![]()  | 
| কবিতার কালিমাটি ১৪২ | 
মাপা - জানলা 
আরো কয়েক বছর বাঁচলে। 
আত্মা এবং শব্দহীন লন্ঠন 
পরস্পরকে চুমু খাবে। গাছ
খুলে বেরোনো আব্বুলিসকেও। 
উড়ে যায় তারপর । ভালোবাসা 
ও মৃত্যুরও কিছু বলার থাকে। 
দুর্গাপুজোয় জানলা বসে বসে 
ধুনুচি নাচ দেখে । সবুজ ট্রাফিক
বারে বসে এক গ্লাস অন্ধকার 
মাপছে। বিশ্বাস শব্দটার জন্য। 
একাধিক সাক্ষী রাখে বৃষ্টি । 
বৃষ্টির ছায়া আঁকতে আঁকতে
এক ফোঁটা চাঁদ আনে বিনোদিনীর। 
লজিক - জানলা 
আলো। না দেখার ভান করে। 
নোলক খুলে। তর্পণ --
জল খুলে অনন্তশয়ানে যায়। 
কেউ কেউ সকাল বেলা
অনেক কথা বলে। দড়ি ও 
কলসি, সামনে এসে থামে। 
জানলা রাস্তা বাতির পাশে দাঁড়িয়ে। 
তিনচাকাওয়ালা সাইকেলকে 
হাত নাড়ে। ভালোবাসা নামছে 
এসাইলামের সিঁড়ি বেয়ে। জানলা, --
জীবনকে লজিক এবং 
যামিনী বোঝাতে থাকে। 
মন - জানলা 
অনেক রং দেখলে। 
মনে হয় এটাই শেষ। 
কখনো জন্মদিন কে মনে হয়। 
সোমবার বা সমুদ্রের সুর। 
তার ভাষা শুনতে চেষ্টা করি। 
পাপ এবং পুণ্য। 
হারমোনিয়াম বাজিয়ে জানলার 
মন জয় করার চেষ্টা করে। 
তাহলেই খুলে যাবে সীমাহীন স্বয়ং। 
চোখে শীত শেষ হয়ে এলো। 
অবহেলায় জানলা টেক্কা ফেলে। 
গাইছে বিসর্জনের অনন্ত।

0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন