কবিতার কালিমাটি ১১৪ |
ডানার বিষুব – ১
মৌনতার পা এই
প্রথম
নেমে প্রতিটি
চরণ
ঘনঘোর…
তলে তলে লীলাবতী
শস্যমাঠ
লাস্য করে
দুহাত অন্তর।
আমাদের আহাগামী
আহা ঘ্রাণ
অমাদেরও অঘ্রাণ
ছেড়ে
দেশে দেশে
নবান্ন হলো
না।
উড়ে কুয়াশার
রাগ
আলপথে লাগে
কিছুতেই পেরোতে
পারে না…
ডানার বিষুব – ২
দুধছড়া ছড়া
কাটা
বসন্তের পিক
নিকানো উঠোন
ফেলা
কিছুটা সন্ধ্যামণি।
এই তো মড়াইগুলো
জোনাকির ঝোপ
লাবণ্যে
জ্বলে ওঠে দোতারাও।
রণপায়ে শিরিষের
বন
এতো রঙ!
প্রতিটি মোড়ক
খুলে
আলো
আঁধার নামানো।
চলো অন্ধকার
পুষি
চলো গেয়ে উঠি
পরমের রম
এতে দুঃখ লাগে
না।
ছায়াবিন্দু
জড়িয়ে জড়িয়ে
সবটুকু প্রেম
সাধনের ধন
শূন্য মাত্র।
সে কি জন্ম
নয়!
ডানার বিষুব – ৩
অর্ধেক টানা
টেনে টেনে
বেজে ওঠার আগে
হ্রস্ব ও দীর্ঘ
কোনও স্বপ্ন
নয়
তবু বলছি
আমাদের স্বর।
দুটো তির এক
ঘাটে
গোটা জীবন
রামধনু গেয়ে
প্রত্নকে তুন
তুনা থেকে তূণীরে।
আগে পরে তাকেই
খুঁড়ছে।
পল পল আবার
বেজে
কোলে সাত ঘর
তারা তারা
হাওয়া ঘিরে
এতো কথা
একদিন শুভাকাশ
ডানার বিষুব…
শব্দের নতুন খোঁজে মনোরম হয়ে উঠলো চরাচর।
উত্তরমুছুনছায়াবিন্দু জড়িয়ে জড়িয়ে
সবটুকু প্রেম সাধনের ধন
শূন্য মাত্র।