কবিতার কালিমাটি ১৪৮ |
রোদের বসন – ১
অভ্ররোদের জল
লিখে চলেছে
দ্রাঘিমার ঢেউ
ঢেউ ঢেউ
দূরের খেয়ায়
নেইপারাপার
ধারাপ্রপাতের উষ্ণ।
ঝাপসা দিচ্ছে পলকের চোখ
পল পল কলম বসা
ভেসে নদীর
গুনগুন ও পাল তোলা।
কে কাকে তুলছে
কতটা তুলবে
এই ফেরাদিনের কাছে
আমাদের সবটুকু মিলিয়ে
বিলিয়ে…
রোদের বসন – ২
রোদ বসে না বসনের গায়ে
ভাসা জ্যোৎস্নার ওপিঠ
না উজিয়েও এককলম
রোদে হেসে
আবার হারালো।
এই পাথরকলির গায়ে
কল কল গেয়ে
শেওলা ফেরত
শ্রী ধরতেই
ইতি থেকে খোল
হাস ও
পাতাল পর্যন্ত
ধরো ধরো রিমঝিম।
আজও বৃষ্টি হলো না
তবু বরিষণ ওগো বর্ষা
ছুঁয়ে দেখি তোমাকে
শুধু তোমাকেই
বারবার
রোদের পর্দা খুলে
ও যে খুলে খুলে যায়…
রোদের বসন – ৩
আমাদের নীরবতা নীল
ও বদ্ধতা মাঝে
একরাশ শূন্য তুলে
মাঝে মাঝে
রোদমড়াইয়ের
নিশ্চুপ গোলঘর
প্রতিচ্ছবি ভাসে
আর ছায়ার ঘোমটা।
খোলা বন্ধের অনেকটা সরল
ফিরবে কি ফিরবে না ভেবে
কিনারায়
দু-একটা ঘুঘুডাক।
তবে কি মাধুরীর স্নান
চানঘর থেকে
হাওয়া
হাওয়া
আমরাই প্রথম
মুড়ে রাখা
বরফের
শাল বুকে
রোদের
পরশে দিলাম!
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন