেস। তাই বসি না।
- বাজে কথা, ওর পাছা নেই, তাই বসতে পারে না। লিপ
হিপ কিস্যু নেই।
- তাহলে বলছিস স্প্যাম কল! করাচির নাম্বার তো দেখাচ্ছে!
কেউ ‘থ’ উর্দুতে অনুবাদ করতে চায়!
- আমি ২৮ জন কলিগকে হাই পাঠিয়েছিলাম! হোয়াটস অ্যাপ
স্যার রেগে প্রোফাইল ডিলিট করে দিল।
- তুই ফরেন্সিক করা। শুধু অটোপ্সিতে হবে না।
- তাহলেও বানানটা সিতাভোগ। সিত = সাদা। কখনওই সীতাভোগ
নয়!
- বেটা এক কাম করো, টাইম নিকালকে সুইসাইড কর লো।
ইউ নো ইটস্ এইনফিনিট ওশন অফ হেট্রেট, অফ হুইচ আই অ্যাম জাস্ট এ ওয়েভ!
- ইউ বেটার লাক নেক্সট লাইফ। ইউ স্লাট! এসি চললে
শ্রবণ মননের দরকার পড়ে না, ইউ নো! ডিরেক্ট নিদিধ্যাসন।
- ওমা, এ কি কথা! বৃহস্পতিবারেও শ্বাশুড়িকে মানুষের
মাংস খেতে দাও!
- সিন দেখা, সিন দেখা!!!
- সেইজন্যই তো বুলটিকে বিয়েটা দিলাম।
- যত ক্যামেরা বউ বলবে, দাদা, ঢাক!
কেকাদিঃ অর্ঘ্য খাটটা কাকে দিচ্ছ? কেকপাখি পশ্চিমায়
ঢুকবে না! আর আমি কাম্ব্যাকে সৌরভ ++
- আমার মেয়ের গায়ে আঁচড় লাগলে সেই নোখ উপড়ে নিতে
জানি।
শ্বশুরঃ বড় বড় বাত্।
ছৌ পিকাসোর নেক্রোফিলিক ছবি হোয়াটসঅ্যাপ করল। জামাইদা ট্রেনে কাটা পড়া শালার মৃত মুখের ছবি। বিধাতা বললেন, ওর উপর দিয়ে গেল। আমাকে নিজের কেমন জোম্বী মনে হতে লাগল। নাদ দুটি। অনাহত নাদ ওঁ, আশাহত নাদ উন্মাদ! ওদের হাতে পুরো সাইকোমোটর। পাশ ফেরাচ্ছে, খুব আকুতি করলে দূর থেকে রিমোট কন্ট্রোলে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে। ওরা তো অ্যাপোলোয় বসতে পারে। যেখানে ডোপামিন ইনহিবিটর লাগবে, রাম দিচ্ছে ডোপামিন সিরাপ। কয়েকদিনের সিদ্ধাই। তমোগুণী ভক্তি, ডাকাত পরা, গা জোয়ারি, টকিং টু গড! গিভিং রিইনফোর্সমেন্ট টু হ্যালুসিনেশান via গডহেড! ইনসমনিয়া কিওরড ইউথ আউট এনি ড্রাগ্স। এ বিদ্যা অসাধু হাতে গেলে তো হিউম্যান হ্যাকিং!
ছৌ – আমার জন্য ৬ কেজি সার্ফ এনো।
আমি – তোমার বাড়ির গয়নাগুলো কোথায়?
ছৌ – গয়না নেই, আয়না তো আছি! তোমার তো
পাস্ট অনসেটের এক্সপিরিয়েন্স আছে। দেখো, শারীরিক কষ্ট যা দেবে তা একই থাকবে। মানসিক
কষ্ট যত তাড়াতাড়ি রাস্তায় বেরোতে পারবে তত কম হবে।
মাঃ তুই বেরো, আধঘণ্টার মধ্যে আমরাও বেরিয়ে পড়ব।
আমিঃ মা, তোমাকে কোথায় রেখে যাচ্ছি!
সোম: আগুনের গোলায়।
পুলিশকাকু: আচ্ছা, আজকের রাতটা থাক। আজকের রাতটা
কমপ্লিমেন্টারি!
জামাইদা: আজ রাতেই সবাইকে নিয়ে মিটিং বসুক। ওকে
সবাই জেরা করবো। আর কী কী লোকানো আছে?
- ওকে তো পাগলা কুত্তায় কামড়ে ছিল।
- ছৌকে বলে ফেলেছি তো কথায় কথায়…
পুলিসঃ আর কী কী জানিস বল্। আচ্ছা, পুরো ঘটনার
গল্প বল। আবার বল। আবার বল। এখানে এখানে ফারাক হচ্ছে কেন?
জয়: রবীন্দ্রনাথের দ্বিশতবর্ষ বলেই যে ওর কবিতা
পড়েছি এমন নয়। খানিকক্ষণ পরেই বেরোক না হয়। তাড়া কীসের?
- রাস্তায় বেরিয়েছি মরতে। মারার লোক খুঁজে বেড়াচ্ছি।
ওরা এতক্ষণ ধরে ডাকলো, কোথাও পাচ্ছি না কেন?
বাবা – বাবু, কাল স্কুলে যেতেই হবে।
ছৌ : বাবা, ওকে খুঁজতে বেরোন।
বাবা : ১০০০ বার জপ করে নিই।
মা : সত্যি তো, একটু চিন্তার বিষয়।
শ্বা: পাগল, পাগল, পাগল বাবা। লিমিট আছে। পজিটিভনেসেরও
লিমিট আছে। অসহ্য।
জ্যোতিষে অবিশ্বাসী নাস্তিক ছৌ – হায়, কী পোড়া
কপাল আমার!
শ্বা: আমি এই হোয়াটস অ্যাপ ভিডিও কলটা সেভ করে
রাখতে পারি?
ওরা: হ্যাঁ, হ্যাঁ, রাখুন না।
শ্বা: তুই, তুই আর কোনোদিনও এ বাড়ি আসবি না। তোমরা
কী প্রচুর খরচা করেছ?
ওরা: না, না, এক একটা স্পাই ক্যাম ৯০০ টাকা করে।
এ ঘরে ১২টা আছে।
শ্বাঃ বাবা, এতো বিগ বসেও থাকে না বাবা!
তাহলেই বুঝুন কেমন ক্যামেরা! কেমন পাগল!
ভাই: এখন শেষ কার কথা মনে পড়ছে?
আমি: অর্পণদার বউ।
অর্পণদা: হাঁটা দিয়ে বোঝা যায় মেয়েদের! গজগামিনী
ও টাইট গুঁদের জয়।
ছৌরভ: ফাঁক করে মেরে দেব।
আমি: হায়, হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড বানানোটাও বাকি
রয়ে গেল।
ভাই: গুডবাই দাদা। হ্যাপি দিওয়ালি।
দেখলাম
মাথার রক্ত আর পায়ের রক্ত বুকে এসে জমলো। কথাটা বলার মুহূর্তের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়লাম।
অথচ আমি ১০ বছর তক্কে তক্কে থেকেছি, মানুষ কী করে ঘুমিয়ে পড়ে তা কনশাসলি অভিজ্ঞতা করার
জন্য।
(ক্রমশ)
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন