প্রতিবেশী সাহিত্য
ঘনশ্যাম ত্রিপাঠির কবিতা
(অনুবাদ : মিতা দাশ)
কবি
পরিচিতিঃ
জন্ম – ১৯৬৯ সালের ৩রা অক্টোবর, মধ্যপ্রদেশের সাতনায়। এখনও পর্যন্ত দুটি কবিতা
সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। কর্মসূত্রে তিনি ভিলাই স্টিল প্ল্যান্টে কর্মরত।
কে! সে?
কে! সে?
কে সে যে আয়নায়
আমার আগে এসে পৌঁছোয়
পাত কুয়োর মাটি থেকে আমায়
এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে
কাগজে চাপা অক্ষরগুলির আড়াল থেকে
কখন স্পষ্ট হয়ে উঠে আসে
যদি কথা না মানি
তেড়ে – মেড়ে ঝগড়া করতে আসে
আমার নিজের একান্তে সে
হুট – হাট নিজের মর্জি মাফিক চলে আসে
দিন – রাত ছায়ার মত
সাথে – সাথে হাঁটে
আমি ওকে সমীহ করি
ও সঙ্গে না থাকলেও ভয় পাই
সে আমায় যত ভালবাসে
আমি ওর থেকে বিরক্তও ততই
চৌমাথায় দাঁড়িয়ে থাকি অসহায়
ভুলে যাই পথ
ধীরে – সুস্থে কানের কাছে এসে সে
একটি মন্ত্র দিয়ে যায় ফু দিয়ে
বলে
বাম দিকে হাঁটো
পরিচয় দেয় না
সে আমার প্রতিচ্ছবি আমারই প্রতিরূপ
কে! সে?
গ্রামের দুঃখ
শহর থেকে কেউ আসে না,
না ডাক্তার, না কর্মকর্তা,
না দরকারি সরকারি কর্মচারী,
শহর থেকে সুদ আদায়ের তথ্য আসে,
থালা-বাটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
শহর থেকে কেউ ফিরে আসে না,
খবর আসে শহর থেকে
সব সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও
সরকারি বাড়িতে জায়গা খুব কম।
যাদের লড়তে দেখা যায়
সংসদে বা রাজপথে যাদের লড়াই করতে দেখা যায়,
তাদের মধ্যে কয়েকজন শুধুমাত্র লড়াই করে আর বাকিরা
শুধু দেখে।
ভণ্ডামি, ফাঁপা ধ্যান-ধারণা ও প্রতিবদ্ধতাকে অঙ্গীকার
করে
এই গণতন্ত্র শূন্যতায় সমৃদ্ধ।
যারা লড়ছে তারা আসলে বিক্ষিপ্ত হয়ে গেছে ও বিভিন্ন
পতাকা নিয়ে,
প্রতিরোধের ধারা আলাদা - আলাদা পথে নেমেছে
তাদের রথগুলো আলাদা হয়ে গেছে।
এটা নিশ্চিত যে সাধারণ মানুষ যারা লড়াই করছে
এবং যারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং যাদের কেবল
লড়াই করতে দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে পিষ্ট হবে।
এভাবে ওরা ক্ষমতায় থাকে বা
বাইরে থাকে
বুনো কুকুরের মত কিন্তু ঐক্যবদ্ধ থাকে!
ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুন