![]() |
কবিতার কালিমাটি ১৪৫ |
আশ্বাস
বিকেল হলেই ভাঙা মিনারের ছায়া আরও নুয়ে পড়ে
ফিঙের নজর থেকে বেঁচে যাওয়া ঘাস ফড়িং ঐ ছায়ায় মমতা
খোঁজে
হয়তো ভাবে কী সুন্দর সন্ধ্যা নামছে
এই সোঁদা ভাপের গন্ধ নিতে আর একটা দিন যদি পাই
তো
ভাঙা মিনার আরও নুয়ে এসে অন্ধকারে ঢেকে ফেলে ফড়িং
ও মৃত্যুর ভয়কে।
সুরক্ষা
আমাকে আরও দুমড়ে ফেল প্রভু,
আর যেন কখনো চোখে চোখ রাখা
প্রতিস্পর্ধা না হয়ে উঠি
অবশ্য তাতে আমার খুব বেশি পরাজয় হবে না
কারণ আমি নিজের শরীর দিয়ে ঢেকে রেখেছি আমার কবিতা
সব,
আমাকে সরালে ওরা সব উড়ে উড়ে ছড়িয়ে পড়বে শহরে ও
গ্রামে
এমন কী তোমার বিগ্রহের গায়েও লেগে যেতে পারে হাওয়ার
কৌশলে।
মৃত্যুর চিঠি
সারাদিন ধরে যে সব ভাবনা পুড়েছে অকরুণ
রাতে ঝড়ের মুখে ছেড়ে দিই তাদের
বেশ কয়েকটা টবের গাছ আলসে থেকে ঝাঁপ দেয় অন্ধকারে
যেন আগুন থেকে বাঁচতে চেয়ে চারতলার জানালা ভেঙে
নিচে পড়তে চায় প্রাণ...
বাঁচা মানে তো সময়ের গায়ে অগণিত ক্ষতের হিসেব রাখতে
রাখতে পাগলের চুল ছেঁড়া চিৎকার
ফোস্কা পড়া
এই সময়কে নিয়ে টলতে টলতে এক অনন্ত সিঁড়ি নামিয়ে নিয়ে যাচ্ছে নিজেকে
দেখছি যতদূর দেখা যায়
মানুষ মানুষের ধ্বংস সাজাচ্ছে পরিপাটি
শুধু প্রকৃতি সুন্দর হলেই স্বর্গ হয় না
মৃত্যুর চিঠি যদি গোঁজা থাকে ধর্মের কোটরে।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন