কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / সপ্তম সংখ্যা / ১২৭

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / সপ্তম সংখ্যা / ১২৭

শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

বিমান মৈত্র

 



উত্তর দিয়েছেন

নীলকান্তের ঘুম এ সময় উপস্থিত থাকে মগজের অতলান্তপুরে, জাপটে ধরে তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে, কিন্তু সে এলো না।  আসার কথা নানাবিধ বিস্ময়ের স্তুপে চাপা পড়া উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে, এলো মতিভ্রম

বিপরীত খিড়কি দিয়ে। তার স্বভাবই নিচে নামিয়ে আনা। নীলকান্ত মাঝরাতে পথে ঘুরে বেড়ায়। যেমন আজ দেখা হয়ে গেল অনঙ্গমিতার সাথে। দূরে দাড়িয়ে ছিল, ও দেখছিল জনশূন্য রাতে হলুদ আলোয় মুখের একটি দিক, বাতাসের কাছাকাছি উড়ন্ত চুলের সরল বেণীর অর্ধেক পিঠে, বাকিটা ডান কাঁধ অতিক্রম করে তার একটা বুক আর গালের খানিকটায় উড়ুউড়ু। তখনও অনঙ্গমিতা অচেনা, আর কৌতূহলের গলিঘুঁজি পরিয়ে নীলকান্ত পিছনের সামনের দিকে অগ্রসরমান এবং চিনে নিল তাকে, যখন প্রায় কাছাকাছি এসে পড়েছে। তোমাকে চিনি। অনঙ্গমিতা ছিলে গো তুমি!  উচ্চারিত হবার পূর্বেই অক্ষরগুলো পাথরকুচি বরফের মতো তার গালে ধাক্কা খেয়ে উদভ্রান্ত একটুকরো তুমি নীলকান্তকে আশ্চর্য করে ভাস্কর্য অপলক।

না, এ হতে পারে না। কী পারে না? মেয়েকে তুমি এভাবে মদত দিতে পারো না। এভাবে দিনের পর দিন পুরুষাঙ্গ বদলের রাতকে। রোহিতকীর। তাতে কি? আমিও তো উপভোগ করি। আর তুমি এ কথা বলতে পারো না। পারি। কারণ রোহিতকী আমার ঔরস। সে আমাকে চেনার পর তোমার ঔরসকে অস্বীকার করে। তুমি তার মধ্যে এই অস্বীকৃতির বীজ বপন করেছ। বীজ বপন তোমার কাজ, ক্ষেতই জানে কোন বীজ কে  বপন করে। ভুল। বীজও জানে সে কথা। না আআআ... তুমি কি দেখনি ফসলের ফাঁকে ফাঁকে কত আগাছা বপন হয়, কেউ কি জানে? কেউ? ক্ষেতই জানে সে কথা। কারণ সেই শুনেছে জীবনের নেপথ্য সংগীত।

সেই থেকে তোমার প্রস্থান। রোহিতকীরও। যাকে তুমি আমাকে অস্বীকার করতে শিখিয়েছ। তুমিও কি অস্বীকার করতে পারো, তোমার দৃষ্টির লেহনে ছিলো তার নাম ছিল না? রোহিতকীর আগুনে নিজেকে সেঁকার বাসনা? না। তোমার দূষিত জলাশয়ে সে বড় হয়েছে। আর তাই বুঝি ... অনঙ্গমিতার কথা শেষ হবার আগেই রোহিতকীর গাড়ির চাকা ব্রেক কষার শব্দে সচকিত হতেই রোহিতকী উইন্ডো গ্লাস নামালো। হ্যালো নীলকান্ত, মাই ফ্রেন্ড, ফিলোসফার অ্যান্ড মাই বেড-গাইড! ভুলি নাই ভুলবো না নামের এক নার্ভের রুগী, চেয়েছিলাম তোমাকে আমার মতো করে উপভোগ করতে, আর তুমি তুমি নিজের মতো করে। একি ভোলা যায়, প্রথম সেক্স টনিকের ডোজ তুমি ঠিক করে নিলে! সো হোয়াট, কেমন আছো? তোমাকে এই আমার কার্ড, অবশ্যই বাই অ্যাপয়েন্টমেন্ট। নিয়ত আ্যট ইওর সার্ভিস। চল মিতা, একটা বেহুঁশ গাড়ি চলে গেল।

এবার নীলকান্ত হাঁটবে, হাঁটবে আর হাঁটবে। হেঁটেই পিছনের সামনের এগিয়ে যায় সেই পিপাসার উত্তরাধুনিক, কোথায় চলেছে সেই তুমি ...


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন