কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / সপ্তম সংখ্যা / ১২৭

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / সপ্তম সংখ্যা / ১২৭

শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

অভিজিৎ বসু

 

কালিমাটির ঝুরোগল্প ১৩২


চোখ

চেহারায় জটিল অনুভূতির অনুভবের খুঁত। পুতুল খেলার পর্ব। চাঁদ বণিকের খেলা। নিখাঁদ আতঙ্কের হাঁড়িকাঠ, ছুরি আর তাতে পানামা খালের জ্যামিতিক উপপ্যাদের বিন্যাস।

হত্যার উদ্দেশ্যে এখানে নিয়ে আসা। চিৎকার করে বলা, শালা কেন একা?

কেন এই হাহাকার বুকের রহস্যময় অসুখে।

এখন ভুলে যাও নদীর কিনারায় কবে শুয়ে থাকা ছায়ার সাথে। ভুলে যাওয়া সেসব দিন যাপনে ভ্যান গঘের দ্য কোর্টইয়ার্ড অব দ্য হসপিটাল অ্যাট আর্লসের সাথে ফিলোসফিক্যালি সত্য মিথ্যার বেসিক পার্থক্য।

:আচ্ছা এখানে এই ইউক্যালিপ্টাস গাছের পাশে আসতে বললে কেন?

:এবার একটু হাসি। রাত নামতে অনেক বাকি। লোকটি খুব শান্তভাবে বলে, হত্যা করবো বলে।

:কাকে?

:কাকে আবার। আঙুল তুলে দেখিয়ে দ্যায় মেয়েটির টসটসে উঁচু হয়ে ওঠা বুক। গোলাপী ব্রেসিয়ার ভেদ করে অনুগামী উচ্চারণের মতো। তারপর লোকটি মেয়েটির নিঃশ্বাসের খুব কাছে গিয়ে বলে, বিশ্বাস করো আমায় তোমাকে হত্যা করবো হয়তো আজই।

মেয়েটি চুপচাপ শোনে।

:তবে কীভাবে হত্যা করবো তোমায়, সেটা তুমি ঠিক করে দেবে। লোকটি কাগজ আর প্যান্টের বাম পকেট থেকে বল পয়েন্ট বের করে। তারপর বলে, লিখে দাও তোমার পছন্দের পদ্ধতি। মানে কেমন ভাবে মরতে চাও তুমি।

:তুমি লিখে নাও। মেয়েটির চোখে একটুও ভয় নেই।

:না তুমি লিখে দাও। জোর খাটাতে থাকে লোকটি।

:ঠিক আছে বলে, খুব শান্তভাবে কাগজ কলম হাতে নেয় মেয়েটি। তারপর তাতে লিখে দ্যায় কিছু। কী এক নিঃস্ব চোখের চাহনিতে তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে। তারপর কাগজটা দলা পাকিয়ে ছুঁড়ে মারে লোকটির ঠিক সামনে।

লোকটি দলা প্যাঁচানো কাগজের ভাঁজ খুলতে থাকে। তাতে লেখা।

‘আঁশটে আতুর অন্ধকারে হত্যা করতে পারো। অথবা যেকোনো ভাবে অথবা জুয়ার টেবিলে হেরে যাওয়ার  একঘন্টা পর। তবে আমাকে হত্যা করার পর চোখ দুটো সঙ্গে করে নিয়ে যেও। চোখের গভীরে হাত দিলে ছেনালি পারফিউম একটু একটু করে ম্লান হবে তখন।

তবে ঠিক তার আগে আমার গোলাপি রঙের একটা চোখ চাই’।

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন