প্রতিবেশী সাহিত্য
ই সন্তোষ কুমার-এর গল্প
(মূল মালয়ালম থেকে ইংরেজি অনুবাদ
- বেণুগোপাল)
(ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ - তৃষ্ণা বসাক)
লেখক পরিচিতিঃ ই সন্তোষ কুমার মালয়ালম ভাষার এই প্রজন্মের অত্যন্ত
উল্লেখযোগ্য লেখক। তাঁর গ্রন্থের সংখ্যা পনেরোর বেশি। সেরা গল্প সংগ্রহের জন্যে এবং
উপন্যাস অন্ধাকরানঝি–র জন্যে দুবার পেয়েছেন কেরালা সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার
যথাক্রমে ২০০৬ আর ২০১২ সালে। এই উপন্যাসটির ইংরেজি অনুবাদ - আইল্যান্ড অফ লস্ট শ্যাডোজ
২০১৫ সালের ক্রসওয়ার্ড পুরস্কারের জন্য বাছাই করা হয়েছিল। তাঁর দুটি গল্প থেকে মালয়ালম
সিনেমা হয়েছে। তাঁর লেখা অনুবাদ হয়েছে ইংরেজি,
তামিল, হিন্দি এবং জার্মান ভাষায়। বাংলায় অনুবাদ এই প্রথম।
মাপ
KL 07 AB 321। মোটরসাইকেলটা একটা নোংরা বিছানার চাদর দিয়ে ঢাকা ছিল। হাতলদুটো চাদরের বাইরে বেরিয়ে ছিল। যুবকটি খুব আস্তে আস্তে চাদরটা তুলল, যেন সে কোন যাদুকরের ভঙ্গি নকল করছে, তারপর চাদর তোলার পর কাছে কাপড় মেলার তারে ঝুলিয়ে দিল। এবার পিছিয়ে এসে সে বাইকটি খুঁটিয়ে দেখল। তারপর সে বাইকের কাছে গিয়ে সিটে চাপড় মারল, অনেকদিনের জমা ধুলো বেরিয়ে এল। সে ফ্যাকাশে হেসে মাঝবয়সী লোকটির দিকে তাকাল।
লোকটি কিছু বলল না। সে শুধু যুবকটির দিকে চেয়ে রইল।
সে খানিকক্ষণ সময় নিল, তারপর বলল, ‘ব্যাপারটা আপনি যেমন ভেবেছেন, তেমন নয় স্যার। আজকাল সবকিছুই খুব তাড়াতাড়ি পুরনো আর বাতিল হয়ে যায়। যদি কালকের কেনা জিনিস আপনি আজ বেচতে চান, আপনি অর্ধেক দাম পেলেই নিজের ভাগ্য জানবেন। এমনকি বাজারে নতুন আসা জিনিসের দামও পড়তির দিকে। শুধু তাই নয়। নতুন নতুন জিনিস বাজার ছেয়ে ফেলছে। আর, শেষপর্যন্ত, পুরনো জিনিস মানে পুরনো জিনিস, সে আপনি অনেকদিন ব্যবহার করুন আর একদিন। কে কিনতে চাইবে? আজকাল মানুষকেও একইরকমভাবে দেখা হচ্ছে, তাই না? বড় শহরে কাজ করে, আমার কিছু বন্ধুবান্ধব, বলছিল পাবলিক সাধারণত তাদের বুড়োমানুষ ভাবে। মনে রাখবেন, তারা এমনকি এখনো তিরিশেও পা দেয়নি! কেউ বিয়েও করেনি। আজকালকার দিনে মানুষ এক মুহূর্তের জন্যে চোখ বন্ধ করতে গেলেও ভাবে। ওই এক মুহূর্তেই দুনিয়া বদলে যায়।’
সে শুনতে পেল, যে অটোরিক্সা চড়ে সে এখানে এসেছিল, সেটা চলে যাবার শব্দ।
সে বলতে থাকল, ‘এসব বলছি বলে আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি আপনার অবস্থা পুরো বুঝছি। এই কারণে আমি এখানে নিজেই এসেছি। আজকাল আমি কেবল বড়গাড়ি বিক্রি করতে হলে নিজে যাই। আমার কর্মচারীরা দু-চাকার ব্যাপারটা দেখে। সত্যি বলতে কি, আজকাল আমরা ছোটগাড়ি নিয়ে একদমই আগ্রহী নই। প্রচুর জায়গা লাগে রাখতে, তাই না? গত বছর আমি ১৫ শতক জমিই কিনেছি এইজন্যে। আপনি একবার এসে শুধু দেখুন। সেখানে একটা আলপিন রাখারও জায়গা নেই। ওই জমিটা আবার বেচে দিলে লাখ লাখ টাকা কামাতে পারতাম। কিন্তু আমি পুরনো গাড়ির বিক্রির ব্যবসাই আঁকড়ে পড়ে আছি। অনেক বছর হল এই লাইনে, তাই না? একটা অভ্যেসে দাঁড়িয়ে গেছে। তাছাড়া অনেকের রুটিরুজি ব্যবস্থাও করতে পারছি এ থেকে। সেটা কি বড় কথা নয়?’
কোন উত্তরের অপেক্ষা না করে, সে পকেট থেকে একটা ছোট ক্ষয়া পেন্সিল আর ছোট্ট একটা ডায়েরি বার করল। ব্যস্তভাবে ডায়েরির পাতা উল্টোতে উল্টোতে একটা খালিপাতা বার করে তাতে কিছু টুকে নিল। ডায়েরিটা দেখিয়ে সে বলতে থাকে, ‘এটা দেখুন। এই ডায়েরিটা গাড়ির বাজারদরে ভর্তি। আমি প্রতিদিনের দরগুলো এখানে লিখে রাখি। আমি খুব দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি আমার হিসেব অন্য কারো থেকে ঢের বেশি নির্ভুল। মনে করবেন না যেন আমি ফাটাচ্ছি। আমি অনেক দিন আছি এই লাইনে, তাই না? আমি একটু আগে বললাম না, আগের জমানা আর নেই। এখনকার দিনে হিসেবটা একদম নিখুঁত করতে হবে। নইলে আপনি এ লাইনে টিঁকবেন না। নতুন গাড়িগুলো পুরনোগুলোর থেকে একদম আলাদা। সেই অ্যাম্বাসাডার, ফিয়াট, বুলেট বা রাজদূতের জমানায় ব্যাপারটা অনেক সহজ ছিল। এখন হাজার হাজার মডেল বেরিয়েছে, হাজার হাজার ভ্যারাইটির। খুব খুঁটিয়ে খোজখবর না রাখলে কেউ লাইনে টিকতেই পারবে না। পুরনো দালালের জমানাও শেষ, তখন কী ছিল, যে লোক গাড়ির দালাল, গরুছাগলেরও সেই একই লোক দালাল। তারাই আবার বিয়ের ঘটকালিও করত। কিন্তু এখন এসব চলবে না। একবার ভেবে দেখুন। আমার মতো পড়াশোনা করা কোন ছেলে কি তখন দালালিতে আসত?’
যুবকটি বাইকের হাতলে কব্জি চেপে বাইকটা সেন্ট্রাল স্ট্যান্ডে রাখল। হেডলাইটের কাঁচ ভাঙ্গা। ভুঁড়ির মতো দেখতে তেলের ট্যাঙ্কি একটু চিড় খেয়েছে, এছাড়া সব মোটামুটি অক্ষত। KL 07 AB 321 ডিসেন্ডিং অর্ডারে নম্বর মনে রাখা সোজা। বুড়ো মানুষটির মনে পড়ল এই বিশেষ নম্বরটি পেতে ১০০০ টাকা বেশি দিতে হয়েছিল।
‘এই আরেক সমস্যা’। যুবকটি যেন তাঁর মনের কথা পড়েই বলল, ‘আপনি হয়তো ভাবছেন এটা খুব ভালো সংখ্যা। কিন্তু এই নম্বরটা নিয়ে বিরাট মুসিবত। এর বদলে যদি ১ ২ ৩ হত, ব্যাপারটা অনেক সহজ হত। ১ ২ ৩ এই যে নম্বরটা একটা স্বাভাবিক ছন্দে বাড়ছে। কিন্তু এদিকে দেখুন ৩ ২ ১ ধাপে ধাপে নামছে। এতে শুধুই ক্লান্তি আর অবসাদ। খুবই দুঃখের কথা, এইরকম একটা নম্বর বাছা হয়েছিল। মানুষ এইসবও খেয়াল করে স্যার। আমার সঙ্গে পরামর্শ করলে আমি এই নম্বর নিতেই দিতাম না। কিন্তু এ নিয়ে আর ভেবে কী লাভ? যা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। এই নম্বরটার জন্যেই দাম আরও হাজার টাকা কমাতে হবে। কিন্তু আপনার অবস্থার কথা ভেবে, সেদিকে যাব না। আমি তো ফোনেই আপনাকে বলেছি, এইখানে আমি লাভের কথা ভাবছিই না। আমি আপনার অ্যাকাউন্টটা ঠিক করে দিতে চাই। যদি আমার লসও হয়, তো ও ভি আচ্ছা হ্যায়। আমি অর্ধেক সুদ ছেড়েই দেব। শুধু অ্যাকাউন্টটা মিলিয়ে নিতে হবে। আপনি জানেন জাস্ট একটা চেকের পাতার ভরসায় আপনাকে ধার দিয়েছিলাম। আমি আপনাকে শোধ দেবার জন্যে চাপ দিইনি, যদিও ঘটনাটার পর ডিফল্ট হয়ে গেছিল। আরে বাবা, আমাদের অনেকদিনের সম্পর্ক’।
সে ডায়েরি খুলে আর একটা পয়েন্ট লিখল। স্ট্যান্ড থেকে বাইক নামিয়ে চাবি ঘোরাল, লাথি মারল। কিছুক্ষণ গোঁ গোঁ করার পর বাইকটা আস্তে আস্তে স্টার্ট নিল।
‘যাক, কপাল ভালো বলতে হবে’, ছেলেটা বলল, ‘ঠিকঠাক স্টার্ট নিচ্ছে। আমার চিন্তা ছিল। মনে হয় ব্যাটারি ঠিকই আছে। অন্য কোন সমস্যা...’
‘কোন প্রশ্নই নেই। সেই সেখান থেকে চালিয়ে আনা হয়েছে। তাছাড়া, পাশের বাড়ির ছেলেটা, একটা ওয়ার্কশপে কাজ করে, ভালো করে দেখে জানিয়েছে এটা খুব ভালো কন্ডিশনে আছে’।
আচমকা লোকটিকে শুধরে দিয়ে ছেলেটি বলল, ‘ওপর থেকে দেখে সব ঠিকই আছে মনে হবে। কিন্তু দেখুন অত বড় একটা দুর্ঘটনা হয়েছে। অনেক কিছু আস্তে আস্তে বোঝা যাবে। এমনটাই হয়। পুরো ভেতরটা হয়তো টোটাল চুরমার হয়ে গেছে। পরে সব নাট বল্টু, টাইট দেওয়া স্ক্রু, সব খুলে আসবে। এমনকি গোটা ইঞ্জিনকে ঢেলে সাজাতে হতে পারে। এইসব যন্ত্র আর মানুষের শরীর একরকম। আপনি হয়তো দেখেছেন পুলিশ চোরদের কি রামঠ্যাঙ্গানি দ্যায়, তাদের ছোকরা বয়সে। পুরো রক্ত শুষে নেয়। শুধু জওয়ানির স্বাভাবিক জোশেই তারা বেঁচে যায়। কিন্তু তারপর! যাকগে যেতে দিন। এখনি ফালতু অতদূর ভেবে লাভ নেই।’
সে থেমে গেল, যেন সে একটা অনড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। তারপর সে সাহস সঞ্চয় করে আবার ধীরে ধীরে বলতে শুরু করল, ‘আপনার ছেলের উদাহরণই ধরুন। বাইক ক্র্যাশ হবার ঠিক পরে পরে মনে হচ্ছিল ওর কিছুই হয়নি, তাই না? সত্যি বলতে কি, সে দিব্যি উঠে দাঁড়াল। শরীরে একটা আঁচড় অব্দি ছিল না। একফোঁটা রক্ত পড়েনি। আমি বলছি, কারণ আমি জানি ঠিক কী হয়েছিল। ওকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হল শুধু এটা নিশ্চিত করতে যে তার কিচ্ছু হয়নি। কিছু লোক তো তর্ক জুড়ে দিল, সেটাও দরকার নেই বলে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর... আমি শুনলাম সে বমি করেছে, আমি বুঝতে পারলাম খারাপ কিছু হতে যাচ্ছে। বাইক ক্র্যাশের সময় তার মাথা রাস্তায় ধাক্কা খেয়েছিল। আমি ঠিক এই কথাটাই বলতে চাইছি। গাড়ির বেলাতেও একই জিনিস ঘটে। আঘাতটা ভেতরে থাকে। বাইরে থেকে কিচ্ছু বোঝা যায় না’।
মানুষটার
মুখ ঝুলে গেল। মনে হল কোন ভয়ঙ্কর দৃশ্য তার চোখের সামনে ফুটে উঠেছে।
‘মাপ
করবেন স্যার’, ছেলেটা বলল, ‘আমি আপনাকে কষ্ট দিতে এ কথা বলিনি’।
‘থাক,
ঠিক আছে’, আবেগশূন্য গলায় বলল লোকটি। তারে মেলা চাদরটা হাওয়ায় দুলছে।
কিছুক্ষণ কেউই কোন কথা বলল না। একমাত্র আওয়াজ যা শোনা যাচ্ছিল তা হল, তখনো স্টার্টে থাকা বাইকটার মৃদু গোঁ গোঁ।
‘তাহলে আমি আশা করছি ফোনে যে টাকার অংকটা বলেছিলাম, আপনি সেটাতে রাজি। আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন আমি অর্ধেক সুদ ছেড়ে দিয়েছি ইতিমধ্যেই। আর আমি এই টাকা ধার দেবার ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছি। এসবের জন্যে আমার আর সময় নেই’।
বয়স্ক মানুষটি কিছু বলল না। কিন্তু সে হাত বাড়িয়ে টাকাগুলো নিল। না গুনেই সে টাকাগুলো পকেটে রেখে দিল। টাকার ধারগুলো তার পকেট থেকে বেরিয়েছিল।
ছেলেটা
বলল ‘প্লিজ গুণে দেখে নিন’!
লোকটা
হাত নেড়ে বোঝাল এসবের কোন দরকার নেই। ছেলেটা চশমা মুছে আবার পরে নিল। সে বাইকে চাপড়
দিল যেন বিদায় জানাচ্ছে।
সে
তার ডায়েরি নিয়ে পকেটে রাখে। বাইকে বসে হাত নাড়ে লোকটাকে।
‘একটু দাঁড়াও’, বলে লোকটা বাড়ির ভেতরে চলে যায়। বাইকে বসে ছেলেটা অবাক হয়ে ভাবে, ঠিক কী করতে চাইছে লোকটা!
একটু পরে লোকটা হাতে একটা কালো রঙের হেলমেট নিয়ে ফেরে। এর বগলসটা খুলে ছেলেটার হাতে দ্যায়। ‘প্লিজ এটা সঙ্গে নিয়ে যাও’।
ছেলেটা এটা খুঁটিয়ে দেখে কিছু বলতে চায়।
বয়স্ক মানুষটি তার মুখ খোলার আগেই বলে, ‘প্লিজ, এটার কোন দাম ধরো না। তুমি এটা পরে যাবে। তোমার মাথার মাপেই আছে।’ সে ছেলেটির মাথার দিকে তাকিয়ে মনে মনে একটা মাপ নেয়। ‘যখন ও বাইক কেনার জন্যে জেদ ধরেছিল, আমি এটা ওর জন্যে কিনেছিলাম, শুধু আমার মনের শান্তির জন্যে।’ তার গলা কেঁপে গেল। ‘ওইদিনও আমি হেলমেট পরে যেতে বলেছিলাম। কিন্তু ছেলেপিলেরা এইরকমই, তারা সবসময় আমাদের কথা শোনে না’।
ছেলেটা
দেখতে পাচ্ছিল লোকটার চোখ জলে টলমল করছে।
ছেলেটা
হেলমেট পরে নিল। যদিও হেলমেটটা একদম তার ঠিক মাপে মাপে, তবু কেন জানি তার দম বন্ধ হয়ে
আসছিল।
‘ঠিক
আছে, না?’ বয়স্ক লোকটি তাকে জিগ্যেস করল।
ছেলেটা
বলার চেষ্টা করল, হ্যাঁ, ঠিক আছে, কিন্তু তার গলা দিয়ে কোন আওয়াজ বেরল না।
অনুবাদক পরিচিতি - তৃষ্ণা বসাক এই সময়ের বাংলা সাহিত্যের একজন একনিষ্ঠ কবি ও কথাকার। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, কল্পবিজ্ঞান, মৈথিলী, হিন্দি ও মালয়ালম অনুবাদকর্মে তিনি প্রতিমুহূর্তে পাঠকের সামনে খুলে দিচ্ছেন অনাস্বাদিত জগৎ। জন্ম কলকাতায়। শৈশবে নাটক দিয়ে লেখালেখির শুরু, প্রথম প্রকাশিত কবিতা ‘সামগন্ধ রক্তের ভিতরে’, দেশ, ১৯৯২। প্রথম প্রকাশিত গল্প ‘আবার অমল’ রবিবাসরীয় আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৯৯৫। প্রাপ্ত পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে- পূর্ণেন্দু ভৌমিক স্মৃতি পুরস্কার ২০১২, সম্বিত সাহিত্য পুরস্কার ২০১৩, কবি অমিতেশ মাইতি স্মৃতি সাহিত্য সম্মান ২০১৩, ইলা চন্দ স্মৃতি পুরস্কার (বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ) ২০১৩, ডলি মিদ্যা স্মৃতি পুরস্কার ২০১৫, সোমেন চন্দ স্মারক সম্মান (পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি) ২০১৮, সাহিত্য কৃতি সম্মান (কারিগর) ২০১৯, কবি মৃত্যুঞ্জয় সেন স্মৃতি সম্মান ২০২০, নমিতা চট্টোপাধ্যায় সাহিত্য সম্মান ২০২০ ও অন্যান্য আরো পুরস্কার।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন