কালিমাটির ঝুরোগল্প ১২০ |
বাচাল
রাজীব লাহিড়ি কম কথার মানুষ। বেশি কথা বলা তার পোষায় না। অন্য কেউ বেশি কথা বললে বিরক্ত হয়। ভাবে, এত কত কথা বলার কী দরকার! খুব কম কথাতেই তো সব কথা বলা যায়! না, কথা বললে আয়ুক্ষয় হয়, সেকেলে এসব ধারণা নিয়ে সে চলে না। বরং তার ধারণা বেশি কথায় কথার ওজন কমে যায়, ঘনত্ব হ্রাস পায়, এমনকি আপেক্ষিক গুরুত্বও মার খায়। চন্দ্রাণীকে কনে দেখা আলোয় যেদিন প্রথম দেখেছিল, তেমন পছন্দ হয়নি। কেমন যেন রুক্ষ, কাঠ-কাঠ। চাঁদের মোলায়েম আলো আদৌ খুঁজে পায়নি চন্দ্রাণীর চোখে মুখে। কিন্তু রাজীব জানত, ভালো লাগার কথা সংক্ষেপে বলা গেলেও ভালো না লাগার কথা বিশদেই বলতে হয়। কেন ভালো লাগেনি, পছন্দ হয়নি কেন, কী কী খুঁত আছে, তার কেমন মেয়ে পছন্দ ইত্যাদি অনেক প্রশ্নবাণ ছুটে আসতে পারে। রাজীব তাই সরাসরি মুখ ফুটে বলেছিল, মন্দ নয়। না, রাজীব কিন্তু ভালো বলেনি আদৌ। কিন্তু তাতেই যা হবার হয়ে গেল, চন্দ্রাণীর সঙ্গে তার বিয়েটা হয়ে গেল।
চন্দ্রাণী তার কাঠ-কাঠ মুখ ও চেহারা
নিয়েই বিয়ের পরের দিনই খট-খট পায়ে অনুপ্রবেশ করেছিল রাজীবের অন্তঃপুরে।
তবে চন্দ্রাণীকে বিয়ে করে যে ভুল
করেছে, এমন ভাবনাকে প্রশ্রয় দিতে রাজীব একেবারেই গররাজী। বরং ফুলশয্যায় শেষরাতে চন্দ্রাণীর কাঠ-কাঠ মুখ ও শরীরের অন্তরালে
তুলতুলে এক আশ্চর্য রহস্যের মুখোমুখি হয়ে রীতিমতো ঘামতে শুরু করেছিল রাজীব। এবং এতটাই
ঘেমেনেয়ে উঠেছিল যে, চন্দ্রাণী তার অর্জিত অভিজ্ঞতায় ভেবেছিল, রাজীবের হয়তো হঠাৎ হৃদস্পন্দনে
কোনো সমস্যা দেখা দিয়েছে। কেননা এর আগে ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল, যেদিন মাঝদুপুরে চন্দ্রাণী
তার বয়ফ্রেন্ড অজয়ের সঙ্গে প্রথম মিলিত হয়েছিল। বেচারি অজয়, সেই যে চন্দ্রাণীর সংসর্গে
তার হার্ট নড়েচড়ে গেছিল, তার কয়েক দিন পরেই তো হার্ট পুরোপুরি ফেল করল। কথাটা মনে হতেই
চন্দ্রাণী তৎপর হয়ে উঠল। রাজীবকে বোঝালো, তুমি ভয় পেয়ো না, এখনই হাসপাতালে চলো। জানো
তো, ঠিক এমনই ঘটেছিল অজয়ের।
রাজীব অবাক হলো। প্রশ্ন করল, অজয়
কে?
বিপদের সময় কখনও মিথ্যেকথা বলতে
নেই। তাতে বিপদ বাড়ে। চন্দ্রাণী বলল, অজয় আমার বয়ফ্রেন্ড
ছিল।
-সেকী!
-হ্যাঁ, অজয়ের সঙ্গে প্রথম ও শেষ
যেদিন মিলিত হয়েছিলাম, সেদিনও এই ঘটনাই ঘটেছিল। তোমার মতোই অজয়ের হার্ট অ্যাটাক করেছিল।
সঙ্গে সঙ্গে আমি অজয়কে নিয়ে হাসপাতালে ছুটেছিলাম।
রাজীব গোল-গোল চোখে চন্দ্রাণীর
কথা শুনছিল।
-তারপর?
-অজয় বাঁচল না। মরে গেল। আমি চাই
না, তুমিও মরে যাও। সবে আমি তোমার বউ হয়েছি। আর দেরি কোরো না। এখনই হাসপাতালে যাওয়া
দরকার। না হলে বিপদ হতে পারে।
রাজীব এবার রেগে গেল। চাপা গলায়
বলল, চুপ! একদম চুপ!
রাজীবের দাবড়ানিতে চন্দ্রাণী হকচকিয়ে
গেল। হাঁ করে তাকিয়ে থাকল রাজীবের মুখের দিকে।
রাজীব বলল, তুমি এত কথা বল কেন?
আমি তো জানতে চাইনি তোমার অতীতের কথা! তাহলে বলছ কেন? কথা কম বল!
বাচাল
রাজীব লাহিড়ি কম কথার মানুষ। বেশি
কথা বলা তার পোষায় না। অন্য কেউ বেশি কথা বললে বিরক্ত হয়। ভাবে, এত কত কথা বলার কী
দরকার! খুব কম কথাতেই তো সব কথা বলা যায়! না, কথা বললে আয়ুক্ষয় হয়, সেকেলে এসব ধারণা
নিয়ে সে চলে না। বরং তার ধারণা বেশি কথায় কথার ওজন কমে যায়, ঘনত্ব হ্রাস পায়, এমনকি
আপেক্ষিক গুরুত্বও মার খায়। চন্দ্রাণীকে কনে
দেখা আলোয় যেদিন প্রথম দেখেছিল, তেমন পছন্দ হয়নি। কেমন যেন রুক্ষ, কাঠ-কাঠ। চাঁদের
মোলায়েম আলো আদৌ খুঁজে পায়নি চন্দ্রাণীর চোখে
মুখে। কিন্তু রাজীব জানত, ভালো লাগার কথা সংক্ষেপে বলা গেলেও ভালো না লাগার কথা বিশদেই
বলতে হয়। কেন ভালো লাগেনি, পছন্দ হয়নি কেন, কী কী খুঁত আছে, তার কেমন মেয়ে পছন্দ ইত্যাদি
অনেক প্রশ্নবাণ ছুটে আসতে পারে। রাজীব তাই সরাসরি মুখ ফুটে বলেছিল, মন্দ নয়। না, রাজীব
কিন্তু ভালো বলেনি আদৌ। কিন্তু তাতেই যা হবার হয়ে গেল, চন্দ্রাণীর সঙ্গে তার বিয়েটা
হয়ে গেল। চন্দ্রাণী তার কাঠ-কাঠ মুখ ও চেহারা
নিয়েই বিয়ের পরের দিনই খট-খট পায়ে অনুপ্রবেশ করেছিল রাজীবের অন্তঃপুরে। তবে চন্দ্রাণীকে বিয়ে করে যে ভুল
করেছে, এমন ভাবনাকে প্রশ্রয় দিতে রাজীব একেবারেই গররাজী। বরং ফুলশয্যায় শেষরাতে চন্দ্রাণীর কাঠ-কাঠ মুখ ও শরীরের অন্তরালে
তুলতুলে এক আশ্চর্য রহস্যের মুখোমুখি হয়ে রীতিমতো ঘামতে শুরু করেছিল রাজীব। এবং এতটাই
ঘেমেনেয়ে উঠেছিল যে, চন্দ্রাণী তার অর্জিত অভিজ্ঞতায় ভেবেছিল, রাজীবের হয়তো হঠাৎ হৃদস্পন্দনে
কোনো সমস্যা দেখা দিয়েছে। কেননা এর আগে ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল, যেদিন মাঝদুপুরে চন্দ্রাণী
তার বয়ফ্রেন্ড অজয়ের সঙ্গে প্রথম মিলিত হয়েছিল। বেচারি অজয়, সেই যে চন্দ্রাণীর সংসর্গে
তার হার্ট নড়েচড়ে গেছিল, তার কয়েক দিন পরেই তো হার্ট পুরোপুরি ফেল করল। কথাটা মনে হতেই
চন্দ্রাণী তৎপর হয়ে উঠল। রাজীবকে বোঝালো, তুমি ভয় পেয়ো না, এখনই হাসপাতালে চলো। জানো
তো, ঠিক এমনই ঘটেছিল অজয়ের। রাজীব অবাক হলো। প্রশ্ন করল, অজয়
কে? বিপদের সময় কখনও মিথ্যেকথা বলতে
নেই। তাতে বিপদ বাড়ে। চন্দ্রাণী বলল, অজয় আমার বয়ফ্রেন্ড ছিল। -সেকী! -হ্যাঁ, অজয়ের সঙ্গে প্রথম ও শেষ
যেদিন মিলিত হয়েছিলাম, সেদিনও এই ঘটনাই ঘটেছিল। তোমার মতোই অজয়ের হার্ট অ্যাটাক করেছিল।
সঙ্গে সঙ্গে আমি অজয়কে নিয়ে হাসপাতালে ছুটেছিলাম। রাজীব গোল-গোল চোখে চন্দ্রাণীর
কথা শুনছিল। -তারপর? -অজয় বাঁচল না। মরে গেল। আমি চাই
না, তুমিও মরে যাও। সবে আমি তোমার বউ হয়েছি। আর দেরি কোরো না। এখনই হাসপাতালে যাওয়া
দরকার। না হলে বিপদ হতে পারে। রাজীব এবার রেগে গেল। চাপা গলায়
বলল, চুপ! একদম চুপ! রাজীবের দাবড়ানিতে চন্দ্রাণী হকচকিয়ে
গেল। হাঁ করে তাকিয়ে থাকল রাজীবের মুখের দিকে। রাজীব বলল, তুমি এত কথা বল কেন?
আমি তো জানতে চাইনি তোমার অতীতের কথা! তাহলে বলছ কেন? কথা কম বল!
|
বাচাল
রাজীব লাহিড়ি কম কথার মানুষ। বেশি কথা বলা তার পোষায় না। অন্য কেউ বেশি কথা বললে বিরক্ত হয়। ভাবে, এত কত কথা বলার কী দরকার! খুব কম কথাতেই তো সব কথা বলা যায়! না, কথা বললে আয়ুক্ষয় হয়, সেকেলে এসব ধারণা নিয়ে সে চলে না। বরং তার ধারণা বেশি কথায় কথার ওজন কমে যায়, ঘনত্ব হ্রাস পায়, এমনকি আপেক্ষিক গুরুত্বও মার খায়। চন্দ্রাণীকে কনে দেখা আলোয় যেদিন প্রথম দেখেছিল, তেমন পছন্দ হয়নি। কেমন যেন রুক্ষ, কাঠ-কাঠ। চাঁদের মোলায়েম আলো আদৌ খুঁজে পায়নি চন্দ্রাণীর চোখে মুখে। কিন্তু রাজীব জানত, ভালো লাগার কথা সংক্ষেপে বলা গেলেও ভালো না লাগার কথা বিশদেই বলতে হয়। কেন ভালো লাগেনি, পছন্দ হয়নি কেন, কী কী খুঁত আছে, তার কেমন মেয়ে পছন্দ ইত্যাদি অনেক প্রশ্নবাণ ছুটে আসতে পারে। রাজীব তাই সরাসরি মুখ ফুটে বলেছিল, মন্দ নয়। না, রাজীব কিন্তু ভালো বলেনি আদৌ। কিন্তু তাতেই যা হবার হয়ে গেল, চন্দ্রাণীর সঙ্গে তার বিয়েটা হয়ে গেল।
চন্দ্রাণী তার কাঠ-কাঠ মুখ ও চেহারা
নিয়েই বিয়ের পরের দিনই খট-খট পায়ে অনুপ্রবেশ করেছিল রাজীবের অন্তঃপুরে।
তবে চন্দ্রাণীকে বিয়ে করে যে ভুল
করেছে, এমন ভাবনাকে প্রশ্রয় দিতে রাজীব একেবারেই গররাজী। বরং ফুলশয্যায় শেষরাতে চন্দ্রাণীর কাঠ-কাঠ মুখ ও শরীরের অন্তরালে
তুলতুলে এক আশ্চর্য রহস্যের মুখোমুখি হয়ে রীতিমতো ঘামতে শুরু করেছিল রাজীব। এবং এতটাই
ঘেমেনেয়ে উঠেছিল যে, চন্দ্রাণী তার অর্জিত অভিজ্ঞতায় ভেবেছিল, রাজীবের হয়তো হঠাৎ হৃদস্পন্দনে
কোনো সমস্যা দেখা দিয়েছে। কেননা এর আগে ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল, যেদিন মাঝদুপুরে চন্দ্রাণী
তার বয়ফ্রেন্ড অজয়ের সঙ্গে প্রথম মিলিত হয়েছিল। বেচারি অজয়, সেই যে চন্দ্রাণীর সংসর্গে
তার হার্ট নড়েচড়ে গেছিল, তার কয়েক দিন পরেই তো হার্ট পুরোপুরি ফেল করল। কথাটা মনে হতেই
চন্দ্রাণী তৎপর হয়ে উঠল। রাজীবকে বোঝালো, তুমি ভয় পেয়ো না, এখনই হাসপাতালে চলো। জানো
তো, ঠিক এমনই ঘটেছিল অজয়ের।
রাজীব অবাক হলো। প্রশ্ন করল, অজয়
কে?
বিপদের সময় কখনও মিথ্যেকথা বলতে
নেই। তাতে বিপদ বাড়ে। চন্দ্রাণী বলল, অজয় আমার বয়ফ্রেন্ড
ছিল।
-সেকী!
-হ্যাঁ, অজয়ের সঙ্গে প্রথম ও শেষ
যেদিন মিলিত হয়েছিলাম, সেদিনও এই ঘটনাই ঘটেছিল। তোমার মতোই অজয়ের হার্ট অ্যাটাক করেছিল।
সঙ্গে সঙ্গে আমি অজয়কে নিয়ে হাসপাতালে ছুটেছিলাম।
রাজীব গোল-গোল চোখে চন্দ্রাণীর
কথা শুনছিল।
-তারপর?
-অজয় বাঁচল না। মরে গেল। আমি চাই
না, তুমিও মরে যাও। সবে আমি তোমার বউ হয়েছি। আর দেরি কোরো না। এখনই হাসপাতালে যাওয়া
দরকার। না হলে বিপদ হতে পারে।
রাজীব এবার রেগে গেল। চাপা গলায়
বলল, চুপ! একদম চুপ!
রাজীবের দাবড়ানিতে চন্দ্রাণী হকচকিয়ে
গেল। হাঁ করে তাকিয়ে থাকল রাজীবের মুখের দিকে।
রাজীব বলল, তুমি এত কথা বল কেন?
আমি তো জানতে চাইনি তোমার অতীতের কথা! তাহলে বলছ কেন? কথা কম বল!
গল্পটা ভালো
উত্তরমুছুন