কবিতার কালিমাটি ১৪৮ |
আত্মহত্যা
আমার গন্তব্যর অপেক্ষারত চকচকে আলোকে মায়া ভেবেছিলাম;
কাছে এগোতে সরে যায়।
দেখি ভুলভুলাইয়া নির্মাণ হচ্ছে। প্রমাণ করতে চাইলেও
অসম্ভব; ভালোবাসার সিঁড়িভাঙা সমাধানে আমি পরাস্ত প্রেমিকা।
লুপ্ত কড়ির মতো থাকি, কাজে আসে কোনও ম্যাহেফিলী
আতর।
দেহে নামে আদিম পায়রা
চিঠি চায় অথচ যাকে দেবার কথা সে ডিজিটাল কাঁসর
পেটায় আমার বুক চিরে। অনেক দিন পর প্রেমালাপের উদ্দেশ্যে মাথা আর হাঁটু মিলিত হয়েছে;
এ দায় শ্রাবণেরই...
বিপর্যয় = আত্মীয়
আমি কথা বললে কটা হুমড়ি খাওয়া বুলেট এবং ঘনত্বে
থাকা ম্যাডক্স স্কোয়ারের ভিড় আমার দায়িত্ব নেবে অজানা; এরপরও বীজগণিত আর জেব্রার
তফাৎ না বুঝে চর্ব্যপত্রে অপাহিজ হিসেবে আমায় বসান বৃন্দরা।
হুজুর, চেনাতে পারছি কী!
দ্রোহ দিয়ে বন্যা রুখতে চেয়েছিল মেধা
আর প্রেম দিয়ে আগুন। কবেই তো বিপর্যয় নামক আত্মীয়টি
এক বালিশে শুচ্ছে,
মায়া খুঁড়েছি অতএব বিরাজ বক্ষে পুষ্প উৎখাত করার
সাহস দ্যাখাই না। যেমন ছোবল আর মধু বাছতে বললে
কিছুতেই মধু অনলাইনে আসছে না...
মর্গের ছবিটা আঁকুন না প্লিজ
তবু তো পায়রা দুটো দানা খুঁটছিল, কাছাকাছি ছিল
এখানে রোদের আসা বারণ, হয়তো ইনফেকশনের ভয়ে...
ভেতরের খবর তোমার জানার কথাও না
কিন্তু বাইরেরটা জানো কী!
ক্রান্তীয় দুবর্লতা দুর্লভ হলে হাঁপরে মেরুবাতাস
প্যাঁচ কষে।
কাছাকাছি যামিনী রায়কে দেখলাম না;
বলতাম মর্গের ছবিটা জম্পেশ করে আঁকুন দেখি...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন