![]() |
কবিতার কালিমাটি ১৪৫ |
রক্তে ফোটা তারাদল
বালির মতো রাশিকৃত আশঙ্কা
খসে পড়ে শিলচরের মাঠে
তুমি এখনও হিসেব কষে চলেছ?
এদিকে ফুলদানির স্টিকগুলো
হাত বাড়ায়, জল চায়
হংসমিথুন জানে ভোরের উড়ান,
বাংলাভাষার কাছে
আমার নির্বাণের যাদুকাঠি ,
ছোঁয়ালেই বেঁচে উঠি, লহমায়
বুনোফুল সুগন্ধ বিলায়
ফুটো বুকে আগলে রাখে মা'কে
শহীদের রক্তে ফোটা তারাদল
বিদেহী নূপুর
স্থির হয়ে আছে আজানুলম্বিত
পাকদণ্ডি বেয়ে অমোঘ রহস্য তোমার ,
অস্থির হয়ে উঠি শৈলচাদরের ভিতর
কত বেদনা, শত ব্যথার গ্লানি ---
ধারাপাতে ফিরে ফিরে আসে
তবু রোমাঞ্চিত করে ,অকৃত্রিম শিল্পশৈলী ,
ঝড়ের পর ধ্বংসের দ্রিম দ্রিম
অক্ষমতার ভয় ধূলিসাৎ করে ,
কান পেতে শুনি তোমার বাঁশিবিদ্ধ সুর
আকাশের হংসমিথুন নাকি
হংসমিথুনভাষা কেবল সুউচ্চ নীল ?
তিস্তার জলে বিদেহী নূপুর ।
উৎস-মন্ত্র জানা নেই আমার ,
পাহাড় চুম্বনে শুভ্র মেঘস্তন....
অঝোর সারারাত ,
আমি আর মন খারাপ ।
দুঃখিনী মা
কতখানি নিষ্ঠুরতা ধরে তোমার দৃষ্টি
শুষে নেয় বিন্দু বিন্দু অন্ধকার!
কাঁচামাটির উনুন নিভে গেল
মা'য়ের চোখের জলে,
সন্তানদের ভাত দিতে পারেনি বলে
শুয়ে পড়ে অজন্মা খেতের নীচে
টের পাওনি তুমি
উড়ে উড়ে বেড়াও জুনের মেঘে,
আমার হাতে অশ্রু-অঞ্জলি
রক্তের হোলিখেলা
আর কত কান্না লুকোই বলো?
জ্যোৎস্নার আয়ু পায় ভালোবাসা,
বলেছিল দুঃখিনী মা ---
মরে যায় প্রতি অমাবস্যায়।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন