কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১৩২

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১৩২

শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

সুপ্তশ্রী সোম

 

কবিতার কালিমাটি ১৪৭


প্রেম

তোমাকে ভাসানে পাই

প্রতিটি বিসর্জনে পুনর্জন্মের

চিহ্ন রেখে যাও


দাহ সমাপনে বায়বীয়

উড়ে যাও

ঊর্ধ্ব অনন্ত আকাশে

 

তারপর অঝোর বৃষ্টি

মনের গভীর থেকে

উঠে আসো স্বয়ম্ভু

 

দুঃখ শোকের ঊর্ধে

তোমাকে ধারণ করি

গর্ভজাত ভ্রূণের মতোই পুনর্বার।

 

পুনর্জন্ম

কক্ষপথ থেকে সরে গেলে হয়তো স্থবির

হয়তো পথের পাশে পড়ে থাকা সুখের জন্মকাল

করোটির ভিতরে কিছু সময়ের ধীর গতি

কিছুটা উল্টোপথে হারিয়ে যাওয়ার ব্যস্ততা

ইচ্ছে করে দ্রোহকালে ধরে রাখি মাটি

মুঠো করে ধরে রাখি বীজ আর জলঙ্গির উছ্বাস

বন্যা হয়ে মুছে দিই সব ছায়াপথ

তারপর নতুন বসতে বেঁচে উঠি  গাছ হয়ে

 

আত্মরতি

এখনো শিখে চলেছি চৌষট্টিকলা

এখনো হাতে জল নিয়ে

বশীকরণ শব্দ নিয়ে ভাবি

কাটাকুটি খেলতে খেলতে

মুছে ফেলি এক্কাদোক্কার ঘর।

 

অথচ সময় থেমে থাকেনি

বদলানো ঘুটির অনিচ্ছুক চালে

প্রশ্নজর্জর বন্ধুতা নড়েচড়ে বসে

ঋষি শেখাননি গুপ্তবিদ্যা

 

অতিথি স্ববশেই থাকে

মন্ত্রশুদ্ধি জলে নিজেই মোহিত হই

নিজেকেই বশ করি নিজস্ব মুদ্রায়

 

দুঃখ থাক

দুঃখকে বন্ধু ভাবি

কালোকে কালো সাদাকে সাদা বলে সে

মুখোশের আড়ালে ঢেকে রাখে না

আলাদা করে কিছু মিথ্যে অনুভব

মৃত আশাকে দুরাশা বলে চিনিয়ে দেয়

স্পষ্টই সত্যি বলে মুখের উপর।

 

দুঃখ আছে বলেই আজকাল মিথ্যে চিনতে পারি

চিনতে পারি বন্ধু ও শত্রু

বন্ধুতার আড়ালে লুকোনো ঈর্ষাকে চিনি

চকচকে মোড়কের আড়ালে

ভেঙেচুরে যাওয়া কান্নার বিন্দুগুলোকে

বন্ধু মনে হয়

 

একলা চলতে চলতে দিব্যি পথের বাঁকে

ফেলে দিই সুখের খোলামকুচি,

হীরে ফেলে কাচ টেনে নিই বুকের ভিতর

দুঃখকে চিনতে পেরে ভালোবাসছি এখন প্রাণভরে।

 

 

 

 

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন