কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / সপ্তম সংখ্যা / ১২৭

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / সপ্তম সংখ্যা / ১২৭

শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নিমাই জানা

 

কবিতার কালিমাটি ১৪২


মিথাইল ক্লোরেট ফুসফুসের সংক্রমণ ও বিবস্ত্র আশ্রমের মহাখোর

 

গামা পাহাড়ের মতো স্থিতি জাড্যের বায়োটিন ওষুধের ঘাতকটি চর্বি মেশানো মেদের দরজা পেরিয়ে কর্কটক্রান্তি পাহারা দিচ্ছে রক্তাক্ত লবণের অমলেট মাখিয়ে, ২য় ফুসফুসের সংক্রমণ হলেই শৌচাগারে জমে থাকা কার্ডিয়াক টক দই খেতে হয় বলে যারা কালো রংয়ের শ্যাওলার ভেতর নরম বেদানা ঢুকিয়ে নৌকার তৃতীয় প্রহর জাগতে জানে তাদের এ জন্মে কোনদিন রেস্পিরেটরি মেডিসিন খেতে হয় না, ৩য় দ্রোণাচার্যকে ডেকে তুলি রাতের ঊ কার আশ্রম দেখাব বলে , হলুদ সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বেশ্যাদের কালভার্ট পেরিয়ে যাই ধীরে ধীরে, নঙর্থক নৌকার আলো জ্বালি বাদাম খোসার ভেতর আগুন জ্বালি দুগ্ধবতী অমরাবতী শহরে নিয়ে যাই অপ্সরাদের হাড়গোড় , বিবস্ত্র করে ঘাম চাটতে চাটতে পৃথিবীর অন্তঃকঙ্কাল বিশিষ্ট চন্দ্রগ্রহণ শেষ করে মিলিয়ে দেই আমাদের নষ্ট সমুদ্রের পাজামার হাতল  , শ্মশানের আগুনকে কোনদিন বিশ্বাস করতে নেই একাকী ছদ্মবেশে কালো ডিমের ওপর আমারই নিজের জন্মের মোক্ষ বিন্দু দেখি রাজসিক অক্ষরের ভেতর কেউ এই ধূম্র শলাকা জ্বালিয়ে অসদবিম্বের অবতার খুঁজে বেড়ায় , আমার তৃতীয় নামাঙ্কিত ক্ষুরধার মৈথুন দন্ডটি ক্রমশ ম্যাজিকাল অন্তক্ষরা সরীসৃপের বিছানা থেকে বেরিয়ে চাবুক দিয়ে হত্যা করতে করতে বল্কল মোচনের কালো পিপীলিকাদের জরায়ুগ্রস্থ গ্রহের ভেতর থেকে টেনে বের করে আর কৃষ্ণাঙ্গ মৈথুন দ্বন্দ্ব ক্রিয়াপদ থেকে পুঁতে দেয় নষ্ট নক্ষত্রের অদ্ভুত স্তন সমূহ , কালো কালো স্যালাইনের ভেতর মৃত মানুষেরাই ভেসে ওঠে আমি তাদের দীর্ঘ মৃত্যু সর্বস্ব মাতাল যজাতি সৌমিক অন্ধ বাল্মিকী তৃতীয় স্ট্রেচারের মেনকা জগদীশ মুনিদের অ্যামারিল ১ গ্ৰাম চামড়া দিয়ে মুড়িয়ে বিক্রি করছি পিতাম্বরের হাটে ,নিজেকে অভিশাপ দিচ্ছি রোজ ৭ ফোঁটা খাবার পর,

আমি গুমোট পৃথিবীর অতড়িদাহিত হলুদ কবর থেকে লাফ দেই মহাশূন্যের গর্তে, শুকনো শুক্রানু বিশিষ্ট গান পাউডারের বিছানার ভেতর তামাটে লোহার নোঙর থেকে বেরিয়ে অসুস্থ মানুষের মতো ভিক্ষা বীজ তুলি , সালফারের চাঁদে লাফ দিয়ে ডুবে তুলে আনি আমার জন্মঘরের জীবাত্মার থার্ড গোঁসাইকে ,  রক্ত ট্রান্সফিউশন করছে ডক্টর মৈনাক পতৌদি , আমার ফোর্থ জেনারেশনের জেন্ডারে সিগারেটের আগুন ধরাচ্ছে, এগারিকাস ফেভারেট টু থার্ড হিমোগ্লোবিন ফোবিয়া , প্রোডাক্টিভ কফের ব্যবসা করছি আমি ও এক প্রদ্যুৎ দেশের গর্ভপাত ব্যবসায়ী

 

ক্যালসিট্রল তিনইঞ্চি মালভূমি ও অস্ত্রোপচার রুমের দরজার ক্রুতু

 

গিনিপিগের মেরুদন্ডের পেছনেও যে মানুষটা দাঁড়িয়ে থাকে মাকড়সার জীবাণু তৈরি করবে বলে, আমি তার বাৎসরিক শ্রাদ্ধের সপিন্ডকরনের চর্মরেখাবৃত মৃত মাছের অ্যাসিফেট রেজার ব্লেড ঢুকিয়ে দিচ্ছি অসংখ্য প্রেতাত্মার হাড়গোড় , আমিস্ট্রিক্ট পুরুষ শৌচাগারের চেম্বারে ঢুকে যাই জমাট চোখের পিচুটি  নৌসেনার ট্রেনিং মদ নীল নীল স্বপ্ন অলীক হস্তমৈথুন হড়হড়ে রাক্ষস মোল্ডেড দেড় ইঞ্চি সাপের জ্বালানি চিরহরিৎ বিছানা আর ভয়ঙ্কর কুখ্যাত নরম মাংসের দল জলজ হস্তি সংরক্ষণাগার থেকে বেরিয়ে ত্রিভুজ অন্ধকারে আমাকে নিয়ে পুঁজ তৈরির বাদাম গাছের কালো কালো গুণিতকদের ধরে অশ্লীল ভয় দেখাচ্ছে , আমি (...) দৈর্ঘ্যের মৃত্যুকে ভয় পাই না কোন দিন, অথচ  মাঝে মাঝে নিজেই পোশাক উল্টোদিকে ধুয়ে মিলতেই পারফিউমড মার্কা লেসবিয়ান কুম্ভ দেশের ব্যাকটিরিয়াল পোকারা প্রাচীন স্থাপত্যের ভেতরে থাকা রেস্তোরাঁয় উল্টেপাল্টে আমার নষ্ট সমুদ্রের জেলিফিশ ডিম গুলো ভেজে দিচ্ছে, আমাকে চামচ দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জিবের তলায় জমে থাকা প্যারা থাইরয়েডের থেকে জেরুজালেমের মদ বের করছে আমিও মাঝে মাঝে মৃত্যুর বডি স্প্রে গন্ধ পাচ্ছি নরকের চামড়া বিক্রেতাকে বেঁধে রাখি নবীন ইউক্যালিপটাস গাছে , ঈশ্বরের কোনদিন শ্বাস-প্রশ্বাসের রোগ ছিল না বলে হাই ভোল্টেজ জোনে সবুজ জবা লাগাই ,

মৃত্যুকে ভুলে থাকার জন্য সকলেই মাংসের ঝোল রান্না করে খায় পায়ের চামড়া মিশিয়ে , অনেক গর্ত থেকে নিজেই নিজেকে ডাকি দরজার ভেতরে ভয়ংকর ব্রহ্মাকে সিমেন্টের চাদর জড়িয়ে রাখি শীতকালে আর অস্ত্রোপচার রুমে ঢুকে যাই যেখানে কালো ব্যান্ডেজ দিয়ে মুড়ে রাখা আছে জন্মের কোন শরীরী ২৩ তম সংহিতার কথা , দরজা খোলা থাকলে সব গর্ভবতী নারীরা উদ্বায়ী তিন ইঞ্চি মালভূমি পেরিয়ে যায় হিউম্যান ইমিউনিটি ভাইরাসের গৃধ্রিনী পোকাদের অনৈসর্গিক করে তোলার জন্য , আজ রাতে কালকেতু দগ্ধীভূত স্ট্রনসিয়াম মহাপ্রলয়ের আপেল খাবেন জনন ছিদ্রের হিউমার মিশিয়ে

 

রক্ত বিক্রয়ের প্যারানাবিক ও জাহাজের শ্যাওলা পরগামী বিশেষ্য

 

আমি সেই ভিয়েতনাম রেস্তোরার থেকেও আরো ক্রিটিকাল ইউনিটের পর্নোগ্রাফির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হাজারো কম্বোজের নীলাভ রণক্ষেত্রের নাবিকটিকে দেখি একুশ প্লাস মোল্ডেড পারদ স্লিভলেস লাগানো ওয়েবসাইটটিকে দেখতে থাকি যেখানে ট্রাপিজিয়াম রোবটিক আইরন ম্যানের স্পার্ম ডোনেশন ক্যাম্পের কারখানাগুলো সারারাত টিমটিমে আলো জ্বেলে অর্গাজম করে রাস্তার দস্তানা বিক্রেতার মতো, দৌড়ে বেড়ায় ফাঁকা ঘরের কঙ্কালের আদিম বাচ্চারা, অনার্য রঙ খুঁজে শরীরে শরীর ঘষে উত্তপ্ত করে পৃথিবীর ক্ষুদ্র আয়রন ট্যাবলেটটি খায় , সীসা ঢেলে দেয় চোখের ভিতর , নিজের ছাঁচ দিয়ে ঈশ্বর ঘরের মূর্তি বানায় , বিষাক্ত কাটা মাথা ঝুলিয়ে রাখে নিজের দরজার সামনে নোনা মাটিতে আগুনের গুঁড়ো মেশায় পঞ্চশস্যের হাড় মেশায় জাহান্নামের প্রদীপ জ্বালে অসুখ তারলের রস বের করে মন্থন করে সম্ভোগ করে আর সৎ জ্ঞানীর মতো তপস্যা করতে করতে ঈশ্বরীর দুটো স্তনের উপর নরম মাটির প্রলেপ বোলায়, একটা শক্ত পাইপের ভেতরে ঢুকিয়ে রাখা টেস্ট টিউবের মতো ফেটে বেরোতেই দেবে না বলে একদল পাইথন ব্যবসায়ীও সরু আলপিন গাঁথা সারা শরীরে গেঁথে দিয়েছিল হাসপাতালের উলঙ্গ ঘুমোতে থাকা কোন কম্বলের ভ্রুণ, আমি গলকম্বল পাগলের মতো সুখে থাকি তাদের ড্রয়ারের ভেতরে ঢুকে সদ্যোজাতের জন্ম দিয়েছে , আমি লালা মাখা রক্তগুলোকে দুটো হাতে মাখিয়ে আমার সারা শরীরে মেখে নিতে থাকি আর স্নান করতে থাকি অপরিচ্ছন্ন জলে , যেখানে ভেসে বেড়াবে মাসিকগ্রস্থ মহিলাদের ন্যাপকিন, বাচ্চার ডায়াপার অবশিষ্ট খাদ্যের কাঁটা ফেনা ওঠা মূত্রের সরাইখানা আমি অহেতুক মৃত খেজুর গাছের সুগন্ধি নির্যাস আজ্ঞাবাহী নায়িকাটির হাড় গুলো কিনে আনি যারা মৃত খেজুর খেতে থাকে তাদেরও কোনদিন জন্ম তারিখ থাকতে নেই , সকলেই অশ্লীল হয়ে যাবে ৩৬ টি সারভাইভাল রাগিনী শেখার পর। পোশাক পুড়লেই মাথা মাথা কাটা দানবীরা অর্শ রোগের প্রোমমিথাজিল কফের রক্ত ওঠা নশ্বর থকথক হাসপাতালে নাচবে জিব্রাইল জিভের দারুচিনি খাদক সেজে আমি জীবাত্মা বিক্রি করা মৃত্যুর শরীরে কোনদিন সূর্যের পিত্তবমি দেখিনি,


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন