![]() |
কবিতার কালিমাটি ১৪২ |
চম্বল বাতাস এবং পেপসির ছিটকিনি
মাননীয় অঘ্রাণকে বুনো ছায়ায় রেখে সমুদ্রগুপ্ত
ভোরের অভিমুখে গেছিলেন কিনা
জানাননি।
দক্ষিণ
শাখার ৮টা ১৮-এর ধাতব চক্রযানে কালপুরুষের হৃদ অভিযান দেখছি, সে কি জানত ট্রাফিক ভাঙা
জীবন গতি কেমন ভাবে কলার কাঁদির মতো অন্তঃসত্ত্বা হতে পারে?
জিজ্ঞেস করিনি।
এই যে আনন্দমগ্ন বিদ্যুতের সাথে প্রতিযোগিতায়
থাকে ফ্যাকাশে পৃথিবীর মাথা, সবই একপ্রকার আঁধারের সঙ্গে আধারের ঘনিষ্ঠতা।
ঢেউ-এর গণিত শিখে কেন সরে যাও!... হালফেলা মাঝির
মতো চোখ মানলেও অলিন্দে ছোপ ছোপ বর্ষা ধরেছে।
একবারই পাওয়া দেহে রাশভারী আত্মাকে সর্বাভরণ ভূষিতা
দেখি যাকে সে প্রিজম মুখর উৎসালয় ভেবেছে।
আমার ব্যক্তিগত ভ্রমগুলো অবশ্য চম্বল বাতাসের সঙ্গে
পেপসিকে ছিটকিনি দিয়ে আটকায়নি, ফলত ও সাথী চল্ বলে চুল ওড়ানো যেতেই পারে।
মুখপুড়ী
বয়স বেড়েছে;
না, একটু ভুল।
আয়ু বাড়িয়েছে কেউ...
তাও না।
তবে ড্যাম্পওয়ালা মন যন্ত্রটা বিকল হবো বলে কেন?
ধুর!
ওসব ফালতু কথা।
কনফার্মড সিটেরও তো বয়স ধার্য থাকে।
অনেক দিন পর অপূর্ব দহনে দাহ্য হোলাম,
আমি যে মুখপুড়ী!
দারুণ বারণ শোনে না তাই আগুন কর্ম।
পৃথিবী ফেরিওয়ালা নয়
এখন পৃথিবীকে রাজবংশীয় মরালরা দয়াদীঘির খোঁজ
দেয় না।
মূর্তিমান পদ্মনাভগুলি কুশল প্রশ্ন হস্তান্তরিত
করেছে জলীয় উদ্ভিদদের কাছে, কারণবশত মীনেরা গ্লানির কাছে সরোবর চেয়েছে।
অশ্রুর অকাল বোধন হবে বলে যায়নি অচলগ্রন্থি।
ওই প্রান্তের হরিণ ফুলেরা আশ্বাসে মীমাংসা হাতড়াচ্ছে
তট বিছিয়ে, নিশ্চুপ দেখি।
আর্তধ্বনি ধর্মের কাছে ভিক্ষাপ্রাপ্ত সন্দীপনিসম।
মেনেছি পৃথিবী কোনও ফেরিওয়ালা নয় তাই কাঙ্ক্ষিত মুদ্রা নাচে না।
হৃদধাক্কার খবরে অবগত হলাম যে বোঝা কমানোর জন্য
ছায়াহীন হওয়া বাঞ্ছনীয়।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন