কবিতার কালিমাটি ১১৪ |
একা একা
বলতে ভুলে গেছি
আমার ঘরে একটাও দিনপঞ্জিকা নেই
তাই প্রতিদিনই
চব্বিশে, জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারির
শুক্কুরবার,
যেহেতু কোন
স্থির গন্তব্য নেই
তাই অনায়াসে
উঠে পড়ি
যে কোন ট্রেনে
অথবা উড়ানে--
এও বলিনি যে
আমার খাদ্যাখাদ্য বোধ নেই বলে
দুদিনের পান্তা
ও সিরাজের বিরিয়ানি
একই স্বাদের।
পোশাক নিয়েও
কোন ছুঁৎমার্গ না থাকায়
স্যুট পরে যাবার
জায়গায়
লুঙ্গি ফতুয়ায়
সপ্রতিভ চলে যাই
এরকম ভুলো মন
লোকটা সবুজ চিরকুট নিয়ে...
একা একা কোথায়
চলেছে্...
স্বাগত ২০২২
শেষ ওভারে তিনটি
উইকেট পড়ে গেলেও
খেলার জয়-পরাজয়
নিষ্পত্তির তোয়াক্কা না করেই
সব দর্শক চলে
যায় পাশের মাঠে--
সেখানে সাজানো
গম্বুজে আলো জ্বলে উঠলো
শোনা যাচ্ছে
ঘোড়ার নাচ হবে মাদলের তালে
সব পাতে দেওয়া
হবে বিরিয়ানি ভোজ, গ্লাসে পানীয়
ছয়লাপ বেলুনে
মেরুর জ্যোতি ঠিকরে পড়ছে
সব ব্যবস্থার
ভার ইভেন্ট ম্যানেজারের হাতে
বছর আসে, বছর
যায়
আলো আঁধারির
ঘূর্ণন বিনা অশ্বশক্তিতে চলতেই থাকে...
মহার্ঘ
বিপন্ন পণ্য
নিয়ে অপেক্ষায় থাকা
এক অলীক প্রস্তাব—
পথে দাঁড়ানো
মেয়েটাও জানে সে কথা।
অপেক্ষা তবুও
মহার্ঘ ভেবে থেকে যাই
নিরালা হাত
রাখি স্তনের পাশেই, অলস যাপনে…
ঐদিকে ঝনঝন
বাজে টেলিফোন
রাতকে চমকে
দেয় ভূতুড়ে আওয়াজ
ঐ পাশে ফিসফাস
কেউ কথা কয়
উৎসবের শব্দ
আসে-- যা শোনা বারণ...
অপেক্ষা তবুও
মহার্ঘ ভেবে থেকে যাই
থেকে যেতে হয়...
যেতে হয়... হয়...
খুব ভালো
উত্তরমুছুন