![]() |
কবিতার কালিমাটি ১৪২ |
জড়বুদ্ধি সম্পন্ন
(১)
পোড়া ছাই
দুঃখকে দাফন করলে
সে তো সেজদা জানায় না
চর্চার বাইরে অনেক পুজো-আচ্চা নামাজ
মানুষের-সলতে হয়ে
রোবটগুলোর ধর্মান্ধতা ধোঁয়ায় জানাবে
অপেক্ষা করে
রোদও লুকিয়ে ছিল ছায়ার ব্লাউজ
(২)
রোদের ঝক্কি
টাকমাথা গাছতলা দেখে
মনের ভিতর দড়ি ফেলে বালতি চুবিয়ে
কী ঠান্ডা এই পরিবর্তন
গনগনে গোলাপ
খিদে নিয়ে কেউ টুঁ করছে না
কেউ বুঝছেই না কত ছুটোছুটি ইঁদুরের
(৩)
স্থির বিন্দু থেকে শব্দ টেনে ধোঁয়া
কী আশ্চর্য দেখা যাচ্ছে না
চোখের মণি বিশ্বাসের তামাক অবধি
তেলচিটে নোনাধরা
সব কথার খেলাপ ঘুঁটেয় ঢাকছে
চেপে রাখা বাতকর্মের-পুঁ পুঁজিবাদী
খোলামেলা উতলা স্তন
জাহাজের গোপন মাস্তুল খুলে হাসছে
(৪)
ওদিকে তাকানোর ভিসা নেই
পাসপোর্টের ডানা
ডালপালা কেটে ছেঁটে হুমকি দিচ্ছে আজকাল
কেউ গায়ে গতরে তেল মাখছে না
হাওয়ার নাম বদলে তালা ঝোলানো
মুখ-ফসকে একটা ইশারাও পাঠানো যাচ্ছে না
নাক-কান-চোখ বোজা গাছের অভিনয়ে
আজ বহুরূপী
ওয়াইনের বাঁশি থেকে চুঁয়ে পড়ছে বিড়াল
সরগম
(১)
উসকোখুসকো নক্সার
কালোপর্দায় প্রাজ্ঞচাঁদ
ওলট-পালট বাতাসের ঝিঁঝি
শব্দরূপ ডানার লালছুরিতে
অস্ফুটের গোলাপআভা
সোঁদা-দেখার বারান্দা
অস্তিত্বের ফাঁটল
শুঁয়োপোকা থেকে হয়ে উঠছে রেশম
(২)
সূর্যের ডানাভেঙে
মন্দাক্রান্তা মনে এল
অসার যেসব কল্পনা
ফালিফালি রোদের মোনাজাত
স্নানসেরে ছবির দর্শক
অত্যন্ত রাশভারী উপায়ান্তরে তোলা
বর্ষার শরীরের বালি
ভোরের আভাস
দূরবীনে নিরক্ষরেখার দূর-দূরান্ত
(৩)
রোদের রক্ত চেঁচে ছায়ার সিঁড়িভাঙা
নক্ষত্রের অস্পষ্ট
দেশলাই বাক্সের অব্যক্ত ফাঁকা
ব্রহ্মের কথাগোটানো নৌকা
অতল কুয়োর দিকেই
(৪)
পঙ্ক্তির ভেতর ডুবোডুবো
সরীসৃপ
একলা গিটার অবদি পিঠ খুলে
আধপোড়া
ভঙ্গুর উসকে
চোখও তুলোর স্ফটিক
একেবারে শূন্যে
কেটেকুটে এক টুকরো
বরং পর্যাপ্ত খরচ
মসৃণ করছে আকাশ
(৫)
মাছের গায়ে যেসব মাছরাঙা
সোহাগের উলবুনে
হাওয়াকেও করে তুলছে আতর
তার বুকেই মাখামাখি গড়াগড়ি
মায়ের আদর
রকমফেরে আভূষণ নদীর
(৬)
একবাক্যে পৃথিবীর মুঠোয়
বৃদ্ধ ধ্যানমগ্ন শূন্য-ডানা
মই বেয়ে গভীর কুয়ো বাড়াচ্ছে
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন