ধারাবাহিক উপন্যাস
সত্যান্যাস
অথবা
গোদার দেখে ৭৮৬টি মনোলগ
একটি বৈদান্তিক ভোগবাদ বিরোধী গায়ের জোরে বলা উপন্যাস
A social media studies
যে বাজার থেকে মুক্ত সে মুক্ত
(পর্ব ৫)
কর্মসূত্রে বছর দুই দিল্লি থাকতে বাধ্য হতে হয়েছে। না, তাজমহল দেখতে
যাইনি। বরং ছেড়ে এসেছি চাকরি শুধু লিখবো বলে, প্রিয় বন্ধুর কেতায়, এয়ারপোর্ট যেতে যেতে
অটোয় মাথায় শুধুই খেলছিল এরপর লেখা পড়বেন বারীনদা, জয়, মলয়দারা! আজ থেকে আমি সিরিয়াস
লেখক!
ভুসুড়িওয়ালা দিল্লির ব্যাহেনচোদ, ব্যাহেন কি ল্যাওড়ে কলোকিয়ালে তাদের
রেপিস্ট জীঘাংসা সর্বত্র করোনার সংক্রমণের শক্তিতে ছড়িয়ে যায়। ওদের জাঠরা কাউকে বাঙালি
বুঝলে এমনকি কন্ডাক্টারও তোমায় অবলীলায় ব্যাহেঞ্চোদ বলে দিয়ে যাবে বিনা কারণে! ওইসব
খাজা মইনুদ্দিন খিস্তির অভদ্র শহরটাকে কোনোদিনও আমার জাহাঙ্গীরের সমাধির রোমান্টিসিজম
লাগেনি। তার থেকে GOYA-র ছবিও রোম্যান্টিক। গালিব কোনো কবিতায় আমায় উস্কে দেননি দিল্লির
প্রতি প্রেমের মোমেন্ট। তাকে তো সভাকবি করে শেষ বাহাদুর শাহ দিয়েছিলেন একটি ছেঁড়া শাল।
গজলের মদ ও মেয়ে আমায় টানে না। হায়, ধ্রুপদ আজ প্রায় বিলুপ্ত। ভাবো দেখি, “খন্ডন ভব”
আসলে ধ্রুপদ। আর শেষের কবিতা, গোরা, চোখের বালি, চতুরঙ্গ নিয়ে তর্ক করতে করতে আমরা
মহাকাব্য সাক্ষী রেখে বিয়ে করে ফেললাম এবং ছৌয়ের আমার লেখা পড়ে স্বাভাবিক “স্মি” কে?
সংক্রান্ত প্রশ্ন অথচ সাইকোসিস ও অ্যালকোহলের কথা বলেছি বিবাহের তিনদিন আগে! আমি ঠকিয়েছিলাম,
শুধু মেয়েটা ঠকেনি! ওর কখনও অন্নাভাব হবে না মা সারদার লাডলি, তাই তার সঙ্গে ভাগ্য
জুড়ে আমাদের অন্ন বস্ত্রের ভার তবে সরস্বতী নেন!
#
#
#
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে যদি ৫০ এর দশকেই প্রকাশিত হত সেই দশকের মেজরদের
সম্পূর্ণ ভলিয়্যুম, তাহলে করোনা টিবি হেপাটাইটিস ও অ্যানিমিয়া সকলের সম্মিলিত ইনফেক্টিভ
শক্তিসম্পন্ন “জীবনানন্দীয় গদ্য”-এর উত্তর কাল ও পূর্বকাল – বাংলা সাহিত্যের এই দুটি
যুগ হতো। একটু ডিটেলিং-এ বললে তিনি যে কোনো ছোকরা কবি বা গদ্যকারের “আমি আবিষ্কার করেছি”
বিষয়ক কলার তোলা থামাতে পারেন অবলীলায়… চুপ থেকে, শিশিরের মতো শব্দে কারণ সবাই লিখতে
পারে শুধু “কেউ কেউই পাঠক” হতে পারে! লেখক যদি আপডেট হবার জন্য নিরন্তন শ্রম করে চলেন,
পাঠক আপনি কবে সময়োচিত ঋদ্ধতা লাভ করবেন? সে দায় লেখকের নয় নিশ্চয়ই!
এ বিষয়ে একটিই তথ্য আমি দেব। জীবনানন্দের উপন্যাসে “বনলতা”কে কিন্তু
আমরা পেয়েছি। কবি তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন ছোটবেলার বান্ধবী হিসাবে। সেইসূত্রেই
“এতদিন কোথায় ছিলেন”! আমার বিজ্ঞান কবিতার আন্তর্জাতিক মুখপত্র বিষ্ণুপুরের বন্ধু বাংলার
ডক্টরেট অধ্যাপক বন্ধু একে বেশ্যার চিরাচরিত সম্ভাষণের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছেন। আর একটু
গদ্যের পড়াশুনা প্রার্থিত ছিল। তাকে বারংবার বিজ্ঞান কবিতা বিষয়ে জানতে চেয়েছি। সে
এড়িয়ে গেছে। আমি আমার এমন কিছু লিখিত কবিতার উদাহরণ দিচ্ছি যা বিনয় অনুসৃত, বিষয় ও
ফর্মে প্রত্যক্ষ বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসুঃ
জীবনানন্দ বিষয়ক আরও একটি তথ্য। জীবনানন্দের হাস্যরত ছবিও পাওয়া যায়।
ন্যাশ্নাম লাইব্রেরিতে দীপক মজুমদারের ‘ছুটি’ ঘাঁটতে গিয়ে ১৯৮৪ সালের আশেপাশে আবিষ্কার
করেছিলাম সপরিবারে দিল্লি বেড়াতে গিয়ে লাজুক হাসছেন কবি।
#
#
#
স্বপ্ন ৩ঃ
চাঁদি ফেটে যাচ্ছে যৌনতায়। যৌনতৃষ্ণার হাকৃষ্ণ।
পাশ ফিরে শুতে গিয়ে হঠাৎ করে খাটের গর্তে পড়ে গেলাম। এমন এক দেশে এসে পড়লাম যেখানে
ঘাসের মতো ডিলডো আর পুসি টয় দেদার ছড়ানো। বহু পুরোনো আমলের ইংরেজ বাড়ি। শয়ে শয়ে বিরাট
বিরাট ঘরের উঁচু উঁচু ছাদের ভুলভুলাইয়া। চারপাশে অনেক নারী, তারা কেমন যেন পুতুলবৎ,
স্বাভাবিক নয় মোটেও। ঠিক জ্যান্ত নয়। কোনো কোনো ঘরে অনেক পুরুষ তারাও ম্যানিকুইনবৎ,
তবে অপেক্ষাকৃত বেশি জ্যান্ত মনে হয়। এ ঘর ও ঘর ঘুরছি। মাপছি যাতে একটি দিল্লগি যুতসই
মেয়ে পাওয়া যায় যৌনতা লাগি। কিন্তু আন্দাজ করতে পারছি এদের সব নারীই নারী নয়, কেউ কেউ
পুতুল কেউ কেউ পুরুষ, তারা নারী সেজেছে। গভীর পর্যবেক্ষণ করে করে এ ঘর ও ঘর ঘুরে ঘুরে
শেষত চরম রূপসী… যে রূপ নারী ব্যতীত সম্ভবই নয় এমন একটি লাজুক মেয়ের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে
লিঙ্গ ঢোকাতেই ঠকে গেছি! ছেলে! নারী অঙ্গগুলি ফোম প্লাস্টিক ইত্যাদি নির্মিত, যৌনাঙ্গের
সামনে একটি ছোট্ট পুসি টয় সংস্থাপিত। সেখানেই ধোঁকাতে গেছিলাম। বুঝলাম এখানে প্রায়
সকলেই “ছদ্মনারী”। এ এক যৌন বাণারাবতের গালাভবন! যৌনপিয়াস যেন ২০০০ গুণ বেড়ে গেল। শুনতে
পেলাম যান্ত্রিক নারী কণ্ঠে, ইউ লস্ট ২৪০০ পয়েন্টস! চরম কনশাসনেস নিয়ে অতি সতর্কতায়
ঘরের পর ঘর পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছিলাম যদি একটি প্রকৃত নারী আবিষ্কার করতে পারি! একটি
ঘরে দেখলাম সকলেই নারী! বুঝলাম বেশিরভাগই ভেকধরা পুরুষ এরা। উলঙ্গ লিঙ্গ মর্দন করতে
করতে মেয়েদের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। পয়েন্ট বাড়ছিল আর ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন লক্ষ্য করছিলাম
মেয়েগুলোর! আরও দু এক বার ভুল অ্যাটেমট নিলাম। পয়েন্ট আর লাইফের টাইম এত কমে গেল যে
অতি দ্রুত কোনো সফল সেক্স করতে না পারলে আমি মারা যাব। মরে যাবো আমি। এ কোয়েশ্চেন অফ
লাইফ ওর ডেথ। সেক্স করো ইয়া মরো।
এভাবে একটা ঘরে এসে দেখলাম একটি বিশাল টেবিল পাতা।
লাইব্রেরির। সেখানে প্রচুর রাজনৈতিক পতাকা লাগানো। সেখানে কিছু পুরুষ নারী ইতস্তত আলগোছে
পাঠরত। সেখানে একটি বয়স্ক দীর্ঘাঙ্গীকে শেষত প্রকৃত নারীরূপে পেলাম। পুরো যৌনতার সময়
সে টাইমস অফ ইণ্ডিয়া পড়ছিল! আমি সেক্স করলাম। ঘরটার ছাদে ট্রান্সপারেন্ট বৃত্তায়ব ফুটো
থেকে সবুজ ব্রিফকেসে আমার জন্য ২৪০০০ টাকা নেমে এল। মেয়েটি একবার মাত্র কাগজ থেকে মাথা
তুলে একটা বিলের মতো কাগজ লম্বা আঙ্গুল দিয়ে হেসে আমার দিকে কিস সহ উড়িয়ে দিল। একটা
সবুজ ব্রা বাড়িটার মাথায় হাওয়া মোরগের সঙ্গে আটকে ঘুরতে লাগলো। আমার স্বপ্নদোষ ভেঙ্গে
গেল।
পিকনিকে অদ্রিজাদিকে দেখে পাগল হয়েছি। চাহিদা সম্পূর্ণ শারীরিক। ওকে
বললাম, আই লাইক ওল্ডার ওম্যান। ক্যান উই হ্যাড এ ডিসেন্ট ডেট অ্যাট পার্কস্ট্রীট? এবং
তারপর রিড করার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজগুলো ডিলিটও করে দিলাম। এক্ষেত্রে একটি ক্ষত
তো রইল অবচেতনে। ইগনিট করলো সেই পুরাতন বেদব্যাসের মা ফ্যান্টাসি! বেবীর স্কিন খুব
ভালো ছিল! মা বলেছিল। স্পষ্ট ইঙ্গিত আমার অজ’এর মতো আচরণে কান পাতা দায় হয়ে যাচ্ছে
বলে। বেদব্যাসের মা মারা গেছেন। কমন ফেন্ড্র জানিয়েছে মাস তিনেক আগে। তবু এখনও তার
কথা ভেবে তবুও তার কথা ভেবে যখন তার কথা ভেবে এবং বাধ্য হয়ে আকৈশোর অভ্যাসে অসহায় ও
বাধ্য হয়ে তার কথা ভেবেই আজও ডবলবেডে একাকী খেঁচলাম। রিয়াল ছাড়িয়ে ব্যাপারটা ইমাজিনারি
লেভেলে চলে গেল। প্যারানয়েড সাইকোসিসের আরম্ভ বিন্দু। এবং আরো বহুবছর চলবে বিকাশিয়া
দন্ত! একেই বলে সিগনিফায়েডের মৃত্যু, এই হল লাস্ট স্টেজ অফ ফাইভ লেভেল অফ সিমুলেশন,
সিমুলেসশন ইস ইটস ওন পিওর পিসুলাক্রা। অন্ধ বিন্দু, কৃষ্ণগহ্বর, ম্যাডনেসের পাশ্চাত্য
অপেরা বলে নেক্রোফিলিকরা ১১ বার ধর্ষণ করেছিল স্ট্র্যাচার মেরিলিন মনরোর মৃতদেহ!
২০০৭ সাল থেকে শুধুমাত্র একজনেরই পর্ণ দেখি। বড্ড সব ছিটিয়াল। তখনই
তার বয়স হবে আনুমানিক ৪০। এখন কত হবে তাহলে? ৭ দুগুণে ১৪, ৩ সাতটা ২১, ৪ সাতটা ২৮,
তাহলে ২১-৩+৪০= ১৮+৪০ = = প্রায় ৬০! কে জানে ‘তিনিও’ মারা গেছেন কীনা! সুমি শরীরের
বার বরাবর বয়েসের থেকে এগিয়ে ছিল। আমার ফেভারিট পর্ন জনার “মাই ফ্রেন্ডস হট মম”। অন্তত
“ওল্ডার ওম্যান ফ্লেবার্ড” বলে স্মিকে বললাম স্বস্তিকা শ্রাবন্তী ৫০ হাজার নেয়, তোকে
১ লাখ দেবো! ও বলল, এত নীচে নেমে গেছিস! বললাম, তোর শরীরের একটা মাধ্যাকর্ষণ আছে! রেগে
গেল! অফার দিলাম “টপলেস ভিউ শুধু, নো হ্যান্ডস্”! ব্লক করে দিয়েছে। ভালোই হয়েছে।
#
#
#
অবশ্য বকসী বানানটা আধুনিক বানানবিধির সঙ্গে মিলে গেলেও কর্মসূত্রে
কেউ বাংলায় নাম লিখলে বক্সি বা বক্সী-ই লিখে থাকে, যেখানে আমার অর্ঘ্যের ইংরিজি বানান
অনুসারে মানে মূল্য বা দাম। বখাটে ১২ ক্লাসকে ইংরিজি স্যার খাতায় লিখে দিয়েছিল, নিজের
নামের ইংরিজি বানান ঠিক করে আনো! ঐশ্বর্য রাই সুলভ উগ্র সৌন্দর্য্যের মেয়েটিকে “লেট
গো” করে সেদিনই আমার উচ্চমাধ্যমিকের ইংরেজি টিউশনের শেষ দিন!
#
#
#
ইদানীং আবার মদ খাচ্ছি, ওষুধও খাচ্ছি। চিনিও খাচ্ছি, সুগারের ওষুধও
খাচ্ছি টাইপ। আমার মেডিকেশন মদে অ্যাডভার্স এফেক্ট দেয়। ফ্যাটি লিভার, সিওপিডি, কোলেস্টেরল,
ট্রাইগ্লিসারাইড, ভিটামিন ডি ডেফিসিয়েন্সি, ব্রেনে সিস্ট, ফ্যাটিগ, ল্যাথার্জি, ওভার
থিংকিং, সিজো অ্যাফেক্টেড—অবসেশন সাবটাইপ এবং ঠিক এইভাবে সুবিমল মিশ্র ও গৌরক্ষ্যাপা
তাদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে ঘণ্টা ঘণ্টা আলোচনা করতে ভালোবাসতেন।
#
#
#
Existence
Consciousness
Bliss
অস্তি
ভাতি প্রিয়ম
সৎ
চিৎ আনন্দ
I you and It pure Alertness Pure Human Nature
exists
আমি ‘অর্ঘ্য দত্ত বকসী’ বাদ দিয়েও আমার একটি অস্তিত্ব ও আমার একটি
অ্যালার্টনেস অনুভব করি। সকলেই করে। আমি ব্যতিরেকে আমার একটি অস্তিত্ব ও চেতন। ইহাই
ঈশ্বরত্ব প্রমাণ করে। “I don’t believe in God, I know God. I know what God means
I mean!”—Carl Jung.
আমার চৈতন্য দিয়ে আমার অস্তিত্ব ও জগতের অস্তিত্ব বুঝি। জগত অস্তি।
শুধু ঘট নয়, ঘট অস্তি। ঘট আমার কাছে একটি এক্সিটেন্স। কিন্তু ঘট নিজে কনশাসনেস নয়।
এবং অন্নময়, প্রাণময়, মনোময়, বিজ্ঞানময় ও আনন্দময় রূপ কোশের (শারীরিক স্তর) অভ্যন্তরে
এই চৈতন্য আনন্দ সৃষ্টি করে। চৈতন্যের আলো পায় বুদ্ধি ও অহং, তার থেকে আলোকিত হয় মন,
এবং তা থেকে দেহ। মন, বুদ্ধি, স্মৃতি-সংস্কার ও অহং-এর আসল শক্তি চৈতন্যের। এ বিষয়ে
আমারও একটি থিওরি আছে।
Brahman is Brahmaning Brahman!
কর্তা ক্রিয়া কর্ম
সাবজেক্ট অ্যাকশান অবজেক্ট
তিনজনেই ব্রহ্ম।
আমার চেতনা, তোমার অস্তিত্ব ও সম্পর্ক মধুরতাবোধ। শান্তি। যা রেসপন্ড
করে পাওয়া যায়, রিঅ্যাক্ট করে নয়।
“অহম ভোজনং নৈব ভোজ্যং ন ভোক্তা!”—শঙ্কর।
I am not experienced, not experiencer, nor I am the process of
experiencing either!
আমি মুক্ত কখন? যখন আমি বুঝি আসলে সব টাকা উদ্দেশ্যে টাকা স্বার্থে
টাকা বিষয়ক বাজার সভ্যতা এবং আমি তার দাস নই! যা কিছু ফ্রি, সেখানে ‘তুমি’ প্রোডাক্ট!
বাজার থেকে মুক্তই মুক্ত! আর ছ্যাবলামিতে মুক্তি। এমনিতে তো ভেবে কাজ, কেজে ভাবা! তবে
উপন্যাস লেখা যায় দুরকম মানুষকে নিয়ে। এক, শুধু কাজ করে, আগে বা পরে কখনো কিছুই ভাবে
না। দুই, শুধু ভাবে, তার কাজ বলতে জপকর্ম, ধ্যানকর্ম, পূজাকর্ম। এই দ্বিতীয় শ্রেণির
মানুষকে জ্ঞানযোগী বলে। সন্ধ্যা গায়ত্রীতে লীন হয়, গায়ত্রী ওঁ-এ লীন হয়, ওঁ ব্রহ্মে
লীন হয়। মানবের চেতনার তিনটি দশা। জাগরণ, স্বপ্ন, সুষুপ্তি। ডিপ স্লিপে সদ্য মা হওয়া
নারীও ভুলে যায় তার সন্তানের কথা। সুষুপ্তিতে রাস্তার পাগল আর বোম্বানি এক। তার পারে,
জাগ্রতে সুষুপ্তির পারে যাওয়া সমাধি। তখন জগত আর নাম ও রূপে বহুধা থাকে না। একীকরণ,
একীভবন, সামান্যীকরণ হয়ে যায়। “ইগো” যে আমি… এই বোধ লুপ্ত হয়! এবং সেই সাক্ষীগোপালের
অপরোক্ষ (প্রত্যক্ষ নয়, যিনি দ্রষ্টা তিনি কখনও দৃশ্য হতে পারেন না) অনুভূতি হয়। রাতে
সূর্যের আলো পড়ে চাঁদে। জ্যোৎস্নায় হৃদয় স্নিগ্ধ হয় সে তো সূর্যেরই আলো। রাতে স্বপ্রভ
সূর্যই একমাত্র যাকে দেখা যায় না, দেখা না গেলে রাত থাকে, অনুমান উপমানে অনুভব করতে
হয়।
অবশ্যই বোহেমিয়ান থাকবো আজীবন, মাস্টারবেট ও মাল খাবো, খিস্তি করব,
পিছনে লেগে পারভার্টেড প্লিজার নেবো, শুধু এই বোধে চলব যে সকলই তোমার ইচ্ছা। ১৫ মাসেই
দেখছি মেয়েটা স্যাডিস্ট আচরণ করছে। বয়স আমার ৪১। ২ বার মৃত্যুর খুব কাছে গেছি। মরিনি,
মরতে দেওয়া হয়নি। আর এখন তো মাথায় নেশা অমৃতস্য পুত্রা! হয়তো চরৈবেতি কপাল লেখা খণ্ডাবে
কে? বাইক, গাড়ি, পিয়ানো, বউ, বাচ্চা, সরকারি চাকরি, ড্রিম কোর্স… হয়েছে সাধ তার পূর্ণ।
এখন জপ, জপের মালা, ধ্যান ও বিপাসনা, পুণ্য পাপ দুইই তোমাকে অর্পণ করাকে বলে বীরাচার।
ঈশ্বরের ইচ্ছা ছাড়া ঈশ্বর নেই। একটা পানু, একটা বিড়ি, একটা হাই ও পাদ, সবেধন শরণাগতি!
আমার শয়নকক্ষে মাথার উপর কৈশোরের সারদা ও অন্নপ্রাশনের কেকপাখির ছবি পাশাপাশি! উভয়কেই
সন্তান ভাবি, তুই বলে ডাকি! লক্ষ জপ মা’র কাছে কায়মনোবাক্যে একটু প্রার্থনার সমান।
আমার খিদে পেয়েছে। এটি অনুভূত হলে খিদে দৃশ্য আমি দ্রষ্টা। দুজনে এক
নয়। তাহলে দেহের ব্যথা ও যৌন উত্তেজনা থেকে “আমি দ্য Seer”কে আলাদাই ভাবতে হবে। এর
নাম অবলোকন—বিপাসনা – অনুরাগ বা দ্বেষ ব্যতিরেকে সাক্ষী হয়ে থাকা। রিঅ্যাকশান থামিয়ে।
এই শূন্যতা এবং জগন্নাথের চোখ একাকার। গভীর ঘুম হল, ব্রেন পুরো রেস্টে চলে গেল। ঘুম
থেকে উঠে বললাম, খুব ভালো ঘুম হলো! কে অভিজ্ঞতা করল এটা? সুষুপ্তির পারের সাক্ষীচৈতন্য।
তারই নাম জগন্নাথ। যার পলক নাহি নয়নে, হেরি না কিছু ভুবনে, নিরখি শুধু অন্তরে সুন্দর
বিরাজে!
#
আমার
শত্রু ও মিত্রে তোমার পদ্মনেত্র সমানভাবে আশীর্বাদ বর্ষণ করছে। আমি যেন তোমার কৃপাদৃষ্টি থেকে কখনো বঞ্চিত না
হই। সাম্বা শিবা মম গতি সফলেফলে বা। আমি জীবনে সফল হই বা ব্যর্থ হই, তুমিই আমার গতি।
- অম্বা স্তোত্র, বিবেকানন্দ। গতিস্ত্বং গতিস্ত্বং ত্বমেকা ভবানী – অভিজ্ঞ
শংকর।
শাস্ত্রানুসারে চোখের ৩ রকম পাওয়ার হয়।
ফার সাইটেডনেস, নিয়ার সাইটেডনেস আর গীতোক্ত সেমসাইটেডনেস। গীতায়
না এটা না ওটা, না বেশি না কম, না প্রিয় না ঘৃণ্য, না সুখ না দুঃখ, না পাপ না পূণ্য;
এমনকি মধ্যপন্থাও নয় – এ হল সমপন্থা – সমদৃষ্টি – কখন হয় এই প্র্যাকটিক্যাল বোধ?
তুমি বুঝে গেছ তো যে, তুমি সাক্ষী – চৈতন্য? শঙ্কর বলছেন, এবার দেখো
এই চৈতন্যে জগত প্রতিফলিত হচ্ছে। প্রাকৃতিকের নাম আর রূপ…গুণ-জাতি-সংখ্যা বাদ দাও,
তাহলে অখণ্ড চৈতন্যই সর্বত্র বিরাজমান বোধ হবে। আমার (লেখকের) মধ্যেই কি পাঠক নেই এই
মুহূর্তে? পাঠকের চৈতন্য, লেখকের চৈতন্য, প্রেস মালিকের চৈতন্য, প্রকাশকের চৈতন্য বা
তাদের ও আমার সবার সত্য অথবা সবার অস্তিত্ব আলাদা কিছু নয়।
বল্কলে আঙুল রেখে আমি বলি 'এ কি বলো' এবং
উত্তর পাই গাছ।
পাতায় আঙুল রেখে আমি বলি 'এ কি
বলো' তখন উত্তর পাই গাছ।
শিকড়ে আঙুল রেখে আমি বলি 'এ কি
বলো' তবুও উত্তর পাই গাছ।
কুসুমে আঙুল রেখে আমি বলি 'এ কি
বলো' এবারো উত্তর পাই গাছ।
এইভাবে অমর হয়ে যাই। যতদিন তুমি সচেতন, আমি তোমার মধ্যে বাঁচি। এই
হল হাতে কলমে বেদান্ত প্রয়োগ বা গীতা। গীতার মর্ম, ঈশ্বর বলছেন, আমি বুঝি, শুক বোঝে
আর ব্যাস বুঝলেও বুঝতে পারে! গীতা পড়ার নিয়ম হলো, গীতা বলছেন সাক্ষাৎ পরব্রহ্ম, এই
অনুভূতি নিয়ে পড়া। গীতা মে হৃদয়ং পার্থ। যেমন কীনা কথামৃত। বাংলায় লেখ্যকথ্য
ভাষার শ্রেষ্ঠতম নিদর্শন। আজ ৮ই মে, ১৮ইবৈশাখ, শুক্লা দ্বিতীয়া, রবিবার, অপরাহ্ন,
ঠাকুর আহারাদি করিয়া পশ্চিমাস্য হইয়া উত্তরের বারান্দায় বিশ্রাম নিতেছেন। ভবনাথ, নরেন,
রাখাল, লাটু, নিরঞ্জনাদি ও মাষ্টারের সঙ্গে গীতা প্রসঙ্গ করিতে করিতে সমাধিস্থ হইয়াছেন!
এভাবে বললে, সেই সময় অবস্থা প্রসঙ্গের এক স্বচ্ছ কল্পনা করা যায়। সহজভাবে।
নিয়ম, কথামৃত পাঠের সময় সেই মানসচিত্র নির্মাণ করে স্বয়ং অবতার সে কথা বলছেন তার সাক্ষী
হওয়ার ধ্যান করতে হয়। কথামৃত পাঠের এইই নিয়ম। গীতা পাঠেরও তাই।
তবে কথামৃতের সবথেকে বড় রহস্য অন্য জায়গায়। কথামৃত বইটির আর্বিটারি
যে কোনো পাতা খুলে পড়তে শুরু করুন দেখবেন সেই মুহূর্তে আপনার মনে যে প্রশ্ন যে সংশয়
আছে তারই উত্তর দিচ্ছেন ঠাকুর! প্রথম পর্যায়ের বেদান্ত মননের নেশা তবে কাটলো আমার যখন
হঠাৎ কথামৃত খুলে পড়লাম, আগে চিত্তশুদ্ধি তারপর ব্রহ্ম উপলব্ধির যোগ্যতা অর্জন। তার
ডাকাত পড়া তামসিক ভক্তি শান্ত সুন্দর হয়ে উঠল। ঠাকুর জনৈক সাধককে নিজে উঠে দাঁড়িয়ে
বিদায় সম্ভাষণ দিতে দিতে শেষে এভাবে পেরেক ঠুকে দিলেন! ব্যাস, আমার নেশা কেটে গেল।
ইহাই কথামৃতর রহস্য! যে কোনো পাতা, তোমার প্রশ্নের উত্তর।
তব কথামৃতম্
তপ্তজীবনম্ কবিভিরীড়িতং কল্মষাপহম্।
শ্রবণ
মঙ্গলম্ শ্রীমদাততম্ ভুবি গৃণন্তি যে ভূরিদা জনা:।।
গোপীগীতা,
ভাগবৎ।
এটাই সূচনা মন্ত্র কথামৃতের। আমার ভাষায় অনুবাদে :
তোমার কথারূপ অমৃতই জীবনের তত্ত্ব, সংসার তাপে
জর্জরিত মানুষের জন্য, জ্ঞানীদের দ্বারা প্রশংসিত, ক্লেশ কষ্টাদির শেষকারী, যা শুধু
শুনলেই মঙ্গল, নিজের স্বরূপ উদ্ঘাটনকারী, তোমাকে ভূমিষ্ঠ হয়ে বারবার প্রণাম করি, যেমন
যিনি বহু বহু দান করেন তাকে করা হয়!
I
hate power politics
আমার ক্ষমতা চাই না, টাকা চাই না, মেয়ে ও যৌনতা চাই না। যে জীবন দোয়েলের
শালিখের সেই শান্ত নিস্তরঙ্গ শয়নভঙ্গিমার মতো হাই তোলার মতো সহজ জীবন চাই। মানুষ নিকটে
এনে প্রকৃত সারসকে উড়ে যেতে দেবো না আমি। তাতে উন্মাদ ভাবে, “ভাবুক-মানুষ”!
আন্তর শব্দবিদ্ধ্যোয়ম সবিকল্পক সমাধি মন্ত্র:
অসঙ্গ
– I am completely detached
সচ্চিদানন্দ
– I am existence, consciousness, bliss
স্বপ্রভো
– I am self-luminous
দ্বৈতবর্জিতম
– I am non-dual।
জীবনের লক্ষ্য ঈশ্বরলাভ।
“যখন দুঃখ পাবে, আঘাত পাবে, বিফলতা আসবে, তখন নিশ্চিত
জেনো আমি তোমার সঙ্গে রয়েছি। ভয় পেয়ো না। হতাশ হয়ো না বাবা। আমি থাকতে তোমাদের ভয় কী?
আমি তোমাদের মা – সত্যিকারের মা। জেনো, বিধাতারও সাধ্য নেই যে, আমার সন্তানদের কোনো
ক্ষতি করেন। আমার উপর ভার দিয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে থাক…। আমি তোমাদের ইহকালের মা, তোমাদের
পরকালের মা। আমি তোমাদের জন্মজন্মান্তরের মা। আমি মা থাকতে তোমাদের ভয় কী?”
- শ্রী
শ্রী মা সারদামণি,
এমনকী শ্রী শ্রী চণ্ডীও এমন আশ্বাস দিতে পেরেছেন? তাকে আমি বাৎসল্যভাবে
ভাবি।
- তবে বীরাচারে সাধনা একেই বলে?
- ‘তন্ত্রাভিলাষীর সাধুসঙ্গ’-এ পড়েছি মা কালী বা দুর্গাকে পত্নীরূপে
কল্পনা করাকে বীরাচার বলে!
- ওগুলো তারানাথ তান্ত্রিক জাতীয় ছেঁদো কথা। যদিও ধর্ম কাম প্রদে দেবী
নারায়ণী নমস্তুতে: - একমাত্র ভারতবর্ষই বলতে পারে। তবুও কালী দুর্গাকে পত্নী প্রেমিকা
ভাবার আধার নেই, কার্যত নেই, পাগল হয়ে যেতে হয়! “মা, এই নে তোর পাপ এই নে তোর পুণ্য,
আমাকে শুদ্ধাভক্তি দে”! এই হল বীরাচার। যা মায়ের সাধন করে পেয়েছি, তাই আবার মাকেই
ফিরিয়ে দেব। না হলে প্রকৃতির আদি কালের দেবী কালীর স্বামী কিনা অবিকারী নির্গুণ শিব।
এমনকি তাদের মেয়েরূপেও কল্পনা করা যায় না। অথচ ভাবো, মেয়েরা কেমন স্বভাবসিদ্ধা, বিপরীত
লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণকে কী স্বাভাবিক ঐশ্বরিক মাধুর্যে ভরে দিতে পারে! তারা কৃষ্ণকে
প্রেমিক, শিবকে বর, গোপালকে পুত্র আর রামকৃষ্ণকে সহজেই পিতা বানাতে পারে। তার যৌনতা
পুরুষের মতো নিয়ন্ত্রণশক্তিহীন প্রকৃতির চাহিদা হয়ে ওঠে না। হয়তো পুরুষকে কাজ আর নারীকে
তপস্যা অধ্যয়ন করার জন্যই ঈশ্বর বানিয়েছিলেন। কিন্তু হায় পুরুষতন্ত্র, তোমরা কিনা নারীকেই
বেদপাঠ থেকে বিরত করলে।
শুক: তার ঐতিহাসিক কারণ রয়েছে। যুদ্ধে নারীর অধিকার হাতবদল হয়। তখন
সেই বেদবিদ্যা যদি বিধর্মী শত্রুর জ্ঞানে পরিণত হয় তা আর্যাবর্তের কাম্য ছিল না।
সারি: নারী কি এতই দুর্বল! দুর্বাদল কী? বাঙালী অকর্মণ্য ভাবুক বিলাসী
কাণ্ডজ্ঞানহীন বাবুদের দল। ওরা পায়রার বিয়েতে বাজি ফাটিয়েছে আর নীরবে রানী রাসমণি বানালেন
দক্ষিণেশ্বর! বাঙালি পুরুষ তো হরিহরের মতো নতুন যাত্রাপালা লিখে সাফল্যের স্বপ্নে আফিম!
সর্বজয়ারাই অপু দুর্গাকে সামলায়! অপদার্থ হরিহর তিনমাস পর কন্যার মৃত্যু সংবাদ শোনে!
এই তো বাঙালি পৌরুষ। কবি, ল্যাজবিশিষ্ট, ইমোশনাল ফুল রাজনৈতিক, আমাশা ও অ্যাসিডিটি।
বাঙালি মেয়েরা তাই একটু বেশি ম্যাচিয়োর হয়েই জন্মায়। বাংলার নারী ভারতের নারীদের থেকে
আজও এগিয়ে ভাবে!
#
#
#
#
হোয়াটস্ অ্যাপ স্ট্যাটাস : ২২শে জুন, ২০২৩। রাত
২.১৮ AM। অবস্থা: মাতাল।
আজকাল কোনো কোর্সে ভর্তি হলে ডিগ্রী পাওয়া অবধি
ক্যালকুলেটিভ পড়াশোনা করি। ডিগ্রী পাওয়ার পর শুরু হয় আজীবনের শেখার খেলা। আজকাল ডিগ্রী
নিতে ভয় পাই। পাছে দায়িত্ব বেড়ে যায় লেখার প্রতি।
এভাবে আমি MA সাইকোলজি ফাইনাল ইয়ার ড্রপআউট। এভাবে আমি সসম্মানে
PG Diploma in comparative mythology from Mumbai university পাশ করেও সার্টিফিকেটটা
নিয়ে আসার দরকার মনে করলাম না। যেমন Indian science and News Association (ISNA) থেকে
রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে PG Diploma in Science communication করেও শেষপর্যন্ত রেজাল্টও
আনিনি। রবীন্দ্রভারতীতে MA Journalism এর প্রবেশিকা পাশ করেও কোর্সে ভর্তিই হইনি। আমি
Sun Ceritified Java programmer (SCJP), Sun certified Web component Developer
(SCWCD) আর Business Component Developer (SCBCD) নামক তিনটি গ্লোবাল সার্টিফিকেটধারী।
ছোটবেলায় আমার অভ্যাস ছিল বিবিধ আইটি কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিয়ে ক্র্যাক করে কল লেটার
সংগ্রহ করা! তাদের একটিতেও জয়েন করিনি! ছোটবেলার লোভ, ডার্বি দেখা আর গদ্য প্রবন্ধ
বই লেখা ও পড়াটাকে বড্ড বেশি প্রাধান্য দিয়ে ফেলেছিলাম। My creativity is my
deadliest enemy। আমার কমনসেন্সগুলোয় অ্যাসিড বাল্ব মারতো। তবে রক্ষে আমি সারাটা
জীবন দুধেভাতে উৎপাত হয়ে কাটিয়ে দিতে চেয়েছি। দোলের অন্তহীন প্রত্যুষে আজও আমি রং মেখেছি
বাঁদর হইনি!
#
হোয়াটস্ অ্যাপ স্ট্যাটাস : ১২ই জুলাই, ২০২৩। রাত
১.১২ AM। অবস্থা: মাতাল।
মনোবিদ্যার প্রাথমিক পর্যায়ের টাইপ থিয়োরিগুলো যা মূলত কতকগুলি চারিত্রিক
বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে মানুষকে ক্যাটাগোরাইড করেছিল। অথচ তাদের ১৪ পুরুষের দাদুর আমলে
ভারতবর্ষের গীতা trait theory এনে সত্ত্ব তম রজ:, এই তিন ট্রেটের কথা বলেছিল যা একটি
মানবের মধ্যে একইসঙ্গে ক্রিয়াশীল। এদের সংমিশ্রণে যখন যে গুণের আধিক্য বেশি হয় মানুষ
সেমত আচরণ করে। লেখা হয় রজোগুণে, পড়া বোঝা হয় সত্ত্বগুণে, ভুলে যায় তমোতে। মানুষের
মধ্যে এই তিনগুণের আনুপাতিক বেশি কমের ভিত্তিতে সেই মুহূর্তে মানুষের মন ‘অপরের’ থেকে
আলাদা আলাদা। এবং বড় কথা সেমত আচরণ ক্রিয়া। ইহাই আদিমতম বিজ্ঞানসম্মত থিওরি অফ পার্সোনালিটি।
বৈজ্ঞানিক, তাই আজও প্রাসঙ্গিক। বস্তুত বেদ বেদান্ত গীতার সঙ্গে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের
বিরোধ নেই কোনো। পাউলি, হাইজেনবার্গ, শ্রয়েডিংগার, নিলস বোর, সকলেই উপনিষদে আশ্রয় খুঁজেছেন।
১৯৪০এর দশকে এমত ওভারল্যাপিং trait থিওরি ওয়েষ্ট ব্যবহার করা শুরু
করে। আসে ডিকসনারির যাবতীয় শব্দকে পাঁচটি ট্রেটে ধরা Big Five factorথিওরি। ইয়ুং অবধি
এসে টাইপ থিওরি বর্জিত হয়। নব্য ইয়ুঙিয়ানদের জিন ম্যাপিং ও ক্লাসিক্যাল ইয়ুঙের আর্কিটাইপ
ও কালেক্টিভে অবগত আছি। তবুও, তারপরও ওয়েষ্ট যা আজও বোঝেনি তা হল আদতে এই তিনগুণ বা
জিন বা সংস্কার ও চিত্ত বা কালেকটিভ ও আর্কিটাইপ নিজের মতো স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্রিয়া করে
যায়। দ্রষ্টা কিন্তু এ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে শুধুই অবজার্ভ করে যায়। সে নিজে কোনো কর্ম
করে না। এই ক্রিয়াকে তুমি বলো “তুমি”! বলছেন বুদ্ধ। ইয়ুঙের সেল্ফ ধারণাও তাই বালখিল্য।
#
Facebook স্ট্যাটাস : ২১শে জুলাই, ৩:৫১ AM, অবস্থা:
মাতাল।
যা ভারত তিনে ধরেছিল গ্রীস তা আটের কমে সামান্যীকরণ
করতে পারল না! গ্রিক রোমান দেবদেবীদের চোখ খোলা ও আকাশের দিকে নিবদ্ধ। ওরা মনে করে
স্বর্গে প্রতিটি বস্তুর একটি সূক্ষ্ম প্রতিরূপ আছে। যেমন কীনা লন্ডনের অমুক মিউজিয়ামে
তমুক ধাতুর এত সেন্টিগ্রাম গোলককে এক কিলোগ্রাম ধরা হয়! ওরা মনে করে, ঊর্ধ্বে স্বর্গে
জ্ঞানের পূর্ণতা আছে। দেবদেবীদের সকলের মূর্তিই যৌন উদ্রেককারী। অথচ আমাদের দেবদেবীদের
চোখ হয় অর্ধনিমীলিত নয় বন্ধ। হস্তমুদ্রা ধ্যানের। কালী দুর্গা মনসা ছিন্নমস্তা ধূমাবতী
তাঁরা বা সতীপীঠের দেবীগণকে দেখে কদাচ কেউ যৌন উত্তেজিত হতে পারে না। সন্তানভাব আপনা
থেকেই আসে। ওরা, ওয়েস্ট, তাই ভয়ে ভয়ে চার্চের দেওয়ালে আধ্যাত্মিক ফ্রেস্কো বানায় আর
ভারত অবলীলায় মন্দিরগাত্রে সেক্সুয়াল অসংখ্য পোজ খোদাই করে চলে।
#
Facebook status: ২৩.০৮.২৩, 4:54 PM, অবস্থা :
ক্লান্ত।
“দোলের এক অন্তহীন প্রত্যুষে এক বাব্বা টোটেম এসে” গোল্ড ফ্লেকের কাউন্টার
চাইল! আমার প্রথম গদ্য ‘আত্মনিষ্ঠ শৈব হতে চাই”, বয়স ১৭। তখনই টোটেম আমার চেতনায় এসে
গেছে। আমি অবাক হয়ে ভাবি, যে মিথলজির তত্ত্ব বলে মানুষের মেধা বরাবরই এক, তাদের পক্ষে
সমর্থন দিয়ে ভাবি, প্রকৃতপক্ষে আমি এক নাগরিক অ্যাবরিজিনাল। নাগরিক সর্বভুক।
রা্তুল প্রথম জানতে চায়, টোটেম মানে কী?
টোটেম কোনো জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস অনুযায়ী, তাদের সৃষ্টিকর্তা,
তাদের দেবতা, রক্ষক বা শিকার রূপে আরাধ্য কোনো পশু পাখি বা বৃক্ষ। যেমন রামায়ণে বানর
টোটেম কিস্কিন্ধ্যায় আর পক্ষী টোটেম জটায়ু সম্পাতি গড়ুড়দের। বর্তমান গোত্রের আদিরূপ
এই টোটেম প্রথা। যে যতই আর সত্যদ্রষ্টা ঋষিদের সঙ্গে তাকে জড়িয়ে নিয়ে বৈদিক ও আধুনিক
করে নিই না কেন! আলম্বান মানে আলম্ব উদ্ভিদ (লতা), ভরদ্বাজ ভরত পাখি, কাশ্যপ কচ্ছপ,
অত্রি অগ্নি কাষ্ঠ ইত্যাদি।
#
Facebook Status: ২১.০৯.২০২৩, 01:50 AM, অবস্থা
: মাতাল।
রূপকথায় সাধারণত রাজপুত্র অন্যদেশে
গিয়ে অন্য রাজার রাজকন্যাকে শাপ বা বিপদমুক্ত করে সেই রাজকন্যা ও অর্ধেক রাজত্ব পায়।
রূপকথায় সে কিন্তু কখনও নিজের রাজ্যে ফিরে যায় না। তাহলে আদিম রূপকথাগুলি কি মাতৃতান্ত্রিক!
যেখানে রাজপুত্রের নিজের দেশে হয়তো তার বোনকে যে বিবাহ করে সে তার রাজ্যের রাজা হয়!
এপ্রসঙ্গে বলার যে, রূপকথা শব্দটি ঠিক
আছে, লোককথা, উপকথা বাংলায় আছে। কিন্তু ফেয়ারি টেলস বা পরীকথা বাংলায় নেই। বাংলার কোনো
পরী নেই।
রাজপুত্র ব্যতিক্রম রাম। তবে তা মহাকাব্য।
সেখানে মেসেজ দেওয়ার আছে। তাই মহাকাব্যের সংখ্যা ৪। রূপকথার সংখ্যা ৩। এই দুই সংখ্যা
দ্বারা বিভাজ্য তাই অত্যন্ত পবিত্র। ১০৮ জপ, পদ্ম পবিত্রতম সংখ্যা যা ২, ৩, ৪ তিন দ্বারাই
বিভাজ্য।
মহাকাব্য পুরুষ শাসিত। কিন্তু ভেবে
দেখো রূপকথা, প্রাচীন রূপকথাগুলির সাইকো অ্যানালিসিসে মাতৃতন্ত্র প্রবলভাবে বিদ্যমান
। শুভরাত্রি।
Whatsapp Status: ২৫.০৮.২৩, প্রসঙ্গ: চন্দ্রযান।
আজকে আনন্দবাজারের হেডলাইন হল:
ভারতচন্দ্র।
পড়েই ছিটকে গেলাম। এক মধ্যযুগীয় ধর্মবায়াষ্ট
কবির নামে এমন বৈজ্ঞানিক সাফল্য! পাশে ছোট্ট করে মণিপুর। আমি আনন্দবাজারের প্রথম পাতার
মস্তিস্কের দাস হয়ে গেলাম।
নিন্দা করতে হলে এমত গুছিয়ে করো। ব্লক
করে দিয়ে নয়! তাকেও আত্মপক্ষ বলার সুযোগ দিয়ে, এ সম্পর্ক কেন ভাঙলো তার ক্রিষ্টাল ক্লিয়ার
অ্যানালিসিস করে এগিয়ে চলো। নিজেকে উন্নত করতে থাকো।
Whatsapp Status : ২৫.০৮.২০২৪। প্রসঙ্গ: অভয়া।
জুনিয়র vs পিসি সরকার।
কিন্তু আজও কেউ ভিক্টোরিয়ায় বসে প্রেম
করেছে। সেন্ট্রাল পার্কে পরকীয়া। আজও মিশনের আশ্রমগুলিতে হয়েছে খন্ডন ভব! আজও কেউ মালায়
জপ করেছে ৫০০০ বার। কেউ আজও ব্রহ্মচিন্তা করে ধ্যানে বসেছে। জন ডেনভার শুনেছে আজও কেউ।
মোজা জাঙিয়া প্যান্টি আজও ধর্মতলার ফুটপাতে বিক্রি হয়েছে। বেশ্যাপল্লীতে গিয়ে মদ মেয়ে
নিয়ে ফুর্তি হয়েছে আজও।
কিচ্ছু বদলায়নি, কিচ্ছু বদলায় না, সবই
সাইকোফাইনান্সের খেলা! মানুষ বোকা বনে গেছে আদতে।
#
Whatsapp Status: ০৮.০২.২০২৩।
‘একলব্য’
রচেছি মূর্তিপূজার ইতিহাস
ব্যাধ শ্রেণি বা প্যারা মিলিটারি যারা
অযোধ্যা বা হস্তিনাপুরের চারপাশে অনুন্নত স্থানগুলিতে আলগাভাবে ছড়ানো ছেটানো থাকতো
রাজধানীর বৃহত্তর রক্ষক হিসাবে। সেই সূত্রেই আমরা ব্যাধ গীতা পাই। তারা ক্ষত্রিয় মাতা
ও শূদ্র পিতার সন্তান। ঠিক যেমন সূতেরা ব্রাহ্মণ মাতা ও ক্ষত্রিয় পিতার সন্তান। প্রতিলোম
বিবাহ নিন্দনীয়। অপরপক্ষে অনুলোম বিবাহ অতি প্রশংসনীয়। আমি মুসলিম ছেলেদের হিন্দু মেয়ের
প্রতি সীমাহীন আসক্তি দেখেছি।
একলব্যেরর আগে মনুষ্যের মূর্তি বানিয়ে
পূজার কোনো নিদর্শন কি পাওয়া যায় কি বৈদিক সাহিত্যে? এমনকি মূর্তিপূজার প্রচলনের প্রারম্ভের
ইঙ্গিত দিইয়ে যায় একলব্য, সঙ্গে ভক্তিযোগের যা আসছে, ষোলও কলা অবতারের সঙ্গে সঙ্গে।
তাই কি পরবর্তীকালীন ব্যাধ গীতা এত মহৎ করে তুলল ব্যাধ জাতিটিকে? কর্মে ভক্তিতে কর্তব্যে?
#
Facebook Status: ০৩.০৮.২০২৪।
পুজো সংখ্যা। লেখা দিন, ৪ ফর্মা কবিতার
বই, সুলভে বই করে দিই প্রকাশক, আপনার বই প্রোমোট করুন প্যাকেজের পরিস্থিতি নেই আর পশ্চিমবাংলার।
এখানে এমারজেন্সি চলছে। মাথাপিছু নবজাতকের উপর ঋণ ১ লক্ষ বা তারও বেশি। খুব দ্রুত শ্রীলঙ্কা
পাকিস্তান বাংলাদেশ হতে চলেছে রাজ্যটা। ব্যাপারটা হয়ে দাঁড়িয়েছে আক্ষরিক অর্থে ইতিহাসের
মাৎস্যান্যায়। কে কখন বড় মাছ হচ্ছে, কে কাকে গিলে খাবে, কে বড়শি কে জালের মাল তা গুলিয়ে
গেছে। কে কত বেশি কেঁউ কেঁউ করে চটি চেটে এখন সে কত বড় ঘেউ দেখাতে গিয়ে যার দই যেই
খাক পার্টি ফান্ড অবধি সে টাকা পৌঁছোচ্ছে না। শুধু ফেস লস হয়ে চলেছে সর্বত্র প্রচারিত
মুখটির। তিনি যে পদ্ধতিতে ক্ষমতায় এসেছেন বিরোধিতার সেই সব পদ্ধতিতে নিষেধাজ্ঞা জারি
করেছেন যাতে আরেক বিরোধী কখনও না জন্মায়। যে পরিবর্তন হয়েছে তা চাওয়া হয়নি। যে বিকল্প
হিসাবে উঠে আসছে সে আরো ভয়ঙ্কর বাংলা বিরোধী, যে আসলে ভালো হত তার আসন শূন্য। আমরা
বুদ্ধবাবুর প্রয়াণের পর প্রথম তার জন্মদিবসে তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার অধিকার পর্যন্ত
হারিয়েছি। ভেরি লেফট রিবারালরা সুইগ্যিতে মদ ডেলিভারি করতে ব্যস্ত। স্কুলে কম্পোজিট
গ্রান্ট বন্ধ হয়ে গেছে। চক ডাস্টার ইলেকট্রিকের বিল দেওয়ার ক্ষমতা নেই স্কুল কর্তৃপক্ষের।
এমত অবস্থায় ফ্যাটিস্ট শক্তিরই দরকার
আছে। বিশেষ করে এই শৃঙ্খলাহীন ধর্ষণপোষক রাজ্যে। মাথা হোন আরেক বিবেকানন্দ বা সুভাষ।
ধর্মীয় ভাষায় বললে ব্রহ্মজ্ঞানী!
শক্তির উৎস তো এখন স্মার্টফোন। আমরা
বেডরুম বিপ্লবী। এমত সময়ে বিপ্লব আসতে এত দেরি হচ্ছে কেন? কবে আসবে বিপ্লব? অতি বাম
পন্থাই কি যথাযথ নয় এই সময়ে? আমরা উগ্রদল যুবকবৃন্দ, আমরা পুনরায় মিসগাইড হবো না। অন্তত
কেউ তো কিছু হয়ে মঞ্চে দাঁড়াও হে।
Facebook Status : ২৬.০৮.২০২৪।
ঠাকুর বলছেন, ফ্রি উইল বলে কিছুই হয়
না।
মানুষ নিজের হার্ট বিট বা সেল ডিভিশন
নিয়ন্ত্রণ করতে পারে কী?
স্বামীজী বলছেন, সম্ভব, রাজযোগের মাধ্যমে
সম্ভব। প্রাণায়ামের সঙ্গে নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের কোনো সম্পর্ক নেই। প্রাণায়াম মনুষ্যমধ্যে
তার প্রাণময় কোশকে নিয়ন্ত্রণ। তার পারে আনন্দময় কোশ। কোশ মানে খাপ। শরীরের এক এক স্তর।
তাই সবচেয়ে মিশনের বিক্রীত গ্রন্থ বিবেকানন্দের “রাজযোগ”। অবশ্য তাঁর পতঞ্জলি অনুবাদ
জ্ঞানযোগেরই আলোকে।
আর মা সারদা বলছেন, ঈশ্বরের ইচ্ছা কী
বোঝা যায়? শুকদেবাদি যেন পিঁপড়ে আর তিনি চিনির গোলা! তবে চিনি বালি মিশে গেলেও পিঁপড়ে
আলাদা করতে পারে।
আর ঠাকুর বলছেন শেষ অবস্থায় – সচ্চিদানন্দ
গাছে থেলো থেলো রাম আর কৃষ্ণ ফলে আছে।
I am the infinite ocean of bliss off which
the universe is a wavey foam! ঠিক যেভাবে বলা হচ্ছে, ইউনিভার্স যেন ডার্ক ম্যাটারের
সমুদ্রে কোয়ান্টাম ফোম!
শোনো, Reward আর punishment দিয়ে মানুষী
চৈতন্য রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। সেই রাষ্ট্রে মানুষ আর গিনিপিগে কোনো পার্থক্য
নেই। সেই রাষ্ট্রযন্ত্র শুধু রাষ্ট্রদ্রোহিতার ভূত দেখে। দেখো, বুঝে দেখো, এ আমেরিকান
ভোগবাদের কন্ডিশনিং তত্ত্ব। ভারতকে চৈতন্যের শক্তিতেই জাগ্রত হতে হবে, জড়ের শক্তিতে
নয়। কেননা তার ঈশ্বর কৃষ্ণই একমাত্র পুরুষ, আর জগতের সকল নরনারী আসলে মহিলা।
Whatsapp Status: ২২.০৭.২০২৩।
নেতিবাচক দিক থেকে দেখলে, অ্যাচিভমেন্ট ও মেধার কবচ পরে দেখলে বর্তমান
দশা অতলান্ত খাদে। ইতিহাস। কিন্তু সেই একই জীবন পজিটিভভাবে দেখলে ঈশ্বরের চরম আশীর্বাদে
পূর্ণ। এই রেঞ্জটা কিন্তু আঁতলান্তিক। বিরাট একটা ক্যানভাস এ জীবন যার শেষ বলে কিছু
নেই, যার সব অংশ রঙে ভর্তি করাই চরৈবেতি জীবন। সো ফার সো লং ডিয়ার জিন্দেগি!
Whatsapp Status: ২৩.০৩.২৩।
প্রতিটি মুহূর্তেই আমরা স্বাধীনতা চাই।
মুক্তবোধ না থাকলে আমরা এক সেকেণ্ডও বাঁচতে পারি না। অথচ প্রতি মানস মুহূর্তেই আমরা
দেখি যে প্রকৃতির কাছে আমরা সম্পূর্ণ সারেণ্ডার করে বসে আছি।
যে মুক্তির আকুতি অন্তর থেকে উৎসাহিত
হচ্ছে তাই আত্মার বাণী। ক্রমাগত নেতি নেতি বিচারাত্মক জ্ঞান বিবেক অসি দিয়ে খণ্ড খণ্ড
করে কেটে ফেলতে চাইছে প্রকৃতির অধীনতা! এ প্রকৃতি স্বয়ংক্রিয়া। এ কাম দমন করা যায় না,
শুধু ঈশ্বর কামনা দিয়ে মোড় ফিরিয়ে দিতে হয়। বিবেকী সাক্ষীর ক্ষমতায়!
“পলক নাহি নয়নে/হেরি
না কিছু ভুবনে/নিরখি শুধু অন্তরে সুন্দর বিরাজে।”
#
Facebook Status: ০৮.০৯.২০২৩।
সুনীলের জন্মদিন!
কার্যত তাঁকে রাহুল দ্রাবিড় হতে হয়েছে,
বাধ্যত। ব্যাকরণ ও গণেশজন ছাড়া কিছুই করা যাবে না এই পেটের টানের শর্ত বজায় রেখে শহবাগজাতীয়
ফ্রি ফ্লো এমনকি লেজেন্ডারি কথকতার সুনীলেও নেই।
তাঁর যে উপায় ছিল না। থোড়াই অত ইতিহাস তিনি কপচে
লিখতেন “সেই সময়”, “প্রথম আলো”, “পূর্ব পশ্চিম”! এসব লেখার ধারকাছ দিয়েও যেতেন না যদি
বদ্ধ ও বড্ড বাজারের পাল্লায় নিজেকে বেচে না ফেলতেন।
তার সমসাময়িক অনেক বন্ধু সোজাসুজি অনেক
খেলা, অনেক পেগ, অনেক ম্যাজিক, মজা আর নিরীক্ষার মেহফিলে মজিয়ে দিয়েছেন আমাদের। তাদের
এমত তত্ত্ব ও তথ্য লাগেনি। কার নাম বাদ দেব? সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, উদয়ন ঘোষ, অরূপরতন
বসু, তুষার রায়, উৎপল কুমার বসু, মলয় রায় চৌধুরী, সুবিমল মিশ্র ও সুবিমল বসাক, কার
নাম বাদ দেব?
হতভাগ্য সুনীল!
আর হতভাগ্য এই পোড়া দেশ যেখানে স্বাধীন
ক্রিয়েটিভিটিকে পেশাও করবে আর তারপর জনমোহিনী এন্টারটেন ছাড়াই শিল্প করবে, এমত মেরুদণ্ড
আর নেই, শেষ রামপ্রসাদ প্রতিষ্ঠানবিরোধী সেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে এন্টারটেনমেন্ট ব্যতিরেকে
সিনেমা বা মিউজিক কেউ নেবে না। মেসেজ হে মনচলি করেই যে দিতে হবে পরিচালক! কারণ বাজারের
বাধ্যতা, বাজারভাতার তুমি।
অথচ লেখার, মিউজিকের, সিনেমার ইতিহাস
তা বলে না। মৃণাল সেন বা তারকোভস্কি আরো, আরো আরো কম টাকায় নিজেই নিজের সঙ্গে পাল্লা
দিয়ে সিনেমা বানাচ্ছেন। সিরিয়ালের একটা এপিসোডে ১ কোটি ঢাললে ৩ বারের বদলে ৮বার সবার
মুখ দেখাবে উইথ টিপিক্যাল সাসপেন্স মিউজিক, কিন্তু জনারের বাইরে তবুও যাবে না।
সে যাই হোক, সকলের কাছে পেন থাকে, সকলেই
উপন্যাস লেখে না, সকল স্মার্টফোনধারীর ক্যামেরা আছে, তারা গোদার হয় না।
যাক ছাড়ো লেখার ইতিহাস অনুধ্যান করলে
দেখা যায় তাতে যেন মৌলিক
নাগরিক অধিকার স্বয়ংসিদ্ধ। লেখা তো অন্তত একজন শিক্ষিত মানুষের মৌলিক মানবাধিকার!
এতে অন্তত হস্তক্ষেপ করতে দিতে নেই।
অন্তত এই ভুলভুলাইয়ায় খেলতে যেতে নেই।
সুতরাং সুনীল থেকে গেলেন। কোষ্ঠকাঠিন্যের
বিজ্ঞাপন করলেন বটে শুধুই একজন লেখক হয়ে, যাপন করলেন অনেক, শেষত হেরেই গেলেন রবীন্দ্রনাথতুল্য
ভল্যুম নিয়েও। ইহা নিয়তি। এবং সময়ের হাতে এসে তাঁকে সম্পূর্ণ মুছে দেবে একদিন।
#
Whatsapp Status: ০৭.০৯.২০২৩।
দেশটার নাম ভারত হতে পারে, ইন্ডিয়া
হতে পারে, কিন্তু এই পরিবার পরিকাষ্ঠা রাষ্ট্রটির বিজ্ঞাপন যতদিন না “মা” থেকে বেরিয়ে
আসবে দেশটা তো এ কি জ্বালা সাবলম্বীই হচ্ছে না!
রাষ্ট্র এগোচ্ছে। দেশ? পিছিয়েই চলেছে!
কারণ আমাদের দল আছে, দেশ নেই!
তবু আজও শান্তিতে ডিনার না করে, মদ
খেয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারি ইহা জেনে যে, ভারতে আর কেউ ভাত না খেয়ে ঘুমোয় না। ইহা
কি বিপ্লব নয়? না, আংশিক। ভাতের সঙ্গে আর কী খেতে পায় তাতে যথেষ্ট সন্দেহ আছে!
Facebook Status: ০২.০১.২০২৫।
মাধ্যমিকের ইতিহাস বই উল্টে দেখো, পালটে গেছে। ধারণাগুলি আমূল বদলে
গেছে। পৃথিবীর প্রথম মানুষ অভিযান করেছে আফ্রিকা, আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া, ভারত হয়ে
অস্ট্রেলিয়ায়। আর্য বলে আর কেউ খাঁটি নেই। দেখো আকবরের মনসবদার প্রথাই মোঘল সাম্রাজ্যের
ধ্বংসের কারণ। দেখো হরপ্পার সীলে সেই যোগী শিবকে আজ বন্য প্রকৃতির শুধুমাত্র ষণ্ড দেবতা
ভাবা হয়। দেখো, ঔরঙ্গজেবের সভায় অসংখ্য হিন্দু, তাকে আর হিন্দুবিদ্বেষী ভাবা হয় না।
বিজয়নগর, চোল, চালুক্য আজ হিন্দুরাষ্ট্রের স্বতন্ত্র্যতায় ঔজ্জ্বল্যে পাঠ্যবইতে ভাস্বর।
উল্টে দেখ, রাজনীতি নিরপেক্ষ হয়েও ইতিহাস পাঠ্যপুস্তক বদলে গেছে।
#
Facebook Status : ১৮.০৩.২০২৩
আমি জল, বায়ু, অগ্নি, আকাশাদি পঞ্চপদার্থ
নই। আমি অন্নময়, প্রাণময়, মনোময়, বিজ্ঞানময় বা আনন্দময় পঞ্চকোশও নই। আমি পাঁচটি কর্মেন্দ্রিয়
ও বাক্, পানি, পাদ, উপস্থ, পায়ু জাতীয় পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয়ও নই। আমি শিব, আমি শিব!
প্রতিক্রিয়া দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।
নিজেই নিজের সঙ্গে কেউ ঝগড়া করে না তো! কার্য-কারণ, কর্ম ও ফল এই ভিসিয়াস সাইকেল ব্রেক
করি প্রতিক্রিয়া না দিয়ে। অধ্যাত্ম তোমার কষ্ট মুক্তি করতে পারে না, শুধু কষ্টের প্রতিক্রিয়ারূপ
কষ্ট থেকে নিবৃত্ত করতে পারে।
আমি শিব,
আমি শিব।
#
Facebook Status: ১৮.০৩.২০২৫
বেশ্যার কাছে যাই ইন্টারভিউ নিতে। তাকে
মদ খাওয়াই। তারপরও সে আদ্যন্ত কথা এড়াতে চাইছে দেখে বুঝি ব্রেথলেস-এ বেল মন্ডো বলেছিল,
যারা তাদের প্রেমিকের সঙ্গেই শুধু সেক্স করে না, তারাই বেশ্যা। বেশ্যারা প্রেমিকের
জন্য শুধু চুম্বন সংরক্ষিত রাখে।
এসব জেনে, এসব বুঝে, তাকে একটি বৌদ্ধ
দৃষ্টান্ত দিলাম। এক বেশ্যার কথাতেই নদীর গতি পাল্টে গেল। সম্রাট অশোক বিস্ময়ে প্রশ্ন
করলেন, তোমার এত শক্তি কীভাবে? বেশ্যা বলল,
- আমি সব খদ্দেরের সঙ্গেই সমান ব্যবহার
করি। সকলকেই সমান সেবা দিই। তাদের মন বুঝে সর্বান্তকরণে তাদের উপভোগ দিই। এই কর্মযোগ
আমাকে মুক্ত করেছে!
আরো উদাহরণ দিই তাকে, বেশ্যাটিকে, শোনাই
সন্ন্যাসী উপগুপ্ত! এসেছি বাসবদত্তা! আরো বলি, ঠাকুরের গল্পে বেশ্যাপল্লীতে এসে ধর্মকথা
মিস করার আক্ষেপের মানসপুণ্য কাহিনী। শেষে বলি, এখানে বহু বেদনায় বহু জ্বালায় আসে।
তুমি তাদের বিষ শুষে নিও। শেষাবধি সে আমাকে মাছভাত না খাইয়ে ছাড়েনি! আমরা বন্ধু হলাম!
Whatsapp Status : ১৮.০৪.২০২৩
এই পৃথিবীতে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল,
প্রশাসনিক আধিকারিক, পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতা … এরা এত মিথ্যা বলে, এত ভুলভালভাবে নিজের
সেল্ফকে কাল্মজি ও ক্ল্যারিটিহীন করে তোলে, এত এত ভুল আইডেন্টিটিতে জড়ায়, নিজেকে যেন
আর রাখতে পারে না। বিবেক এদের শেষ করে দিয়ে যায়, আফটারঅল মানুষ তো! এরা এত বেশি মানসিকভাবে
চঞ্চল যেন মদ্যপ বাঁদরকে কাঁকড়াবিছে কামড়েছে! ইন্টিগ্রিটিহীন ভীতু আত্মহন্তারক এদের
কাছে হাস্যস্করভাবে মনের জটিলতাই সম্পদ!
এদেরকেই অ্যান্টিসাইকিয়াট্রিতে তাত্ত্বিক
Andrew Lang বলেছেন মানসিকভাবে অসুস্থ! ক্ষমতার সঙ্গে মানসস্বাস্থ্য তবে ব্যস্তানুপাতে
চলে গেল!
ফ্রয়েডবিরোধী অ্যান্টি ইদিপাস বাজারতত্ত্বে
কি নেই?
এই মনস্তত্বই কি বলে না Basic Need
অতিক্রম করে Being need এর কথা? বলে না শুভকারী পার্সন সেন্টারড থেরাপি ও ক্লায়েন্ট
সেন্টার্ড থেরাপির কথা যা মানুষের রোগী দশা ও সাইকোলজিস্টের প্রভু দশাকে এক জমিতে বসায়!
সাইকোলজি মানেই বীভৎসতা নয়। এখানেই ফ্রয়েডীয় স্যুররিয়াল ফেল করে যায়।
এবং
এমতাবস্থায় সরকারি পক্ষেও নেই, বিরোধীও নয়, আমি
DA চাই বা চাই না এমনটিও নয়।
যুদ্ধে আমার child
porn ফ্রন্ট!
Facebook Status এ আক্রমণাত্মক
আমি।
Bedroom বিপ্লবী
#
#
ফেসবুক পোস্টে আক্রমণাত্মক
মদ্যপ আমিঃ
আমি নিজের নামের জন্য আর একটি অক্ষরও লিখব না। এই সম্পূর্ণ ফসিল মাধ্যমের
সাহায্যে বাংলা সাহিত্যে যে বিষয়গুলি আজও অধরা রয়ে গেছে, যেমন রূপকথার সাইকো অ্যানালিসিস,
বিশ্বমিথের টপিক ধরে ধরে কম্পারেটিভ স্টাডি, মিথের থিওরিগুলির বিস্তারিত আলোচনা, পোষ্ট
ইয়ুঙিয়ান সাইকোলজিক্যাল থিওরির আলোচনা, এগুলিই অতঃপর ম্যাগাজিনগুলোতে রেখে যেতে চাই।
না বন্ধু, বই আর নয়। ISBN বাজারে আর আমি নেই। মিথের ক্ষেত্রে আমি আর প্রত্ননিদর্শন
না পেলে অ্যানালিসিসে যাব না। হনুমান পূর্ব ভারতের উপকূলে মূর্তি ও পুতুলরূপে আর্কিওলজিক্যাল
সত্য। তাহলে হনুমানের সূত্রে রাম-রামায়ণ। এগুলি তো মিথ আমায় শেখায় না। ইতিহাসে স্নাতকোত্তর
পাঠ শেখায়।
এছাড়াও অপরিচিত Bosch, Beksinki, Chagall, Munch, Turner,
Vermeer, Velazquez- এর চিত্রের সঙ্গে বাঙালি মনন কতটা পরিচিত? প্রত্যেককে নিয়ে নোট
লিখতে চাই। নোট বই! যারা আমার সোশ্যাল মিডিয়া দেখেন, লক্ষ্য করবেন আমার লেখাগুলিতে
কখনও নিজের নাম দিই না। এমনকি মিনিমাম পিডিএফ ফাইল করেও শেয়ার করি না। এগুলিকে সকলের
সমষ্টিচেতনার ফসল ভাবতে ভালো লাগে! এগুলি বাঙালির আরো অনেক আগে জানা চেনা অভ্যাস হয়ে
যাওয়া উচিত ছিল।
আমি বদলে গেছি। কবিতা লেখার চেয়ে অ্যাডোব প্রিমিয়ার বা মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজ
কি পিয়ানো বাজানোর পারদর্শিতায়, পারফরমেন্স ও স্কিল ডেভলপমেন্ট এবং তার ডেফিনিট আউটটকামে
বিশ্বাস রাখছি। যার প্রতিক্রিয়া অবজেকটিভ। যা কবিতার সমালোচনার নামে ব্যক্তিগত আক্রমণ
ও বদমায়েশি নয়। আমি জানি, ও কবিতার জগৎ অবদমিত কাম ও পারভার্টেড প্লিজার চরিতার্থ করতে
সোশাল মিডিয়ায় চাইল্ড পর্ণোগ্রাফিকে হার মানানো অশ্লীল হিংস্র হয়ে ওঠে।
আমি প্রত্যুত্তরে বলছি, Let go। যে ছেড়ে যেতে চাও সে আপনিই যাবে।
Let go।
একটা বাঁদর ছিল। রোজ চাষীর কলা খেয়ে যেতো। একদিন চাষী কুঁজোর মধ্যে কলাগুলো রেখে দিল। বাঁদর কুঁজোয় হাত ঢুকিয়ে কলা তো ধরল, কিন্তু অত সরু মুখ দিয়ে কলা শুদ্ধু হাত বের করতে পারছিল না। এই সুযোগে চাষী তাকে বেধড়ক মারতে লাগল। হতভাগা কলার আশা ত্যাগ করলেই নিমেষে চাষীর হাতের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারতো। না সে কলার আশা ছাড়ল, না তার ক্যালানি খাওয়া বন্ধ হল! সুতরাং God give me the courage to what I can change, Give me the tolerance which I can’t, and Give the wisdom to know the difference এবং এ হিসাবও আমি মানি না। আজ পর্যন্ত কোনো রিহ্যাভ কাউকে পূর্ণ সুস্থ করতে পারেনি। একমাত্র ফিলজফি পারবে। একমাত্র আধ্যাত্মিকতাই নেশার সমাধান। এমনকি সানি লিওনির নেশারও। এবং বিজ্ঞানকে বিষয় করে কবিতা, গদ্য, গল্প, আমি তো কম লিখলাম না। এই বিশ্বাসে যে আদতে বিজ্ঞানই আমার অ্যাকাডেমিক বিষয়। বিষয় বহির্ভূত কিছুই লিখি না। এরই আরেক নাম প্রবন্ধমূলক গদ্য—প্রগদ্য!
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন