কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২২

মৌলীনাথ গোস্বামী

 

সমকালীন ছোটগল্প


নতুন গুড়


ট্রেনটা রামকানালি স্টেশন ছেড়ে বেরিয়ে আসতেই চোখে পড়ল। এই মরশুমের প্রথম দৃশ্য। নভেম্বর শেষ হয়ে আসছে। অঘ্রাণের শীত একটু একটু করে জেঁকে বসছে। জানলার ওপাশে অপরিচ্ছন্ন ঝুপসি খেজুর গাছের সারিগুলো সরে সরে যাচ্ছে। কোমরে গামছা বেঁধে কিছু লোক জড়ো হয়েছে। হাতে দা। খেজুর গাছের উপরের দিকের ছাল পাতা ছাড়িয়ে, চেঁছে পরিষ্কার করছে। ওদের ভাষায় 'গাছ তোলা' হচ্ছে। মনটা আনন্দে চনমন করে উঠল। শীত সত্যিই এসে গেছে তাহলে... খেজুরের গুড়ের দিন এসে গেল!

চিরকাল শুনে এসেছি গ্রাম নাকি শহরে যায়। রোজগারের আশায়। আমার ক্ষেত্রে উল্টোপুরাণ। সরকারি পোস্টিংয়ের দৌলতে, আমার অস্থি-মজ্জায় জন্মাবধি ঘাঁটি গেড়ে থাকা শহরটাকে নিয়ে, আমায় যেতে হত গ্রামে। প্রতিদিন। ট্রেনে চেপে। যাওয়া আসার পথে জানলায় মুখ রাখতাম। জীবন্ত দূরদর্শন। স্থির জানলার ওপাশ দিয়ে দৃশ্যত ছুটে যেত নাম না জানা গ্রাম, গ্রামের রাস্তা, ধানি জমি, আলপথ, আলপথে নিঃসঙ্গ সাইকেল সওয়ারি, শশার ক্ষেত, পানের বরোজ, পুকুর, ঘাটের সিঁড়িতে নাইতে আসা মানুষের দঙ্গল। এইসব কিছু নিয়ে পল্লি-বাংলা ছুটে যেত আমার যাত্রার উল্টোমুখে... আর আমি ভাবতাম গ্রাম তাহলে সত্যিই শহরের দিকে ছুটছে!

এই জানলায় বসেই গ্রামের শরীরে লেগে থাকা সকাল দেখতাম, আবার বিকেলে ফিরে আসার সময় আলপথের আঁচলে লেগে থাকা গোধূলিও দেখতাম আর সারা বছর ধরে দেখতাম ছয় ঋতুর আসা যাওয়া। শহরে, বাতাসের পায়ের তলার মাটি কেড়ে নেওয়া গগনচুম্বী ফ্ল্যাট-সংস্কৃতিতে গ্রীষ্ম, বর্ষা আর শীত ছাড়া অন্য কোন ঋতুর প্রবেশাধিকার নেই। যাদের অধিকার আছে, তাদের আবার ক্ষমতা প্রদর্শন করার উপায় নেই। গ্রীষ্ম থমকে থাকে কুলার আর এসির হওয়ায়, বর্ষা পিছলে যায় চিনা-বর্ষাতির মসৃণ কাপড়ে। শীতও আসে সেন্টেড নলেন গুড়ের কৃত্রিমতা নিয়ে; কিন্তু গ্রামের দরাজ পথেঘাটে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। সব ঋতুর অবাধ আনাগোনা। ট্রেনের জানলায় বসেই রোজ দেখেছি, গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে কীভাবে ধীরে ধীরে শুকিয়ে গেছে উচ্ছ্বল পুকুরের ঠোঁট! সবুজ মাঠের নরম ত্বক সূর্যের প্রখর তাপে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। দেখেছি তুমুল শ্রাবণে ভেসে গেছে ক্ষীণ আলপথ, অরক্ষণীয়া চাষের ক্ষেত, কৃষকের গোলাঘর। বন্যার জল সরে গেলে গাভিন কাশের বনে শুভ্রতার বান ডাকা দেখেছি। দেখেছি সোনালি ধানের ঢেউ। ফুলকপির ঘন সবুজ বন। রাস্তার পাড় ধরে দেখেছি পলাশের গেরুয়া দাবানল। টেলিভিশন স্ক্রিনের সমান একফালি জানলা কত কিছু দেখিয়েছে আমায়। এইখানে বসেই চলন্ত ট্রেন থেকে দেখেছি খেজুরের রস জ্বাল দিচ্ছে গ্রামের মানুষ... আমরা সবাই মিলে টাটকা নলেন গুড় চেখে দেখবার অভিলাষ লালন করেছি...

প্রবাদে বলে, ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। প্রবাদ ঠিক কথা বলে। কিছু মুহূর্তের জন্যই হোক, প্রতিদিন চোখের সামনে একটু একটু করে গুড় তৈরি হওয়া দেখব অথচ খাব না, তা কী করে হয়! একটু একটু করে দেখাই বটে! গাছ তোলার প্রায় আট-দশদিন বাদে হঠাৎ একদিন সকালে অফিস যেতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম, খেজুর গাছগুলোর চাঁছা অংশে বাঁশের নল লাগানো হয়ে গেছে।  আর  প্রত্যেকটা নলের নিচে মাটির হাঁড়ি ঝোলানো হয়েছে। সারি সারি ঝুলন্ত হাঁড়ি। গাছগুলোর একপাশে, একফালি জমি। ঝোপঝাড় কেটে পরিষ্কার করা। সেখানে ইট গেঁথে আয়তক্ষেত্রের আকারে উঁচু উনুন বানানো। বিশাল বড়। পরদিনই যাওয়ার সময় জানলা দিয়ে আবার এক ঝলক দেখলাম... উনুনের ওপর বিশাল কড়াই চাপানো হয়েছে। সেটাও উনুনের মাপে বানানো। আয়তক্ষেত্র। কড়াইয়ের নিচে আগুন গনগন করছে। খেজুরের রস জ্বাল হচ্ছে। কোমরে গামছা বেঁধে হেঁটো লুঙ্গি পরা দু'টো লোক, কড়াইয়ের দু'-দিক থেকে খুন্তি ঠেলছে। চাদর গায়ে জবুথবু হয়ে বসে আর একটা লোক উনুনের গহ্বরে গুঁজে দিচ্ছে খেজুর গাছের শুকনো পাতা, ডালপালা। অঢেল জ্বালানির রসদে ফুঁসে উঠছে আগুন। ভলভল করে ধোঁয়া উঠছে। একটা ছোট্ট ছেলে, গায়ে-মাথায় একটা সাদা চাদর জড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে। সমগ্র দৃশ্যটা পেরিয়ে যেতে যেতে রসনায় নাড়া দিয়ে গেল....  গুড় তৈরি হচ্ছে! খেজুর গাছেদের কলোনির হাওয়ায় ভাসছে নতুন গুড়ের সুগন্ধ। ভাসছে লোকের কোলাহল। বছরের বাকিটা সময় এই গাছেদের কাছে কেউ আসে না। এদের কদর শুধু অঘ্রাণের নবান্নের মাসে, নতুন গুড়ের তল্লাশে। মন বলল টাটকা গুড় খেতেই হবে। না খেলেই নয়! উপায় একটা করতেই হবে।

সেটা ছিল আমার ওই লাইনে ডেইলি প্যাসেঞ্জারির প্রথম বছর। টাটকা গুড় চেখে দেখার উত্তেজনা ছিল চরমে। উপায় হয়েছিল। ট্রেনে, আমাদের দলের বর্ষীয়ান স্বপনবাবুর, বেয়াইয়ের কনিষ্ঠ শ্যালকের এক বাল্যবন্ধুর বাড়ি রামকানালিতে। অনেক কসরৎ করে শ্যালক মারফৎ সেই ত্রাতা বন্ধুটির ফোন নম্বর জোগাড় হল এবং তারই মাধ্যমে যোগাযোগ করা হল, জানলা দিয়ে দেখা, সেই রস জ্বাল দেওয়ার কাণ্ডারিকে। রসের নাগরের নাম- অক্ষয় মাহাতো। ফোন নেই। তাছাড়া  তখন মোবাইল ফোনের এত রমরমা বাজারও ছিল না। তাই খেজুর পাটালির ফরমাস পাঠানো হল ওই বন্ধুটির মাধ্যমে। তৃতীয় দিনের মাথায়, অফিস ফেরত ট্রেনে, রামকানালি স্টেশনে টাটকা খেজুর পাটালি আমাদের হাতে তুলে দিলেন অক্ষয় মাহাতো স্বয়ং। অমায়িক মানুষ। এই শীতের রাতে ধুতি-ফতুয়া পরে, পাঁচ কেজি পাটালি নিয়ে প্লাটফর্মে আমাদের অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলেন উনি। সঙ্গে একটি বছর ছয়েকের ছেলে, ঠিক যেন সাদা চাদরের পোঁটলা। তলা দিয়ে দু'টো ডিগডিগে ঠ্যাং বেআব্রু হয়ে বেরিয়ে আছে। খালি পা। মনে প্রশ্ন জাগল- সেই ছেলেটা? যাকে ট্রেন থেকে দেখেছি! বোধহয়। দিব্যি হাসিমুখে আমাদের হাতে গুড় তুলে দিয়ে, টাকাটা না গুনেই ফতুয়ার পকেটে চালান করে ফিরে গেলেন অক্ষয় মাহাতো। বলে গেলেন, আবার লাগলে খবর পাঠাতে। ছেলেটা গুটগুট করে চলল পিছুপিছু।

গুড়টা খুব উৎকৃষ্ট ছিল কি না জানি না। তবে খেতে ভালো লেগেছিল। যতই হোক টাটকা বলে কথা! ভেজালহীন। একদম চোখের সামনে বানানো। যদিও আমাদের মধ্যে অনেকেরই সংশয় ছিল। তাদের মতে বিক্রির গুড় আলাদা। যেগুলো আমরা কিনেছি সেগুলো দোকান থেকে কিনে এনেই আমাদের দেওয়া। দোলাচলের মাথায় বাড়ি মেরে সেই থেকে আমাদের রসনা অক্ষয় মাহাতো-য় চিটগুড়ের মত আটকে গেল। শীতের মরশুমে পাটালি গুড় কেনা, আমাদের নিত্যযাত্রী গ্রূপের একটা ধারাবাহিক কর্মকাণ্ড হয়ে গেল। খবর পাঠানোর তিনদিনের মাথায়, রাতের ফিরতি ট্রেনে আমাদের কামরায় গুড় পৌঁছতে আসতেন অক্ষয় মাহাতো। কখনো একা, কখনো ছেলেটিকে সাথে নিয়ে। ট্রেন ছাড়তে দেরি করলে উনি জানলার কাছে দাঁড়িয়ে গল্প করতেন। ওর কাছেই জেনেছিলাম ছেলেটার নাম। গইরা, অর্থাৎ গৌর। অক্ষয়ের একমাত্র সন্তান। ওঁর একটা গোলদারি দোকান আছে গ্রামে। বিক্রিবাটা ভালো নয়। কোনরকমে দিন চলে যায়। এই তিন মাস গুড় বানালে বাড়তি আয় হয় একটু। খেজুরজঙ্গলে পাটালি তুলে বাড়িতে মজুত করেন অক্ষয়। তারপর রাতে বাড়ি থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে গুড় পৌঁছে দিতে আসেন আমাদের কাছে। শুনে অবাক হয়ে গেছিলাম। এ'টুকু গুড়ের জন্য এত কষ্ট করা! শুনে হেসেছিলেন অক্ষয়। বলেছিলেন...

"আইজ্ঞা, গুড়ের দামটা বড় কথা নয়- আপনাদের যে আমার নিজের হাতের টাটকা গুড় খাওয়াতে পারছি, খেয়ে আপনাদের তৃপ্তি হচ্ছে, সেইটাই আসল। সেই আনন্দের কোন দাম হয় না।"

অবাক হয়েছিলাম এই সাধারণ মানুষটার কথায়। কিছু অচেনা মানুষের জন্য, একদিন অন্তর সামান্য একটু গুড় পৌঁছনোর জন্য এত পরিশ্রম যে কেউ করতে পারে, এটা আমার শহুরে বোধের বাইরে ছিল। এমন তো নয় যে মানুষটা গুড় বিক্রি করার জন্য এই কষ্টটা করতেন। এমনও নয় যে আমরাই ওঁর একমাত্র খদ্দের। ওঁর বানানো গুড় তো আগেও বিক্রি হয়েছে। না হলে উনি এতদিন ধরে এই ব্যবসা করছেন কীভাবে! মানুষটাকে বুঝে উঠতে পারতাম না কিছুতেই। ট্রেনের এই নিত্যযাত্রীর জীবন কত রকমের মানুষের সামনে দাঁড় করিয়ে দিলে আমায়। অবাক মানুষ সব! বিচিত্র তাদের জীবন, যাপন, মন। সমগ্র জগৎটাকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গিই পাল্টে দেয় এঁদের অস্তিত্ব!

অচেনা আর ছিলাম না আমরা। যদিও ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ হত বছরে এই তিন মাস, কিন্তু প্রত্যেক বছরই গুড় নিতাম অক্ষয় মাহাতোর কাছ থেকে। মরশুমের প্রথম গুড় হাতে, শীতের রাতে প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়িয়ে থাকতেন মানুষটা। প্রথম সাক্ষাতে এক গাল হেসে বলতেন...

"এসে গেছি! আপনাদের নতুন গুড় খাওয়াব বলে। বছরে এই কটা-দিনই তো আমায় মনে রাখেন। সকলে ভালো আছেন তো আপনারা?"... বলেই কাগজে মোড়ানো গুড়ের প্যাকেট ধরিয়ে দিতেন আমাদের। তারপর নগদ পকেটে ঢুকিয়ে চলে যেতেন। একটা অদ্ভুত সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল ওঁর সঙ্গে। সম্পর্কটা বিশ্বাসের। আস্থার। ওঁর দেওয়া খেজুর পাটালির গায়ে যে গন্ধটা লেগে থাকত সেটা ভালোবাসার। ক্রেতা-বিক্রেতার আর্থিক লেনদেনের সাদা-কালো হিসেবের বাইরে সে সম্পর্কের অবস্থান। ট্রেনের জানলা তার নীরব সাক্ষী। টানা ছ'বছর এই লাইনে যাতায়াত করেছি। অক্ষয়ের বয়স বেড়েছে। সেই ছেলেটিকে বড় হতে দেখেছি। আমাদের অনেকের মধ্যে গুড় কেনার উৎসাহে ভাটা পড়েছে। গুড় কিনি বটে, কিন্তু পরিমাণে আগের থেকে অনেক কম। কিন্তু অক্ষয় আসা বন্ধ করেননি। পাঁচ কেজি গুড় যেমন দিয়ে যেতেন, এক কেজি গুড়ও ঠিক তেমন করেই দিতে আসতেন। সময় থাকলে দু'-দণ্ড দাঁড়িয়ে হাসিমুখে দু'-এক কথা বলতেন। ওঁর আসায় ছেদ পড়েনি কোনদিন, একদিন ছাড়া।

সেটা ছিল জানুয়ারির মাঝামাঝি। শীতের তীব্র কামড়ে আমরা সবাই কাহিল। সোয়েটার জ্যাকেট টুপি... কিছু দিয়েই ঠাণ্ডাকে কাবু করা যাচ্ছে না। ট্রেনের জানলা খুলে রাখার উপায় নেই। হাওয়া যেন তিরের মত বিঁধছে। অফিস থেকে ফিরছিলাম। ট্রেন দেরিতে চলছিল। বেশ রাত হয়ে গেছিল। সেদিন গুড় নেওয়ার কথা। তক্কে তক্কে ছিলাম কখন রামকানালি আসবে আর আমি দরজার দিকে উঠে গিয়ে গুড় নেব। এত হাওয়া যে দরজায় আগে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছে না। ট্রেন স্টেশনে থামতেই আমি উঠে পড়লাম। দরজার কাছে দাঁড়াতেই বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল-

গইরা! গুড়ের প্যাকেট হাতে দাঁড়িয়ে আছে... পরনে কাছা! গায়ে একফালি মার্কিন জড়ানো! কোমর থেকে একটা আসন ঝুলছে! গুড়টা আমার স্তম্ভিত হাতে তুলতে তুলতে বলল-

"বাবা নেই। পরশু রাতে মারা গেছে। কাল তো গুড় করতে পারা যায়নি। আজ সকালে আমি নিজে রস জ্বাল দিয়ে গুড় বানিয়েছি। আপনাদের গুড় দিতে হত যে!"

এমন মর্মান্তিক ঘটনার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। প্রচণ্ড ধাক্কা খেলাম। জড় স্থবিরের মত টাকাটা ওর হাতে গুঁজে দিলাম। ট্রেন চলতে শুরু করেছে। ট্রেনের সাথে সাথে গৌরও দৌড়চ্ছে আর বলছে...

"আবার গুড় নেবেন তো? আমি বানাব। নতুন গুড়। কাকু, গুড় নেওয়া বন্ধ করবেন না তো? আমি বানাতে পারি..."

আর শোনা হয়নি। শুনতে চাইনি। শুনতে পারতামও না। চলন্ত ট্রেনের দরজায় আমায় ঝাপ্টা দিচ্ছে মৃতদেহের মত ঠাণ্ডা হাওয়া। সে হাওয়ায় ধ্বনিত হচ্ছে সদ্য পিতৃহারা বারো বছরের গৌরের কাতর কণ্ঠ...

"কাকু, আবার গুড় নেবেন তো?"

-দরজায় দাঁড়িয়ে দেখছিলাম, রাতের অন্ধকারে গৌরকে প্ল্যাটফর্মে একা দাঁড় করিয়ে, ছুটন্ত আমি ফিরে যাচ্ছি শহরের দিকে। নতুন গুড়ের মত মিষ্টি এক সুগন্ধী হৃদয় নিয়ে- নতুন প্রজন্মের হাত ধরে গ্রাম দাঁড়িয়ে আছে, অন্ধকার এক গ্রাম্য স্টেশনে, শহরের মন পাওয়ার আশায়...

 

 

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন