কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩

জয়া ঘটক

 

কবিতার কালিমাটি ১২৮


গণতন্ত্র

 

নদীকে প্রশ্ন করো কোনদিকে সে প্রবাহিত হবে?

কারণ রাস্তারা ভয়াবহ!

নদী শোনে না কারোর বারণ।

আমরা সেভাবে পারিনি বলেই আজ মৃত!

 

আগুনের কাছে জানতে চাও তার ক্ষমতা?

আগুন দেবে মুঠো ভরে শুধু ছাই।

আগুনের মত শক্তি নেই

বলেই আমরা আজ মৃত!

 

তোমার দেশ কোথায়

 

ঠিকানাবিহীন নীরব দেশ তোমার।

তাই বলে না তোমার চরাচরের ধুলিভরা পথের কথা।

যেখানে তোমার পদচিহ্ন ছিল তা

অস্বীকার করছে কিছু অল্পবুদ্ধি, স্বার্থান্ধ মানুষ।

তাই শুধু রাজ্যের কথা ভেবে গেলো তোমার দেশের

বিপুল মানুষ! রাষ্ট্রকে ভুলে শুধু রাজ্যেই সীমাবদ্ধ

যারা... রুখে দাঁড়াও লেজ গুটিয়ে পালাবে তারাই।

 

এখানে, এই দেশেই জন্ম তোমার, আমার। যেদিন

সাহস করে পারবে বলতে সেদিন সব শয়তান নত

হবে তোমার পদতলে!

 

 

সঙ্গীতা তোমাকে  

 

কেউ পারে। আবারও কেউ হেরে পিছিয়ে যায়।

হারিয়েও যায় অনেকেই।

অত্যাচার সহ্য করে যায় মুখ বন্ধ করে।

কখনও বা ফণা তোলে।

সব থেকে মনে হয় বেশি ভাবায়, সমাজ,আত্মীয়রা কী বলবে!

সকলে ডিভোর্সী বলবে। তাই ধীরে ধীরে বিষাদ আক্রান্ত হয়ে যায়!

 

আমরা এতো আধুনিক হওয়ার পরেও এদের পাগল বলি।

আসলে দায়িত্ব এড়িয়ে যাই।

বিষাদ আজ সমাজের সব মানুষকেই গ্রাস করছে।

কেউ এর থেকে বের হয়ে আসতে পারেন।

কেউবা মৃত্যুকে বেছে নেন। আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

 

বিষাদ তো আমাদের মস্তিষ্কে! দেহকে তাহলে কেন

কষ্ট দেওয়া? দেহের দোষ কি? আসলে যার ওপর

নানান অত্যাচার হয়, সেই জানে ব্যথা কতটা

গভীর ক্ষত সৃষ্টি করছে মস্তিষ্কের থেকে দেহের ভেতর!

আমরা শুধুমাত্র আঙ্গুল তুলি!

 

কেন জানি মনে হয় সব ভেঙে চুড়ে শেষ করে দিই।

আর কত? কিছু না করতে পারার যন্ত্রণা কুড়ে কুড়ে খায়।

বুকে ব্যথা হচ্ছে খুব। যদি সব লন্ডভন্ড করে দিতে পারতাম!

 

পারতে হবেই। হারবো না।হারতে যেন না দেই কাউকেই!

কেউই আর আত্মহত্যার পথ বেছে নিও না। এই হোক সকলের শপথ

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন