কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩

মৌ চক্রবর্তী

 

ফ্ল্যাশব্যাকে থিয়েটার পাঁচালি : রবীন্দ্রনাথ @ থিয়েটার    





প্রতি,

অনেক করেও তাঁর চর্চার প্রযোজনা কিছুতেই শেষ হয় না। সেই অক্ষয় রচনাকার আমার মাতৃভাষার, বাংলা ভাষার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সকলের যিনি রবি ঠাকুর। কারোর কাছে ছিলেন রবিবাবু। তাঁদের আগ্রহ থাকত রবিবাবুর গান শোনার। রবীন্দ্রনাথ একটি বৃহৎ ফ্ল্যাশব্যাক অর্থাৎ, অতীত। এবং আমাদের থিয়েটারের বর্তমানও তিনি। কেন তিনিই বিষয়? পাঠক, নিশ্চয়ই ধরতে পেরেছেন বাংলার বৈশাখের সবচেয়ে বড় আবহ – আমাদের রবীন্দ্রনাথ। নববর্ষের পরই দ্বিতীয় উৎসব ঘটে ২৫ বৈশাখ নিয়ে। এক্ষেত্রে তিনি আন্তর্জাতিক এক বিশেষ্য। রবীন্দ্রজন্মতারিখ ২৫ বৈশাখ, ১২৬২ সাল। পঁচিশে বৈশাখ আগতপ্রায়। ২০২৩ সালের নিরিখে দিনটি ইংরেজি তারিখে ৯ মে, মঙ্গলবার সূচিত। যদিও তাঁর জন্মদিন ৭ মে, ১৮৬১ সালের হিসেবে। কিন্তু বাংলা তারিখের হিসেবেই চলে। তাই ২৫ বৈশাখ ধরেই পালিত হয়। এবছর তাঁর ১৬২তম জন্মদিন। তাঁর লেখা খুব চেনা পঙক্তি মনে পড়ছে, তাই না পাঠক?

“আজি হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছ বসে আমার কবিতাখানি কৌতূহলভরে …”। কবি রবীন্দ্রনাথ এটি লিখেছিলেন ১৩০২ বাংলা সনের দোসরা ফাল্গুন তারিখে। তাঁর লিখিত তারিখের থেকে পিছিয়ে গিয়ে জন্মসাল ১২৬৮ বাংলা সন। অর্থাৎ, তখন তিনি মাত্র ৩৪ বছর বয়সী। কিন্তু তিনি কোন সম্ভাব্য দর্শনে হিসেব করতে পারছিলেন একশো বছর পর, তাঁর কবিতা পড়বেন কৌতুহলভরে। শুধু কবিতা নয় রবীন্দ্রনাথ-সৃষ্ট যা কিছু, তাই-ই আমরা চর্চা করি নিয়মিত। সাহিত্য চর্চা একদিকে। অন্যদিকে নাটক গান নৃত্য বাদ্য আঁকা ইত্যাদি নিয়ে চর্চা ও পঠনপাঠন। এর সূত্রপাত করে দিয়েছিলেন তিনিই। শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকদের রবীন্দ্রভাবনা প্রসূত নিয়মিত বিদ্যা চর্চা যেমন চলে। তেমনই চলে কলাবিদ্যা চর্চা,  তা সবাই জানেন। রবীন্দ্রনাথ এই ভারসাম্য শিক্ষাব্যবস্থা চালু করে গিয়েছিলেন। যেখানে, ছবি আঁকা, নাচ, গান, নাটকের বিদ্যায়তনিক শিক্ষালাভ শুরু হয়। ভারতীয় পরিকাঠামোয় এটি উদাহরণ।

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় এরপরে। যেখানে একসময় নাট্য বিদ্যালয় দ্বারা নাটক পড়া চালু হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্তরে আসার আগে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল একাডেমি অফ ডান্স ড্রামা মিউজিক পরে নাম পরিবর্তিত হয়। বর্তমান রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়-এর নাটক বিভাগের এভাবেই শুরু। তাই, রবীন্দ্রনাথ নাট্যরচনায় যদি অতীত, তবে শিক্ষায় নাটক, নাচ, গান জুড়ে দেওয়াতে তিনি বর্তমান। এবং আগামিরও বটে। রবীন্দ্র জন্মদিন ঘিরে বর্তমান রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়-এর জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি প্রাঙ্গণে চলে অনুষ্ঠান

যদিও, রবীন্দ্র-রচিত বিবিধ রচনা নিয়ে সারাবছরই চলে অনুষ্ঠান। তবে, পঁচিশ বৈশাখের অনুষ্ঠানের ব্যাপ্তি তাঁর জন্মস্থানে, বৈশিষ্ট্যে বিশেষ। এরসঙ্গে আরেক ধরণের চর্চা থাকে – বই খুলে দেখা।  মানে ইতিহাস দেখা। মানে, ফ্ল্যাশব্যাক। ইতিহাস থেকে মেলে, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম ব্যাচে যে পড়ুয়ারা পরীক্ষা দিয়েছিলেন, মমতা চট্টোপাধ্যায় তাঁদের একজন। তিনি সহপাঠী হিসেবে পেয়েছিলেন গ্রুপ থিয়েটার-কর্মী নিবেদিতা দাস-কে। মমতা চট্টোপাধ্যায় প্রথম স্থানাধিকারী রবীন্দ্রভারতীর ছাত্রী এবং পরে সেখানেই শিক্ষকতায় যুক্ত হয়েছিলেন

 

উদাহরণ দেওয়ার কারণ রয়েছে। একটি নির্বাচিত পাঠক্রম দিয়ে যে নাট্যশিক্ষার কুশলতা আরও ব্যবহারিক হয়ে ওঠে, তা বোঝানোর জন্যে। এর সূচনা নাগাড়ে শান্তিনিকেতন পর্বে যে নাটক, নৃত্যনাট্য প্রভৃতি আশ্রমিকরা চর্চা করতেন সেখান থেকেই। সূত্র নাট্যচর্চা আমাদের ফ্ল্যাশব্যাকে গেলে রবীন্দ্রনাথের মতন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন আধুনিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের সন্ধান দেয়। যা, বিশ শতকের নাট্যচর্চার অন্যতম বিষয়। এবং, একুশের নাট্যচর্চা করিয়েদের জন্যেও ভিত তৈরি করেছিল। ভারতীয় সংস্কৃতির ইতিহাসে রবীন্দ্রনাথ সেই বিশেষ্য, যাঁকে কেন্দ্র করে আধুনিক থিয়েটারের নির্মাণ, তায় ভাষা থেকে গঠন, এবং প্রযোজনা-প্রসঙ্গ আলোচনা করা যায়। সেইদিক নিয়ে অনেক তাত্ত্বিকদের আলোচনা পাওয়া যায়। কিন্তু এর মধ্যে আরও একটি দিক রয়ে গিয়েছে অলক্ষ্যে। রবীন্দ্রনাথ সমাজের মধ্যে এক বিশেষ সংস্কৃতির আগমন ঘটালেন। যেখানে, সমাজের নিরিখে উল্লেখ করে দেওয়া ‘ভদ্র’সন্ততিদের দিয়েই গান, নাচ, নাটক প্রভৃতি শিল্পের প্রতিষ্ঠা করে দিলেন। কারণ, ইতিহাস তো জানা। বিশ শতকের মঞ্চে জাতিকাদের নিয়ে থিয়েটারের লড়াই - সেদিক থেকে রবীন্দ্রনাথ একটি রুচিশীল নান্দনিক পরিকাঠামো নির্মাণ করেছিলেন। যেখানে রঙ্গালয়ের ইতিহাসও রইল, আবার শিল্পের আত্মিক চর্চাও রইল। যেখানে মেয়ে তথা নারীদের অভিনয় নিয়ে, যে অবস্থান ছিল, তার চেয়ে এগিয়ে গেল সমাজের নিষেধ সত্ত্বেও। এদিক থেকে একটু সুবিধে হয়ে রইল বিদ্যাচর্চায় থিয়েটার, নাটক পড়া শুরু হয়ে।

 

রবীন্দ্রজয়ন্তী তারিখে ইতিহাস থেকে তাঁকে উদাহরণ হিসেবে নিয়ে আসা হল আন্তর্জালিক পাতায়। তিনি নাট্যকর্মী -- বললে কম বলা হয়। তাঁর কথা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল তিনি নাট্যমরমি। তিনি নাট্যসাধক। রবীন্দ্রনাথ এখানেও টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি। আর প্রথম ব্র্যাকেটের মধ্যে রয়ে যাচ্ছেন তাবৎ লড়াকু নাটক-থিয়েটার করতে আসা মেয়েরা। লড়াকু বলার কারণ? এ কি অতি নারীবাদ? তা থাকলেও থাকতে পারে। কারণ, গোটা বিশ শতকের সময় মোড়কে নারীর অধিকারের লড়াই, পরে নারীবাদের মতন এক শব্দের ব্যবহার শুরু করিয়ে দেয়।

 

মেয়েদের একসময় পড়াশোনা করার জন্যে ছিল লড়াই। বৃহত্তর সমাজ নয়, ক্ষুদ্রতর সংগঠন পরিবার যার নাম। সেখানেই তো সিদ্ধান্ত হয়ে যায়, মেয়েরা যে মেয়ে। ফলে, ওই ভ্রূণের থেকেই লড়াই। মেয়েদের পড়ার লড়াই, পেশাগতভাবে কিছু করতে পারার লড়াই, পেশায় টিকে থাকার লড়াই, পেশাগত বলে লড়াই, অপেশাদার কাজের লড়াই। এবং  লড়াইয়ের চিহ্ন নিয়ে মেয়ে নামক সত্তার সঙ্গে লড়াই। সেখানে থিয়েটারে মেয়েদের ‘ভদ্র’জাতিকা বলে কাজে যোগ দেওয়া থেকে লড়াই। সাধারণ রঙ্গালয়ের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের থিয়েটারের বৈশিষ্ট্যের যোগ প্রায় ছিলই না। রবীন্দ্রনাথের থিয়েটারের শিল্পীকন্যেদেরও তাই চলিত কলকাতার থিয়েটারের ধরণের চেয়ে আলাদা করে পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথ কৌশিকি বৃত্তির বিকাশ ঘটানোর প্রেক্ষিতের গড়তে চেয়েছেন থিয়েটার। রবীন্দ্রনাথ ভেবেছিলেন আসলে শিল্পীর মতন। তিনি ভেবেছিলেন যেমন, শিল্পের মাধুর্য তেমনই নান্দনিক দিকটাও ভেবেছিলেন। বিশ্বের তাবৎ দেশের থিয়েটার প্রত্যক্ষ করার সুবিধে যে কতটা, তা রবীন্দ্রনাট্যচর্চাকারীদের জানা।

 

রবীন্দ্রনাথের এই ফর্ম যেমন নয়া আমদানি নয়, তেমনই পুরনো ফর্মের কার্বন কপিও নয়। রবীন্দ্রনাথ সেই থিয়েটারের নির্মাণ করেছিলেন, যেখানে দেশের রুচি, তাঁর রুচি এবং আগামি প্রজন্মের সত্তার বিকাশ যেন ঘটে। আর রবীন্দ্রনাথ সবচেয়ে যেটা করেছিলেন, তা হল রবীন্দ্রভাষা, যা তৎকালীন বাংলার সঙ্গে সংস্কৃত ভাষার অনুষঙ্গ রক্ষা করছে। ফলে, নাট্যচর্চাকারদের হল সুবিধে। অভিনয় করতে গিয়ে নতুন বাংলাভাষার স্বাদ মিলল। নতুন গান মিলল। মিলল কবিতা। মিলল ছন্দ। মিলল রূপক, মিলল তত্ত্ব, মিলল সাধনার জন্যে আজীবন খুঁটে বেছে চলা রবীন্দ্ররচনা। তাই রবীন্দ্রনাথ বিশুদ্ধ এক শিল্পচর্চার আধার।

 

ফিরে যাওয়া সেই সূত্রে, যেখানে সাধারণ দেশের মেয়েদের জন্যে রবীন্দ্রনাথ থিয়েটার এনে দিলেন। নারী এল থিয়েটারে। কাণ্ডারি রবীন্দ্রনাথ। কবিতা, গান, নৃত্যনাট্য, গীতিনাট্য, নাটক- থিয়েটার দিয়েছেন উজাড় করে। মেয়েরা রোজগার করে পরিবার চালাল। নাচ, গান, নাটকে কৃতি হল, আন্দোলন করল। ‘ভদ্র’ঘরের পরিশীলিত কন্যেদের অতি উৎসাহে বিভিন্ন ভূমিকায় দেখা গেল। বিশ শতকের শেষ দিকে নাটক করা নিয়ে সমাজের টিপ্পনী থাকে। এক, একটু বেশিই কালচারাল, বা চোখ ট্যাঁরাদের আঁতেল সংস্কৃতি। দুই, নিন্দুকদের আবারও অ্যাদিখ্যেতা রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু তিনি যে থিম পুজোর কোন মূর্তি নন, তাঁকে কিছুতেই বিসর্জন দেওয়া যায় না।

 

পাঠক, পড়তে পড়তে বিরত হলে তো ঠিক আছে। নইলে, রবীন্দ্রনাথ নিয়ে যেকোন লেখার মান বাড়ছে কিনা দেখতে বলা যায়। কথার মধ্যে চলে আসা যাক, রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনের কথায়। সেবার ছিল রবীন্দ্রজন্ম শতবর্ষ। এক শিল্পী অভিনয় করেছিলেন রবীন্দ্রনাথের "বশীকরণ" প্রহসনআচার্য অহীন্দ্র চৌধুরী মহাশয়ের নির্দেশনায় সেটি অভিনীত হয় কলকাতার ইনডোর স্টেডিয়ামে। মমতা অভিনয় করেছিলেন মাতাজি চরিত্রটিতে। উল্লেখ্য চরিত্রের পোশাকের এবং সাজের বর্ণনা পাওয়া যায়। মঞ্চনাট্যের এই হল এক বিশেষ উপাদান। পোশাক ও সজ্জা দিয়েই দর্শককে চরিত্র চেনানো। উক্ত নাটকে মমতা চট্টোপাধ্যায় সেজেছিলেন -- রক্তবর্ণ শাড়ি, এলায়িত কেশ কপাল জুড়ে বড় এক সিঁদুরের টিপ। গলায় লাল জবার মালা সঙ্গে বড় বড় রুদ্রাক্ষের মালা চরিত্রের মেকআপ এখানেই শেষ নয়। এই চরিত্রদৃশ্যে দুটো নর কঙ্কাল নিয়ে বিচিত্র ভঙ্গিমায় গম্ভীরভাবে সংলাপ বলতেন। তাঁর বলার ভঙ্গিতে, দর্শকরা তো হাসতেন বটেই। সঙ্গে সহ-অভিনেতাদেরও হাসি

 

মমতা এক শিল্পী, তবে ভুলে যাওয়া। রবীন্দ্রপক্ষের সূচনায় মমতা চট্টোপাধ্যায়-এর থিয়েটার সংলগ্নতা তুলে ধরা গেল। এও তো ফ্ল্যাশব্যাক। আরও রয়ে গেল তাঁর কথা লেখা হল না। একসময় রঙ্গমঞ্চের আলো নিবে যায়, মেকআপ তুলে ফেললে, শিল্পী হয়ে যায় শুধু ইতিহাস। শতকের তারিখ ফেরার পথে হয়ত ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট ছবি খোঁজে। তাঁর ছবি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেলে, তার দায় সমাজ ও শিল্পের। বর্তমানেরও।

 

সেই অনুসন্ধানে গবেষণা। মনে পড়ে গেল, গ্রুপ থিয়েটারের অভিনেত্রীদের নিয়ে তথ্য খোঁজার পর্ব। সাক্ষাৎ পেয়েছি ব্যস্ততম শিল্পীর, অভিনেত্রী, নাট্য-নির্দেশক সোহাগ সেন। তিনি তাঁর ভাল লাগা অভিনেত্রীদের তালিকায় উচ্চারণ করলেন মমতা চট্টোপাধ্যায়ের নাম।

 

এককথায় সবসময় কি বলা যায়? মমতার অভিনয়, থিয়েটারের কাজ এবং মমতা থাকলে…। থিয়েটার = মমতা চট্টোপাধ্যায়। কথাকৃতি নাট্যদলের প্রাজ্ঞ - নির্দেশক এবং থিয়েটার বিশ্লেষক সঞ্জীব রায়-এর কথাও চিনতে পারা যায় মমতা চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি জানিয়েছিলেন, দীর্ঘসময় কাছ থেকে দেখা মমতাদিকে। থিয়েটারকে যে বা যাঁদের জন্যে বিশেষ করে দেখা যায়। যাঁদের অনুপস্থিতি অপূরণীয়, এক কথায় মমতাদি তাই।

 

তাইই হবেন নিশ্চয়। কারণ, মানববাহিত এই থিয়েটার মাধ্যম না দেখলে বুঝিয়ে বলা, ব্যাখ্যা করা সম্ভবপর নয়। পাঠক জানেন, অভিনেতা জানেন, দর্শকও জানেন। আমরা, থিয়েটারের যা লিখি, তা কেবলই ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা। কিছু ঘটনা, কিছু অভিজ্ঞতা তুলে ধরা। আমরা জানি, অভিনয় কিছুতেই লেখা যায় না পুরোপুরি। #ফ্ল্যাশব্যাক #থিয়েটার এমনই এক শিল্পীসত্তার সন্ধানে রবীন্দ্রজন্ম উৎসবে। যেখানে আবিষ্কার #মমতা চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্যে অনুরোধ রইল হে আগামির পাঠক। ততদিনে চলুক #থিয়েটার। 


_ ইতি

একুশ শতকের ফ্ল্যাশব্যাক সত্ত্বাধিকারী

 

 


4 কমেন্টস্:

  1. এক কথায় বলতে চাই আমার অসাধারণ লেগেছে

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. বাধিত হলেম। আর খুশি ... তোমার পাঠ থেকে যদি কোন ভুল উঠে আসে তবে জানিও , অপেক্ষায় রইব আগামিতে ...

      মুছুন
  2. নিবন্ধটিই শেষ কথা। বিশেষ কিছু বলে নিবন্ধের পরিসর কমাতে চাই না। নারীকে আপন ভাগ্য আপনাকেই জয় করে নিতে হয়। পুরুষের মতো তার চলার পথ সাজানো থাকে না। আর সেই নিঃসঙ্গ লড়াই তা উৎপাদন উপস্থাপনা বা সৃজন যাই হোক সব কিছুই এক ভিন্ন মাত্রার গৌরব বহনষকরে। এই গবেষণাধর্মী নিবন্ধ তার থেকে আলাদা কিছু নয়। এই লেখার মধ্য দিয়ে মৌ আমাদের কৃতজ্ঞতাপশে আবদ্ধ করেছে। অভিনন্দন। মৌ এমন আরও নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত করুক। আমাদের তথ্যভাণ্ডারকে আলোকিত করুক।

    উত্তরমুছুন
  3. আবদ্ধ রইলাম কৃতজ্ঞ আমি। আপনার মতন তাত্ত্বিক আমার লেখা পড়েছেন জেনে আপ্লুত। আপনার মন্তব্য ঋদ্ধ করল আগামির জন্যে। শুভেচ্ছা জানবেন

    উত্তরমুছুন