কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১৩১

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১৩১

বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫

অর্ঘ্য দত্ত বক্সী

 


ধারাবাহিক উপন্যাস 

সত্যান্যাস

অথবা

গোদার দেখে ৩৮৬টি মনোলগ

গায়ের জোরে বলা উপন্যাস

 


A social media studies

যে বাজার থেকে মুক্ত সে মুক্ত

 

 

উৎসর্গ

ঋতস্বিনী দত্ত বকসী (কন্যাটি)

 

ঋণ, অনুপ্রেরণা ও কৃতজ্ঞতা

 

তরুণ গোদার

সর্বপ্রিয়ানন্দ

কপিল শর্মা শো

মৌমিতা ঘোষ

চন্দ্রিল

নিখিল ব্যানার্জি

অর্ণব নাথ

          এবং

                    ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব

 

 


 (এই লেখাটি লেখার একটাই উদ্দেশ্য। যদি একে যাতে একে উপন্যাস বলা যায় তবে যে কোন সাক্ষর ব্যক্তি কলম তুলে নিতে প্ররোচিত হবে! দীর্ঘদিন না লিখে হাতে জং ধরে গেলে, ব্রেন বেশি কাজ না করলে আর পড়ার অভ্যাসও পুরোপুরি চলে গেলেও কীভাবে উপন্যাস লিখতে হয় তারই এটি একটি উদাহরণ! মূল ইন্সপিরেশন অবশ্যই তরুণ GODARD—BREATHLESS! সেই ২০০৭-এর পর কাকতালীয়ভাবে আবার প্রথম পর্যায়ের গোদার দেখতে বসে মনে হল, আরে! সবাই সিনেমা বানাতে পারে, সবাই উপন্যাস লিখতে পারে তা সে যতই স্মার্টফোনে ক্ষয়ে যাক না কেন মেধা! যখন হাতে রইল শুধুই সোশ্যাল মিডিয়া, তখন ফর্মে ও কন্টেন্টে না হয় তাই হল উপন্যাস, নিরক্ষরদের উপন্যাস! ব্যাস, সকলেই একটি করে অন্তত উপন্যাস লিখুন! কারণ আপনাদের সকলের কাছেই একটি করে স্মার্টফোন আছে!উপন্যাসটি লেখার সময় খাতার প্রতিটি নতুন পাতা এক একটি নতুন অধ্যায়। সুতরাং যে কোনও পাতা থেকে যে কোনও পাতায় চলে যাওয়া সম্ভব। পরে এডিটিং এর সময় আরো যাতে সেন্ট্রিফিউগাল হয়ে যায় সেদিকেই নজর রাখা হয়েছে। একে উপন্যাস বলা যায় কিনা তা নিয়েও তর্ক হয়েছে অতি নিকট বৃত্তে।)

 

আমার কাছে কোনো অপশন ছিল না। আমার শুরুর শুরু চরম প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাংরি জেনারেশন সাহিত্য দিয়ে। শুধু যে কার কার লেখা পড়তে হবে তারই নির্দেশ ছিল না, কি অর্ডারে কার পর কাকে পড়তে হবে তাও সুনির্দিষ্ট আদেশ ছিল। সাহিত্যের থিওরী পড়াতেও স্বাধীনতা ছিল না। সুররিয়ালিজম হয়ে পোস্ট মডার্ন থিওরী পড়তে হবে, হয়, আমাদের বন্ধুবান্ধবদের ওই পথেই যেতে হয়। সোজা পথ, 1 লক্ষ্য 86 হাজার মাইল, শুধু give up করা যাবে না মাঝপথে! কমলকুমার মজুমদার পড়তে গজদাঁত ভেঙে গেলেও নিরন্তর অভ্যাসে সেটা মজ্জাগত করে নিতে হবে, এই ছিল নির্দেশ।

সিনেমার ক্ষেত্রেও স্বাধীনতা ছিল না কোনো। তিতাস একটি নদীর নাম বা ব্যাটল শিপ পোটেমকিন জাতীয় সাদাকালো দেখতে দেখতে বারবার ঘুমিয়ে পড়ে আবার পরে পুরো দেখতে হয়েছে। কারণ আমায় বলা হয়েছে এগুলি ক্লাসিক। এগুলি শ্রেষ্ঠতম আর্ট ইভেন্ট! আমার কোনো অপশন এখানেও ছিল না। মিউজিকের হাতেখড়ি সুমন দিয়ে, পীযূষকান্তি দিয়ে। ক্রমশ জন লেনন, বব ডিলান, পিটি সিগার, জন ডেনভার, জ্যাজ, ব্লুজ, বাউল গান পরপর। সুকঠিনভাবে নির্দিষ্ট অর্ডারে!

তাই আমরাও ছোট বাক্স, আর সকলের মতো! অল্টারনেটিভ এর ছোট বাক্স। এক একটা লিটল মাগ!

তবে যখন সব সম্পর্ক ছাড়লাম, মানে আপনা থেকে ছেড়ে গেল, আমি পরিষ্কার মাথায় বেছে নিলাম দুটো জিনিস।

1. ইন্ডিয়ান ক্লাসিক্যাল মিউজিক।

2. ওয়েস্টার্ন আর্ট হিস্ট্রি।

এখানে কি শুনবো, কাকে শুনবো সব আমার নিজের। কার ছবি ভালো লাগছে, সেটা নিজের ফিলিংস থেকে উঠে এল। আমি করোনার পর সত্যিই বদলে গেলাম। ছিচিক্কার রেকলেস বাইক চালালাম, মদ খেয়ে 4 হুইলার! বিয়ে বাচ্চা, ওদের চোখে বড় বখে গেলাম! এবং চোখে চোখ রেখে বললাম, ডেফিনিট আউটকামই প্রকৃত শিল্প। নির্দিষ্টভাবে পিয়ানোয় ফোর সিজন বাজাও, তোমায় কেউ ক্রিটিসাইজ করবে না। ছবি আঁকো, যা খুশি আঁকো, শুধু নিজের জন্য। স্বাধীনভাবে বেছে নিলাম কোলাজ মিডিয়াম। বললাম টার্নার সেজানের থেকে ভালো।

এখন তারা জেনে গেছে আমার এই সব গোপনীয়তা। নির্দেশ আসছে, এটা দেখো, ওটা শোনো!

তাই আমি বেদান্ততে চলে গেলাম। এখন আমার উপরমহল বলে তারপর আর কিছু নেই। আমার চারপাশে কেউ নেই বা আমি আমাতে আছি। যত নির্জন তত সাধন!

ভূতেরা এই বইমেলায় আমায় দেখে পালিয়ে বেরিয়েছে! আমি চুটিয়ে আড্ডা মেরেছি সরোদবাদক আর Bosch Goya-এর ছবি নিয়ে তুলিবাজদের সঙ্গে। এবং সেখানেই সেটা শেষ!

আমি মুক্ত, এই বেশ ভালই আছি

বিবাহের এক বছর পর আমার প্রথম লেখা ছিল এরূপ যখনও খবর আসেনি মৌ গর্ভবতীঃ

নারী মনে নারী মানে কেবল বারি, একটিই তার সাধ—তার প্রথম সন্তান থেকে কলম করে কলম করে কোমল করে সেচ দিয়ে নিয়ে মাথাপ্রবণ নারীর প্রথম সন্তান থেকে বার বার আরো আরো দ্বিগুণ দ্বিগুণ মা হওয়া মিথ—কৃষি বৃক্ষ জলবায়ু মিথ—প্রাকৃতিক শক্তির ইন্দ্রিয়জ মা—সেকালের মাতৃকা পুরাকথা হল এক যে ছিল উর্বরতা রূপকথা… ফার্টিলিটি মিথ।

সাদা সব মার্বেল বার বার লোহিতে লেপিত! বার বার স্বপনে বাঘ পরে বাঘ পরে রাখালিনীর বাঁশি সর্বনাশী বাঘের পিঠে লাঙ্গল লাগিয়ে আমূল চষিয়েছে। নির্বিকল্পের সঙ্গে সহজ শুয়েছে দেবব্যাসী, বেদবসনা সান্ধ্যাহ্নউদাসীনা অগ্নিহোত্রত্যাগিনী বিরহলক্ষ্মী। স্বভাবকামরূপান্তরিতা নতুন মা। স্বেদ অশ্রু তরলহীরাদি যেই বহু বহু স্পন্দিত সুখসূক্ষ্ম অমৃতান্ন হব্য হয়ে গুহায় ঢুকেছে গর্ভগ্লেসিয়ারধারা চুঁইয়ে চুঁইয়ে ভবিষ্যত হয়ে নেমে গর্ভবতী হয়েছে গৃহ। তবেই তো খামারবাড়ি হরিয়ালি দুপুরের ইম্প্রেশানিজম—যৌনভঙ্গিমার অয়েলের মুখগুলি এত কেন মহার্ঘ্য হয় বুঝি আজ—ত্রিশ হাজার ক্যানভাস-কন্যার সতীত্ব নষ্ট করে বিরাট সত্যকে বলে। খাদ্য পুষ্টি  রক্তজালিকার মতো লাল লাল সব প্রতীকেরা সকলেই নিজ নিজ তেজঃপুঞ্জ একত্র করে গড়ে তোলে উর্বরতা মিথ। প্রকৃতি তার নিজের প্রসাধন করতে চেয়ে মানবচৈতন্য ছাড়া আর কোন মনমুকুরের কাছে যাবে? লক্ষ লক্ষ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে প্রকৃতির প্রচ্ছায়া পুরুষের কানে কানে এসে বলে উর্বরতা মিথ তোমারই বংশগাথা… আবহমানিক।

মানুষের শ্রেষ্ঠ ক্ষমতা তার ভবিষ্যতদার্শনিকী আর আদিম দাবি সেখানে নিরাপত্তা। তাই শস্য ও গব্যে ভরন্ত রাখতে চেয়েছে তার খামার। মন্ত্র যন্ত্র আচার ব্রতাদি দিয়ে যদি বাড়ে উৎপাদন! সন্তানহীনার পুত্রবাসনার টান নীলের বন্যা—হাহাকার তবু সুষ্ঠপ্রণালীর সেচে ফলদা—গর্ভে(ধারণে) মুক্ত—তার দেবী ব্যাদিতপদা প্রসবরতা পৃথুলা ধরিত্রীস্বরূপা একটি পুতুল বই তো নয়! ছলে বলে কৌশলে অতিপ্রাকৃতে মা হওয়া আর আরো আরো জন্ম দেওয়ার উন্মাদ নিশ্চিন্তিই উর্বরতা মিথ—‘মা’ঠাকুরণ—মাটির গর্ভ ভরে ওঠে ধান্যসন্তানে—লিঙ্গ নির্বিশেষে উৎপাদনশক্তির উপচে ওঠাই উর্বরতা মিথ।

ফ্রেজারসাহেব বলেছিলেন প্রকৃতি ও মানুষের উৎপাদনশক্তিকে এক ও অভিন্নরূপে দেখা হত। অক্ষম রাজার রাজদণ্ড প্রয়োজনে তাকে হত্যা করে নবোদ্‌ভিন্ন যৌবনের হাতে তুলে দিতে আমরা হৃদয়ে নিষ্ঠুর হয়ে প্রকৃতির যৌনক্ষমতার পুজো করে যাই। মন্ত্র তন্ত্র পূজার আচার, নৃত্য গীত বাদ্য মিশে একটি গল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পরিচিত হয় ‘মিথ’ নামে। যুগলসাধন করে যৌথসমাজের সমৃদ্ধিবাসনাই উর্বরতা পুরাকথা। এই ম্যাজিক এই মন্ত্র এই উন্মত্ত নৃত্য গীতের দ্বারা প্রকৃতিকে প্রভাবিত করা এবং নারীর সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা, গর্ভবতী হওয়ার ও জন্মদানের ক্ষমতার মধ্যে এক অমোঘ সমাপতন পেল মানব—লাঙ্গল চষা মাটিতে বীজ আর পুংলিঙ্গের কর্ষণজাত রমণ থেকে যে ‘চারা’ জন্মায় তার উৎসবগাথায় সেই সদ্য যুবক আকাশ মুখরিত হল।

 



বাবার শর্ট টার্ম মেমোরি পুরোপুরি ফেল করে গেছে। শুধু ছোটবেলার কথা বলছে। বলছে ছোটো থেকে দায়িত্ব কর্তব্য পালনের কথা। যখন আমার চোখ আর্থলি রেড প্রাইমারি কালার ছাপিয়ে রঙ্গিন ইনফেক্টেড সেই পরিস্থিতিতে আই স্পেশালিষ্ট না দেখিয়ে লোকটা যাচ্ছে মাসতুতো দিদির ফ্যামিলি পেনশনের কাজ করতে। এককথায় লোকটা একপ্রকার দায়িত্বক্ষ্যাপা!

শুভ্রা: তোমার বই বেরোলো আর তোমারই কোনো দায়িত্ব নেই?

আমি: ম্যাক্সি কিনে দিতে পারি।

জামাইদা: একটু মাথাটা খারাপ। তাই তো বিয়ে দিলাম। ওদের সঙ্গে পুরানি দুশমনি।

নয়ন: ঘুম থেকে উঠেই চলে এসেছি স্যার।

আমিঃ গোরিলাটার অ্যাজমা নয় গো মদিরাদি, একজিমা, একেও স্পেশাল চাইল্ড দেখাতে হচ্ছে!

মমতাঃ তুমি তো স্পেশাল টিচার! তোমার ডাকনাম নাইজেরিয়ান!

আমিঃ তোমার নাম ম্যারি অ্যান দিলাম যাও। ওরা অর্পণদার নাম দিয়েছে গোপাল ভাঁড়। আর কেকাদির নাম গোপালের বউ!

গোদার: এই হিটটাকেই তো হিট করতে হবে!

দেবকল্পঃ আবার কোটেবেল কোটস! চুদু!

নীলিম: বোরডম আর কনফিউশান ছাড়া যে আর আমার আর কিছুই দেওয়ার নেই।

ছৌরভ: রাধা, রাধা, ফিসফ্রাই, ৮৮, Fin।

অতন্যা: গোদার, তুমি কোথায় হারিয়ে গেলে গোদার?

--রামায়ণ মহাভারত বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাস নয়।

আমি: পোঁদে হাত ঢুকিয়ে দেব। আর তোর পোঁদে একটা ফোঁড়া হলে তো সেই ইণ্ডিয়ায় কাটাতে আসবি! বাঁড়া, লেখা টাইপ করে দিতে পারবো না, ফ্যাক্সিমিলি করে বসা। PGCD টা এখনো লাইনে আছে?

দেবকল্পঃ চুদু!

ডাক্তার: না, না, ভ্যালপ্রোলেটেও কাজ হচ্ছে না।

দেবদাস: তা বলে নিজের বই কিলো দরে বেচবে?

রাম: কৃত বৈবাহিক কৌতুক রাম। চলো মদ খাই।

#

আমার শালীটা কমপ্লেক্সওয়ালি বুন্টি। যেমন ডাঁসা মাল, তেমন বড়লোক বাপ।

বউ: রাক্ষসীটা!

আমি: অর্ধেক পৃথিবীকে লঙ্কা বানিয়ো না!

শালী: মাত্র ৭ মাইল হেঁটে যাওয়া, আবার ৭ মাইল হেঁটে ফেরা, ভারতবর্ষ চেনা যায় কীনা জানি না, লেবার আছে।

ছৌরভঃ লেবার পেন নেবে আমার থেকে?

- কুম্ভকই কুম্ভ! শতনামী সম্প্রদায়, নাগা সাধু বানানোই মুসলিম ঠেকাতে। উর্দিহীন সৈন্যবাহিনী।

- বাবা, অভয় সিং। আই আই টি-য়ান। টপ টপিক।

- জয় চরস বাবা।

বিদেশ: রবীন্দ্রনাথ নাথযোগী!

দেবকল্পঃ চুদু!

দাদা: তাহলে সিবিআই তদন্তে এত গাফিলতি করলো কেন?

ছৌঃ ৬ দিনে তদন্ত শুরু করে কিচ্ছু পেল না, ছয় বছর পর ওএমআর যোগ্য অযোগ্য সব বেরিয়ে আসছে!

আমি: জয় অতি বামপন্থা ঠাকুরের জয়! বলো নৈরাজ্য মাঈ কি জয়য়! ফ্যামিলি সুইসাইড তো প্রায়ই হচ্ছে। অন্তত আমায় সুইসাইড করতে বাধা দিও না। আমার এক হাতে লিঙ্গ আরেক হাতে নির্দল!

মা: তপন, তোমার নাম সমর, আমার নাম রণিতা!

আমি: সুমন সব কিছুর জন্য ক্ষমা করলাম। শুধু বিনয় রাধা ও কেলো পরিবার উৎসর্গের জন্য পারলাম না। তোর মতো মা-বাবার সঙ্গে আলাদা থাকার কথা ভাবতেও পারি না।

অর্ঘ্যদা (গম্ভীরভাবে): ওগুলো পার্সোনাল ম্যাটার। ওগুলো বাদ থাক।

মদিরাদি: তাহলে এবারের নাম গোলেজান খাতুন। ৬ মাস আগে ছিল গোলেজান বিবি, তার ৬ মাস আছে ছিল জাহান্নম জারিয়া।

অর্পনদাঃ ছি ছি ছি নে ননী ছি! অবিলম্বে মাইনরিটি স্ট্যাটাস তুলে দেওয়া উচিত।

মমতা: প্যাকেজ দেড় হাজার টাকা। ভোটার কার্ড, আধার কার্ড ফর বাংলাদেশ!

ঋত্বিক: তা বলে মা বাবার নাম বদলে যাবে সার্টিফিকেটে! যখন ভর্তি হল তখনকার বাবা মা এক আর টিসি নেওয়ার সময় বাবা মা পাল্টে যায় কীকরে!

আমিঃ অত zaনতে নেই, মাল খান তাই নিয়ে থাকুন। এখানে দুটো অপশন। এক চা ঘুঘনী ঝাম্মুরির দোকান থেকে আয় বা সেই দোকান থেকে তোলা তুলে! আমি কনফিউসড মানুষ, আপনার এসব নিয়ে ভাবলে চলে?

বিনয়ীঃ হায় হায় আমাদের সোনাগাছি সেন্ট্রাল পার্ক তন্ত্রা সব ঐতিহ্য পাগলাগারদে গেল গাঁ!

 

রবীন্দ্রনাথঃ আমি বাঙালি জাতিকে সংরক্ষণের ও অভয়ারণ্য প্রদানের দাবি করছি

 - প্রেমের মড়া জলে ডোবে না।

- তাহলে পোঁদের গু কোন কোন কাজে লাগে?

- এরা বুড়ো হয়ে মাথা দিয়ে চোদে!

- কিংবা ধর, আজ থেকে ১৭ বছর আগেকার কথা। যেদিন প্রথম ছিলিমে তামাক খেয়ে ব্ল্যাকআউট শ্যামবাজারের মোড়ে দাঁড়িয়ে রাস্তা চিনতে পারছিলাম না, ক্যামেরা তখনও পিছনে ছিল, সাক্ষী সকল কর্মের আছে, নেত্রপল্লবহীন জগন্নাথ বউকে চোখ মেরেছিল হনিমুনে! ক্যামেরা চলছিল। এ অথরস ফিল্ম। কন্টিনিউটিহীন ডকুমেন্টারি শুট। মাঝখানে বললাম –

- আর পারছি না, এভাবে আর কাঁহাতক অভিনয়হীনতার অভিনয় করে যাব ক্যামেরার সামনে? এতো চরম মেন্টাল টর্চার!

পানাহি (পরিচালক) – ওকে, প্যাক আপ। তোমার লাস্ট শট, তুমি বাড়ি ঢুকে যাচ্ছো, আমার ক্যামেরা এরপরও রাস্তা থেকে নায়ক খুঁজে নেবে।

বেল মন্ডো (ব্রেথলেসের নায়ক): কেরিয়ার শেষ করে দিল। এই রাশ কখনো এডিট করা যায়!

আনা করিনা (গোদারের প্রেমিকা, নায়িকা): গোদার মন আমোর!

চন্দ্রিলঃ গোদার হতে পারি না, নেই আমার আনা করিনা!

ছৌরভঃ ক্যাটরিনাকে নিলেই তো পারো! নৈরাজ্য জিন্দাবাদ! ননী ছি!

সেলিন ইক্লোজান (ফ্রেঞ্চ প্রেমিকা): জে তি আমিই! (আই লাভ ইউ)।

গোদার: তুশো, রিভার্তো তুশো।

জয়দীপদা: প্রথম সিনেমা থেকেই ক্লাস নিয়ে চলেছে! তোর ছবির লেন্থ কমাতে হবে তো পোয়েটের ইন্টারভিউ সেকশনটা বাদ দিবি। চোর, চোর, গোদার সাহিত্য চুরি করে সিনেমা বানায়। পেন্টিং চুরি করে সিনেমা বানায়। মিউজিক চুরি করে।

আমি: নাতো কী! গোটা পৃথিবীতে ফিল্মের আর্ট ডিরেকশন এমনকি সাউণ্ড ডিজাইনিং পর্যন্ত কোর্স আছে কিন্তু মিউজিক ডিরেকশান বলে কি কোনো কোর্স আছে? এমনকী ফিল্ম ডিরেকশান কোর্স করে শেখা আদৌ কী যায়? এমবিএ-র মতো মিলিজুলি কেস।

প্রণবেশঃ নে এবার কী করবি কর!

 

 
ছৌমিতা এম.এ. ইংলিশ। ছৌমিতা হালি ‘শহর’। ছৌমিতা ভারতীয় জাতপাত বিষয়ক আকরগ্রন্থ এবং একজন মহাকাব্যিক নারী যে কালিদাসকে ইন্টারভিউ করতে পারে। ঢক্কা নিনাদ করে অজিত চৌধুরীর মন্দাক্রান্তা ছন্দ একদিন আমার ডায়েরীতে পাতার পর পাতা লেখা দেখলাম। ছৌ আমার বউ। বিবৃত শার্দুল পাতার পর পাতা লিখে চলে। মাইকেল ও শেক্সপিয়ার বন্দে ভারতের গতিতে! লাজুক একটি বাংলার মেয়ে। একজন মহাকাব্য বিশেষজ্ঞ ও মহাকাব্যিক নারীও বটে!

ছৌরভ: এবং অসহনীয় OCDও বটে!

আমিঃ তাবলে ওর অজগর ব্রত আর প্রত্যক্ষানুভূতির তত্ত্বে বিশ্বাস ভুলিস না! সে সব টলানো যায় না! গাণ্ডীবি মেরুদণ্ড! যদিও দুটি ছেলেরই বিয়ে হয়েছে আমাদের, তবু সে বয় সে সয় তাই আমি রয়!

অতনু: তাহলে সুবর্ণরেখা সাবিত্রী মিথ! সীতা মিথ নয়? সঞ্জয়দা ভুল!

ছৌ: প্রকৃতিকন্যারা ওভারল্যাপিং।

ঈশ্বর: আমি আসলে ক্যাপিটালিজম। আমিই সর্বেশ্বর মার্কেট। যার সামনে নতজানু এমনকি পাওয়ার পলিটিক্স। এ যুগের নচিকেতারা চেষ্টা করে, সাবিত্রীরা আমার কাছে হেরে যায়! সত্যবানেরা সত্যি বলে না, মরিয়া যাওয়া ব্রেকলেস ব্রেথলেস কেউ আটকাতে পারে না। আমিই যম, ঈশ্বর, মার্কেট। যে মার্কেট থেকে মুক্ত, সেই মুক্তপুরুষ। বাকিরা র‍্যাগিষ্ট যাদবপুরের কাফি স্যার!

আমি: কী লিখছি আমি! দাদা পেন, মাথা, হাত ইত্যাদিরা দয়া করে হয়ে থাকো শান্ত!

বিদেশ: ম্যাগাজিনের নাম হালুমপেন – হালুপ্নেন – কাগজের হিটলারি বাঘ!

মনীষ: স্প্যাম কল হয়তো হে ১৮র বখাটে! তোর কী চাই?

আমি: মনীষ তোর লেখা ২০০টা মনোলগ!

শুভদা: কাঁচা ঘুমটা ভাঙিয়ে দিলি! এখন নকুড়ের সন্দেশ আমি পাই কোথায়!

আমি: আমার সহজবোধ্য ‘ঋত্বিক একটি ধর্মের নাম’ নামক গ্রন্থটি কাঁচা সুপুরির মতো সহজপাচ্য, তা তোমার মনে হয়েছিল তো! তবে যে বইয়ের দেশে আমার টাকায় বিজ্ঞাপন দিলে ‘একটি লুসিড বই’। ইহা তো সোমের মতো পোঁদবাজের ফুটো নয়।

চন্দ্রিল: রণে, বনে, ইউনিয়নে ভাজা মাছে গিট্টু!

মমতাদি: সিন্ডিকেটে, চাকরিতে, কয়লা, বালি, পাথর খাদানে, রেশনে, হসপিটালে, গরু পাচারে যেখানে টাকা দেখিবে আমাকে কাটমানি দিবে! ধর্ষণের কেস থেকে আমিই রক্ষা করিব!

ধর্ষক: দিদি জিন্দাবাদ, সেনাপতি জিন্দাবাদ!

আর লোকনাথ বাবাও কেমন চোর দেখ, এ শঙ্করের ভবানী অষ্টকম্ –

 

বিবাদে বিষাদে প্রমাদে প্রবাসে

জলে বা নলে পর্বতে শত্রুমধ্যে

অরণ্যে শরণ্যে সদা মাং প্রপাহি

গতিস্ত্বং গতিস্ত্বং ত্বমেকা ভবানী।।

 

একটা জানলা। আর একটা জলের বোতল। রোদ, বাতাস। সুস্থিরভাবে, কৌণিকভাবে চলে। ধীরে ধীরে সব জল ও জানলা লীনতাপে উড়ে গেল। একটু একটু করে জলের বোতল খালি হয়ে গেল। সময় হো, ধীরে চলো। ক্যামেরা 2X ফাস্টার লাগাও। সন্ধ্যা নামে। ওজু টোকিয়ো স্টোরি বানান, খৈনি পাস করেন।

গোদার বললেন, প্রথম রাতেই বিড়াল মারতে হয়।

চন্দ্রিল: তা বলে দামি খেলনা আনলাম আর অর্ঘ্যের কেক পাখির মতো মুহূর্তে ছুঁড়ে ফেলে ভেঙে দেবেন!

বুনুয়েল: স্বপ্ন ভাঙো!

তারকোভস্কি: ১ঘণ্টার সিরিয়ালের এপিসোডের বাজেটে সিনেমা বানিয়ে দেব।

ছৌরভ: এটি একটি শূন্য বাজেটের ও শূন্য বাজে ছবি!

ভানুশ্রী: অ্যালকেমি, বাবা কালী, মাকালী, পাগলা জিগাই ইত্যাদি মাতলামি।

S.Roy: হ্যাঁরে আমার লেজটা মারিয়ে দিলি!

ছৌ: তিতিকে হামি খেয়ে দাও মানু। গিলি গিলি দেখাও মানু। কান ধরো মানু। পাখি কীভাবে ওড়ে দেখাও মানু।

- ও কী, সার্কাসের জোকার না মিমিক্রি আর্টিস্ট?

কেকপাখিঃ টম পিসি মেরেছে!

বাবা লি, মা মারবে!

দিদা মারিস না, লাগে!

চায়ের কাপ থেকে চা খেতে দে!

ভাবি যুক্তাক্ষর ছাড়াও পৃথিবীতে এত শব্দ বাক্যাংশ বা বাক্যই ধরি যদি আদৌ কখনও সম্ভব ভেবেছো লেখক!

দিদি: নামও রেখেছে ঋতস্বিনী। বলে ঋত প্রোডাকশান। ঋত্বিকের ভূত ওর ঘাড় থেকে নেমে ছৌএর ঘাড়ে চেপে বসেছে।

আমি: ডাকাত পরেছে, ব্যাটা ছেলে ডাক্, ব্যাটা ছেলে ডাক্।

ঋ. চক্র: তাহলে রবি ওঝার বায়োপিকে আমিই নায়ক! লুকটা একজ্যাক্ট মিলে গেছে না?

আমি: বস ন্যাচারাল অ্যাক্টিং-এ তোমার উপরে জ্যেষ্ঠপুত্রও নয়!

ব্যারেটো: আমাকে তো ফিরদৌস হাকিমের মতো দেখতে। দেবাদৃজাকে হেলেন অফ বলিউড।

আমি: অরূপ আলুর দোষকে আমি ছেড়েছি, দায় আমার। বাট বৈখরী জেনারেলরা আমায় ছেড়েছে, অ্যান্ড লেট গো ইজ দ্য বেস্ট ইনার হিলার।

অদ্রি: এ জীবনে অরূপের আলুর দোষ কাটবে না। বেটার লাক নেক্সট লাইফ।

অ.র.ঘো: অবশ্য অন্য আকর্ষণও আছে।

- তেরি বিঁদিয়া রে। অভিমান। তেরি জয়া কি ভাদুড়ি।

SRK: আই হ্যাভ টলার ওয়াইফ দ্যান বচ্চন।

- আল ঢালিম!

- আজ কী লিখলে? কবিতা, গল্প না প্রবন্ধ?

অ.প্র: যদি সবাই সবাইকে বাসে যেতে যেতে, আহা, এই প্রশ্ন করতে পারতো! কাল কী লিখলেন? কেমন আছেন এর ঠিক পরেই!

বিবেকানন্দ বক্তৃতা দিতে উঠে বললেন, গুস্তাফি মাফ হো!

ডিয়ার অ্যামি, আই মিস ইউ, আমার বাংলা অভিধান চলে গেল!

- আজ কী লিখলে?

- হোয়াটস্ অ্যাপ স্ট্যাটাস!

- হাউ সুইট!

- ওগুলোই আমার এক একটা অণুপ্রবন্ধ! রাত বাকি, তোকে নিয়ে প্রেমপত্রও তো লেখা যায়!

- এ বয়েসে আর কে দেবে!

- আই লাভ ওল্ডার ওম্যান অর্পিতাদি।

আমি: অফিসিয়াল হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে বাংলা বাংলা হরফে লিখুন, ইংলিশ ইংলিশে, প্লিজ রোমান হরফ ব্যবহার করবেন না।

- মিডিয়া করবে নাকি? বাংলা বই বলে রোমান হরফে বেরোচ্ছে।

- সেটা মিডিয়ার মানুষ কুকুর কামড় ব্যঙ্গাত্মক পাভলভ জাতীয় কী সব জটিলতা হবে হয়ত!

- প্রথমত আশিস লিংগুইসটিক্সে ডবল এম.এ. হয়েও প্রতি লাইনে দুটো বাংলা বানান ভুল লেখে, আর কবিতা আমি কদাচ পড়ি না। বাড়ির বই রাখার র‍্যাক আউট অফ স্পেস। আর আশিসের ছবি ১৯০০ দশকের। হরিণ মিত্রের প্রচ্ছদ বা মহীনের মৃত ঘোড়ার শেষ কনসার্টের ক্যালি নেওয়ার থেকে অন্য একের ‘সাক্ষী’ হবার অ্যাচিভমেন্ট অনেক অনেক দামি মনে করি। জীবনের লক্ষ্য মনে করি তত্ত্বমসি। ৩০ বছরের আর ৪৫ কেজির কৌশিকীর দরবার ফেস্টিভ্যালে গাওয়া ভীমপলাশি পারফরমেন্সের কাছে ওই হাওড়া শিয়ালদহ শীৎকার স্পিড ও এনার্জিতে হে নিরপেক্ষ বিচার করে দেখ কত শর্ট পড়বে। সেখানে মাইক্রোসেকেন্ড ক্যালকুলেশন আছে, করছে যেন একটা সুপার কম্পিউটার। দ্য ফাস্টেস্ট ইন্ডিয়ান ক্ল্যাসিকাল ভোকাল পারফরমেন্স এভার হার্ড। বোল্ট কৌশিকী! ক্লিন বোল্ড ইলাজিৎ! আর নিখিল ব্যানার্জীর দেশ তো কান নিতে পারে না, এত শার্প এত স্পিড, বাধ্যত বন্ধ করে দিতে হয়! ইলেকট্রিক গিটার! মেটাল! অ্যা থুঃ!

(ক্রমশ) 

 

 

 

 

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন