![]() |
কবিতার কালিমাটি ১৪৪ |
বিবিধ ধাতুতে দেখি যোগ ও প্রয়োগ রেখা
জারজবন্ধ্যারা দেখি রাত শেষে কাছে আসে খুব
তোমাদের অভিসন্ধি কি?
এহেন ব্যসনে থাকে বিকৃত প্রলয়ের নিঃসঙ্গ আভাস
তুমি কি ডুবেছ আজ পরিখার গহীন গহ্বরে?
অমোঘ রোদের দিনে অল্প অলস থাকি
বিতাড়িত যুদ্ধক্ষেত্রে কাকে খুঁজি খুব
তোমাদের জীর্ণ শীর্ণ দেহ ও পরিস্থিতি
আজ কেন ভারি হলো আমার প্রতি
সব বোধ অন্ধ হয়ে আসে, সব বোধ রিক্ত হয়ে যায়
কি যেন বিভিন্ন স্বরূপে, সব আসে উৎপাত হয়ে
তাহারা সবাই কি অন্ধজনপ্রিয়? নাকি বিরক্ত অতি
আমি কি বিষণ্ণ আজ, বিপরীত চিত্র আসে ত্যক্ত করে
খুব।
পান্থপথের রাত
অথবা শুকিয়ে গেছে
ঘামবালুকার ঘ্রাণ রিক্ত অবসরে
তুমি বেড়ে উঠো মরূদ্যানে
নিষ্পত্র গুল্মলতায়, তোমার যে ছায়া দেখি
রূপী বহুরূপী উড়গের সাথে
অথবা মধ্যম রাতের হিমেল পরিসরে
যে আসে ক্ষুধার্ত অতি
রুক্ষ চুল উপচুলে বিরক্ত লতানো প্রাণী উহ্য হয়ে
থাকে
এমন দক্ষিণী পান্থ চারদিকে ঘন হয়ে এলে
পরিমিত বৃষ্টি হলো আজ
আমিও দৃশ্যত বেরিয়ে আসি
দেখি শূন্য গুহাগৃহ
বাতাসে তোমার শুধু ক্ষীণতর আওয়াজ।
বিষবিষণ্ণ
বিষণ্ণ হইলো মন
যেহেতু তোমরা সব
চলে গেছো দূর পরদেশে
ওহে পুরবাসী
জেগে থাকো রাত্রি প্রহরায়
অপেক্ষায় থাক
নম্রনগ্ন শীতল হাতের
তোমাদের দীর্ঘতর জীবিত আশ্বাস
বিমর্ষ হইলো দেহ
কেননা তোমরা আজ
অতিদূরপ্রবালের দেশে
স্বজন বিয়োগে আছো
নিরন্তর সদ্য এক ইতিহাসমুখি
ওহে প্রিয়তর
জেগে থাকো দিবারাত্রি প্রহেলিকা হয়ে
আসছি সমুদ্র হয়ে
দিব্যি দেখা হবে
তমোঘন আষাঢ়ের দেহের জোয়ারে।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন