![]() |
কবিতার কালিমাটি ১৪৭ |
রসুইঘর
প্রত্যাখানের উল্লাস ভেসে আসছে রসুইঘর থেকে
ওখানে ভাষা-দিগগজেরা পেন্নাম ঠোকে ইতিহাস-দেয়ালে
নিজেকে গোটোনোর চোরা গর্ত থেকে উঁচিয়ে ধরা রজনীগন্ধা
দেখায় মায়াদাঁত, হাসি!
এরপরেই জয়ের উৎসব -
গান-স্যালুট -
পরাজিতের কান্না মেশা কিসের যেন ফ্যাকাশে অনুকরণ!
ফুলে, মাংসে, ভরসায়, পুলিশ ফাইলে, লাশে
চিন্তার আদি-কার্পেট থেকে উঠে আসছে কানাগলির গুপ্ত সংকেত
দেখো, ভাষামুখ শুকিয়ে কাঠ বিষ-আদরে
পবিত্র ক্রোধে কেমন ঢেকে গেছে আদিঅন্ত স্কোয়ার
আর হিমঘরের চারপাশে উড়ে বেড়াচ্ছে অতিকায় প্রজাপতি
তারসানাই
তালে উন্মত্ত চিৎকারের উৎসাহ নিভে এলো
ট্রেডমিলে উঠে কিছু রক্তচিহ্নে দাগী
শায়েরি শোনাচ্ছে, সফেদ রাজবেশ
মুন্ডু ঘিরে কালো মথের দল
উড়ে উড়ে তাদের বিরক্ত করতে এলে
চিৎকার করে উঠছে – ‘এই ট্রেডমিল কারুর ইচ্ছেতে থামে না’
অথচ বাঘের পিঠ থেকে নেমে একটা আধময়লা আনসান লোক
ভিতরে শুধু একক তারসানাই
কী সহজে হেঁটে চলে গেল ঝাউবনের দিকে !
অনন্তমূল
কাঁথার ওপর ছুঁচ গাঁথার মতো
শরীরটাকে
জলে ঢুকিয়ে আবার বের করে
আনার পরেও
শরীরে লেপ্টে আছে সেই পুরনো মাইনাস চিহ্ন
জলের শেওলা-মস সারা গায়ের ফিনফিনে রক্তরেখায় খুঁজছে
অনন্ত
মাটির ঝুরো পোকামাকড়, বাতাসে ভাসা মাকড়সার জাল, ইঁদুর
আর সাপ নিয়ে ব্যস্ত বুদ্ধিমানেরা এখনও
দুহাতের অনৈচ্ছিক নিশপিশানিতে কোমল হাইফেনগুলোকে
চাপা দিয়ে দিচ্ছে আক্রমণের ভাষার স্তূপে
আর পুরনো বোতলমুক্ত জিনকে কী অনায়াসেই না জোড়হস্তে
ঢোকাচ্ছে মাইক্রো বোতলে!
ওদিকে বাইরে আকাশে গড়াগড়ি খাচ্ছে নৈঃশব্দ্যের মাদুর
বালিশ
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন