![]() |
কবিতার কালিমাটি ১৪৪ |
কোয়েল বসত করে
(১)
এবারো হল না
পীতমহল একটা বাঁধ
একটাই সূর্য সেখানে ডোবার সময়
সুর করি
লম্বা রাস্তা, বেঁটে গাছের হাতায়
কাজ হয়
ইথারের গন্ধ আসে
কাল, সমকাল, মহাকাল
রঙদেয়ালায়
উঁকি
তাদের গায়ে হরিণ হয়ে ভেঙে পড়ছে
(২)
আমি খুব
আর ও পুব
সমবায়িকায় আলো
আমি খুব আর ও অনেকটাই
না বলেও
যা বলার সূর্যকে বলি একটা একটা করে
যেতে যেতে শান্ত মভ
আমি তো বেকার
ভাবি বদলে দেবো
চা খেতে খেতে ভাবি সূর্যকেই
বাঁধের জলে জাল বিছিয়ে বসে আছি
আসবে
বা আসবে না
পরিকল্পনা ছেড়ে দিই
যেমন এলে কিভাবে সুস্থ হয়ে উঠবে হাসপাতালের সবকিছু
যেমন সিরিঞ্জ
যেমন বিরক্তি রাখা ভ্রূয়ে আঁকা হয়ে যাবে ফরসেপের
বিভাজিকা
আর ‘বেড’ থেকে দেখা যাবে
কাল গেল
সমকাল যাচ্ছে
মহুয়া গাছগুলোর ওদিকে
না এলে
তীব্র সাইরেন
কী হল কী হল
আমার চিন্তা আজ গাছেরও চিন্তা
মহুয়া আর গাছ হয়ে রইল না
(৩)
পেরিয়ে এসেই দেখা গেল ওদিকের ‘মজুরি চাই’ বা ‘দিতে
হবে’ এদিকে শিসছাড়া ক্রিং ক্রিং, সব না বুঝেই পাখি এত বিশারদ, দুনিয়াভরানো হাতে ক্রমবিকাশের
ডাক, বলল, আরে তুমি... নাও ধরো থিওরি অফ ইভোলিউশন... খুঁজছিলে না?
পাখি ডানা আর বাহানা মিলিয়ে ওড়াকে করলো নিঝুম,
সন্ধ্যায় কি আর হবে, গান ভেসে আসে, শিফট-ভাঙা দেদার ক্লান্তি এসে পড়ে, ওড়া এক শানিত
অভ্যাস যদি বাইসাইকেলেই টানা বিকেলের বয়ে যাওয়া
বয়ে যাওয়া আমার দিকেই ফের এক সিলি সিলি কোনাচে
বার্তা, মানে বই নেই, না?
(৪)
পৃথিবীর শস্য আছে, শস্যে মজুরি, মজুরদের লম্বা
মিছিলে নেমে আসা বুর্জোআকাশ, মেঘ হয়, দীপক সিনেমার কাছে সামান্য ঘাম, অসামান্য হীরে
হ’তে হ’তে নাকের পাটায় পড়ো পড়ো
পাশে ফোল্ডিং ছাতা খোলার অবসরিকা তিল, এও কি আমার
হবে সমান মজুরি হবে যেদিন লালফৌজের পেশিতে পেশিতে লেনিনের সান্দ্র নাদেঝদাও এক মানে
না-মানা পাখিদের পাখিরা
বিপ্লবও হয়ে গেল, এই গোধুলিবেলায় রেনকোট আর ছাতার
আবেগ সামলে এবারে ঠিক হোক পাখি আর কতদিন আকাশে উড়বে
সাইকেলের কি হবে, ফাঁকা কেরিয়ারের কি হবে... পাখি
বসবে না একদিনও?
শস্য আছে
আমি বা তুমি ছিলাম বলেই
মজুরদের লম্বা মিছিলে নেমে আসা বুর্জোআকাশ
চোখ তাকিয়ে বানাল
ফোল্ডিং-ছাতার নিচে অবসরিকা তিল
বানাল আবার
বাঃ, ভালো লাগলো!
উত্তরমুছুনখুব ভালো লাগলো। ভালো কবিতা পড়লাম।
উত্তরমুছুন