কবিতার কালিমাটি ১৪৮ |
আলো আঁধারের শোভাযাত্রা
সৌন্দর্য ছেড়ে চলে গেছে… চলে গেছে ঢোল তবলায়
মাখামাখি দল…
যারা এতদিন গাইলো, নেচে তোমাদের আনন্দ দিলো তারা
বিদায় নিয়েছে,
শুকনো ফুল দিয়ে সুসজ্জিত স্টেজে
বসে আছি,
ওরা প্রজাপতির মতো আমার ডানাদুটো
নিয়ে গেছে
এ-ও জানি দূরে সেই "সাফা হাফং" পাহাড়ের টিলায় উৎসবে...
ঢোল বাজছে, শিমুর বাজছে, ধুদুক বাজছে, পাখি উড়ছে,
আলো আঁধারিতে কেতুর কোমর ধরে
জ্যোৎস্না ঝরছে
পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে যাচ্ছে
রসের মাদকতা
মৃত্যু উৎসবের মতো গোল করে ঘিরে রেখেছে
চাঁদের আলো
লোকসংগীতের আবহে ভেসে যাচ্ছে
বয়স, সৌন্দর্য
পূর্ণিমার আলো গলে গলে পড়ছে
সূর্যের তীব্রতায়
আলো ও আঁধার দুটোই বাদ্যযন্ত্র!
গল্পের জন্য
এই যে দেখছি গদ্যের সুষমার
খোঁজে কিছু পিঁপড়ের
চোখ জ্বলজ্বলে।
নুড়িপাথর মাড়িয়ে ওরা এগিয়ে চলেছে…
পাতার আড়াল থেকে
ঘোমটা খুলে শীতের সূর্যও হাঁটছে
বন্ধুত্বার খোঁজে ।
ঝরে পড়া দু'একটা পাতা
অথবা শুকনো ঘাসের বেঁচে থাকার যে
লড়াই,
সেই বিশ্বাসের তল খুঁড়ে বেরিয়ে আসবে
কিছু গল্প।
মাটি, নুড়িপাথর, মাকড়সার জালে
আটকে পড়া পোকামাকড়;
যে যার ভারসাম্য রেখে চলেছে গল্পের।
প্রকৃতির গর্ভ থেকে চলো
ওদের নিংড়ে আনি।
কিছু খোয়া গেছে
হলুদ ঘাসফুলের মধ্যে
বন্ধুত্ব হারিয়ে গেলে
আশ্রয় নিই লাল, সাদা বেগুনির কাছে
মনে হয় সূর্যর আলো
গায়ে এসে পড়তেই
আমিও উজ্জ্বল সাজে
দেখি নিজেকে
কখনো
গোধূলি হই কখনো আলোছায়া
রোদ
অথবা
সময়ের বুক পকেটে যত্নে
তুলে রাখা
একমুঠো বৃষ্টি!
আমরা অনেকেই অনেককিছু
হারিয়ে ফেলি
যেমন যত্নে তুলে রাখা
ঘাসফুলের রঙ
হৃদপিন্ডের কিছু অংশ
আকাশের মতো একবুক বিশ্বাস
অথবা চোখে চোখ রাখার
মতো সাহস
আমরা হারানোর অভ্যাসে
আটকে
বার বার নক দেই বিশ্বাসের
ঘরে
যেন মৃত আমি বারবার
জেগে ওঠে
আবারও মৃত্যুর ঘরে
হারায়।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন