![]() |
কবিতার কালিমাটি ১৪৫ |
হরিণের একটা জীবন আছে, প্রতি-জীবন
আছে
(৭)
হরিণ
আর একটা লাফানো, ‘স্যুইং-ডোর’-এ, কাঁপল। হরিণের কি নেই আর কী যে…
হাসল
বলেই, দরজায় বেশ জেল্লা, বাইরে উর্দু-স্কুটার, হিন্দি-বাইক, হাওয়া ভর্তি বাংলার গৌরব
কি
হতে পারে এই লাফ আর হরিণের ফাঁকে, আরেকটা লাফ, হতে পারে
হরিণ
চাটছে।
ঘাসের
গন্ধ।
গৌরব
হাওয়া।
হরিণের
লাফ, বৈরী সংশয়ে খুব রাঙা, যেভাবে বিকেল হয়
কলকাতার
(৮)
হরিণ
হরিণা, খুব হাসল
মানুষ
আর রুমাল, রুমাল আর নাকঝাড়া
মিছিল
থেকে ছিল
এর
ভেতরে হরিণের পা
মানুষের
গন্ধে প্রাক-সন্ধ্যা পেরোয়
মানুষ
ভাবে ভয়
মানুষ
ভাবে না যে হরিণও অবাক হতে পারে
হরিণ
হরিণা
কথা
বলল দ্রুত গতিহারা বিকেলের আলোয়
হরিণপ্রভ
হরিণাভিরাম
আলো
একটা
অস্ত, এতটাই মানুষের চোখে
হরিণার
চোখ টানা
হরিণেরও
ফেলে
দেয়া নষ্ট নীলাভ ডিম তুলে নিচ্ছে তুচ্ছ বালক
দেখে
হরিণ
‘চাইল্ড-লেবার’
নিয়ে ব্যস্ত একটা দিন
নামে,
রাতের টেবিলে
সেমিনারের
গন্ধে চেগে ওঠা সারাদিনই
হরিণ
হরিণা
হাসিতে
মানুষের
এই পর্যায় হাস্যকর এতটাই…
(৯)
হরিণের
ছাল-তোলা চীর-চিৎকার
সরিয়ে
ক্রমবিকাশ
এল, আমাদের পাড়া বললে পাড়া
অথবা
এ দেশে
প্রতি-হরিণের
কিন্তু ওই এক সর্বনাশ
তাকাবে
ফেলে
দেবে
আনচান
ফোটাদুরস্ত সন্ধ্যা-লি
লি
বাঙালির
ছাল
এক মর্ম, ঘরের দেয়ালে
হরিণ
একটা ছবি
হরি
ভগবান
রিন
জটিল তাই ধুয়ে মেলে দেয়
পোষাক
শিং
খুরে-খুরে
মেঘ হয়ে এল
ক্রমে
ভয়
অন্তর
তর
ভয়
প্রতি-হরিণের ঢোকে
অপেক্ষাবিরল-হরিণ
এল
বা আসছে বা আসবে না
খুব
কাছে কোনও জঙ্গল নেই
খুব
দূরেও
আর
নেই…
(১০)
হরিণ
ভুলে গিয়ে ঠিক করা প্রতি-হরিণের মাংসে
ছবি
তোলা
কষানো
মানা
হলেও বিদ্যুৎ চমকাবে
মাংস
সেই কবেকার অবরোধের কথায়
মনে
আছে
সাজিয়ে
দিল কার্তুজে পাওয়া ‘জয়-রাইড’
হরিণ
পা ফেরত চাইছে
চড়বে
প্রতি-হরিণের
দিকে ফুরন্ত সব চাওয়া ছুটছে
কেলো
থেকে
‘কে এল’ অবধি আলোচনার ডিম
সমস্যা
হরিণের
হাসছে
ঘোড়ারা
জীবনের
প্রতি-মার্কা জীবন
বেশ
ঝুঁকে
কী
যেন দেখছিল
জায়গাটা
বেশ নির্জন
আর
সিকিম সিকিম
আঁৎকে
ওঠা অবধি হরিণটা থাক
প্রতি-হরিণ
বা
আমি
একটা
অব্যবহৃত ল্যাম্পপোস্ট
ও
আমি
কবে
যে আবার আদমশুমারি হবে এই ভাবনায়
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন