কবিতার কালিমাটি ১০০ |
অনস্তিত্বের গাঢ়
অভিমান
শূন্য রাস্তা
আকাশও শূন্য
শূন্য ব্যাকগ্রাউন্ড
প্রতিশ্রুতি শূন্য, কান্না শূন্য
রাগ-অভিমান
কল্পনা, স্বপ্ন
নির্ঘুম প্রহর!
শূন্য, শূন্য, শূন্য...
ঋতু আছে, ঋতুমতীও আছে
কুয়াশা, ভোর, বৃষ্টি, মেঘ সবই আছে
দমফাটানো দুপুর, নিটোল দিঘি
অব্যক্ত চোখ, ঘাম, গন্ধ, নির্জনতা
এমনকি রাত, এমনকি চাঁদ সবই আছে
অথচ, আমার শুধু শূন্যতা, আমার শুধু শূন্যতা... আমার শুধু...
এখনও টুপ করে ঝরে পড়ে সময়
এখনও অন্ধকার ছায়ার উপর
এখনও মাতাল হওয়া রাত
এখনও বুক ছোঁয়া পাঁপড়ি
এখনও বিনম্র পলি, দহনপ্রবন
এখনও অসম্ভব সেই উজানের ঢল
এখনও সেই অগ্নি, সেই ফেনা, চুমুর বিভাস...
আমি একটা কবিতা লিখব বলে মনস্থির করেছি
আমি আমি একটা গান গাইব বলে মনস্থির করেছি
আমি কিছু কংকাল জোড়া লাগাব বলে মনস্থির করেছি
আসলে আমি, কিছু ছাই, কিছু ঘুম, কিছু বুদবুদ কিংবা হতে পারে কিছু বৃক্ষ, কিছু বন, কিছু স্বপ্ন, জড়ো করে এনেছি
হতে পারে এসবই আমার অতীত, হতে পারে এসবই আমার বর্তমান, কিংবা ভবিষ্যৎ
এই যে লুকানো গরাদ, আমি বেরোতে পারিনা
এই যে এত আলো, এত এত অন্ধকার আগে কখনও দেখিনি আমি
এই যে ফুলকি, এই যে এত এত হাড়, ঘিলু মজ্জা
এই যে কাফন, নিবিড় পরিচর্যা সেলাইহীন চাদর, মাটি কিংবা মৃত্তিকা আগে কখনও দেখিনি আমি
আমি শুধু আমাকেই দেখব বলে, দেখাব বলে দুচোখ বন্ধ করে চেয়ে আছি সুদূরের পানে...
শীত শেষে পাখিরা যেমন উড়ে যায়
দেহ ছেড়ে যেমন উড়ে যায় অনস্তিত্বের ঘুড়ি
যেমন শৈশব হারিয়ে যায়
যেমন মা হারিয়ে যায়
যেমন বাবা হারিয়ে যায়
যেমন হারিয়ে যায় দেহের উত্তাপ
পৌরাণিক বিশ্বাস, নক্ষত্র থেকে হারিয়ে যায় কোটি কোটি আলোক রশ্মি
তেমনি আমিও হারিয়ে ফেলেছি আমার সব, আমার সমস্ত অস্তিত্ব, সৌরচন্দ্রকলা...
মাঝে মাঝে আমার ভেতরটায় একটা গভীর, গাঢ় খোঁড়ল হয়ে যায়, আর সেই খোঁড়লের খাড়ি বেয়ে বেয়ে নেমে যায় অনেকগুলো সুড়ঙ্গ
অনেকগুলো পাহাড়ি ঝরনা, অনেকগুলো নদী, আর
আমি সেই নদী বেয়ে বেয়ে কতদূর যে চলে যাই, কতদূর...
আমি আর ফিরতে পারি না
আমি আর ফিরে যেতে পারি না, আমি আর...
আমি জানি, এখন আমাকে নিয়ে কেউ ব্যস্ত নয়, বিব্রত নয়, এমনকি কাঙ্ক্ষিতও নয়, আমি জানি... আমি জানি... আমি জানি...
তবুও কেন যে আমার এতটা হ্যাংলামো, এতটা কাঙালপনা - বুঝতে পারি না!
প্রথম যেদিন, তোমাকে নিয়ে বের হই, শুক্রবার ছিল, মনে পড়ে... মনে পড়ে দুঃখ?
আমি সেই ভোরবেলায় এসে দাঁড়িয়েছি চৌরাস্তায়, তুমি আসছো না, তুমি আসছো না
আমার খুব ভয় করছে, খুব কান্না পাচ্ছে
আমি ঘড়ি দেখছি, এদিক ওদিক তাকাচ্ছি, আমার মাথার উপর সূর্য নাচছে, হলুদ পাতা ঝরচ্ছে, পাশে দাঁড়ানো দুখী গাছ আর আমি ঘামছি, বারবার, বারবার
তাকাচ্ছি, ঘড়ি দেখছি... একটা একটা মানুষ গুনছি, দেখছি, আবার ঘামছি...
আমার যখন নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার পালা তখনই, ঠিক তখনই তুমি এলে, মনে পড়ে, মনে পড়ে দুঃখ...
থাক সেসব কথা আজ
কী হবে এসব ভেবে ভেবে, কী হবে?
যে ভয়, যে অনিশ্চয়তা একসময় আমাকে খুঁড়ে খুঁড়ে খেতো, সে ভয়, সে অনিশ্চয়তাই সত্য হলো একদিন
তুমি হারিয়ে গেলে, চিরদিনের মত তুমি হারিয়ে গেলে, হারিয়ে গেলে...
পৃথিবী অসুস্থ এখন, অসুস্থ তার সময়, অসুস্থ নদী মাটি জল হাওয়া, অসুস্থ সব মানুষ
অসুস্থ সব, অসুস্থ সমস্ত কিছু...
এখন কেউ কারও দিকে তাকাবার সময় নেই
এখন কেউ কারো সাথে কথা বলার সময় নেই
গাছ দাঁড়িয়ে থাকে গাছ, মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে মানুষ
শুধু ছুরি উল্টে যায়, শুধু উল্টে যায় বিশ্বাস...
একটু আগে রক্তের নালি কেটে দেখলাম
একটু আগে নিজের হৃৎপিণ্ড কেটে দেখলাম
দেখলাম ঠিক আছে ফুসফুস, লিভার, শিরা-উপশিরা
সেখানের উচ্চারিত ধ্বনিও শুনতে পেলাম
শুনতে পেলাম প্রতিনিয়ত উচ্চারিত পঙক্তির বর্ণায়ন -- কী অসাধারণ, অপূর্ব মাধুর্য তার!
অথচ, প্রতিটি শব্দ আজ পেরেকবিদ্ধ
প্রতিটি বর্ণ আজ কুণ্ঠিত, শৃঙ্খলিত...
অনেকদিন আমি আমার ঘরে আলো জ্বালিনি
অনেকদিন আমি আমাকে দেখিনি
অনেকদিন আমি কোনো কথা বলিনি
এমন অনেকদিন আমি শুধু বিশ্বাসহীন থাকি
এমন অনেকদিন শুধু অন্ধকার, শুধু অন্ধকার...
ভোর হলেই যেমন
দুপুর হলেই যেমন
কিংবা যেমন বিকেল হলেই
আমার কাছে এক আকাশ চিঠি, এক আকাশ সমুদ্র, এক আকাশ পঙক্তি কিংবা এক আকাশ নক্ষত্র
যদি এমন হয়
একটা টেবিলের একপাশে পৃথিবী
একপাশে সমুদ্র, একপাশে পর্বতশৃঙ্গ
আর অন্যপাশে কতগুলো হিজিবিজি দুঃখ, ছেঁড়াপাতা, রক্তাক্ত পাঁজর রেখে দেয় কেউ
আর
যদি তখন পৃথিবীর জায়গায় টেবিল, শৃঙ্গের জায়গায় সমুদ্র
কিংবা সমুদ্রের জায়গায় হিজিবিজি দুঃখ
এসে বসে যায়
তখন কি বোঝা যাবে মানুষ কোথায় ছিল
তখন কি বলা যাবে মানুষ কোথায় ছিল
তখন কি বলা যাবে আমি কোথায় ছিলাম, কিংবা আছি?
জীবনের পৃষ্ঠাগুলো উল্টিয়ে
দুঃখগুলো সেলাই করে করে
অন্ধকারের কররেখায় দীপ জ্বালিয়ে
দেখছি অন্তহীন পথচলা
দিকচিহ্নহীন মাস্তুল, দূরবর্তী নৌকোর
অনস্তিত্বের গাঢ় অভিমান...
যেমন হারিয়ে যায় দেহের উত্তাপ
পৌরাণিক বিশ্বাস, নক্ষত্র থেকে হারিয়ে যায় কোটি কোটি আলোক রশ্মি
তেমনি আমিও হারিয়ে ফেলেছি আমার সব, আমার সমস্ত অস্তিত্ব, সৌরচন্দ্রকলা...
মাঝে মাঝে আমার ভেতরটায় একটা গভীর, গাঢ় খোঁড়ল হয়ে যায়, আর সেই খোঁড়লের খাড়ি বেয়ে বেয়ে নেমে যায় অনেকগুলো সুড়ঙ্গ
অনেকগুলো পাহাড়ি ঝরনা, অনেকগুলো নদী, আর
আমি সেই নদী বেয়ে বেয়ে কতদূর যে চলে যাই, কতদূর...
আমি আর ফিরতে পারি না
আমি আর ফিরে যেতে পারি না, আমি আর...
আমি জানি, এখন আমাকে নিয়ে কেউ ব্যস্ত নয়, বিব্রত নয়, এমনকি কাঙ্ক্ষিতও নয়, আমি জানি... আমি জানি... আমি জানি...
তবুও কেন যে আমার এতটা হ্যাংলামো, এতটা কাঙালপনা - বুঝতে পারি না!
প্রথম যেদিন, তোমাকে নিয়ে বের হই, শুক্রবার ছিল, মনে পড়ে... মনে পড়ে দুঃখ?
আমি সেই ভোরবেলায় এসে দাঁড়িয়েছি চৌরাস্তায়, তুমি আসছো না, তুমি আসছো না
আমার খুব ভয় করছে, খুব কান্না পাচ্ছে
আমি ঘড়ি দেখছি, এদিক ওদিক তাকাচ্ছি, আমার মাথার উপর সূর্য নাচছে, হলুদ পাতা ঝরচ্ছে, পাশে দাঁড়ানো দুখী গাছ আর আমি ঘামছি, বারবার, বারবার
তাকাচ্ছি, ঘড়ি দেখছি... একটা একটা মানুষ গুনছি, দেখছি, আবার ঘামছি...
আমার যখন নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার পালা তখনই, ঠিক তখনই তুমি এলে, মনে পড়ে, মনে পড়ে দুঃখ...
থাক সেসব কথা আজ
কী হবে এসব ভেবে ভেবে, কী হবে?
যে ভয়, যে অনিশ্চয়তা একসময় আমাকে খুঁড়ে খুঁড়ে খেতো, সে ভয়, সে অনিশ্চয়তাই সত্য হলো একদিন
তুমি হারিয়ে গেলে, চিরদিনের মত তুমি হারিয়ে গেলে, হারিয়ে গেলে...
পৃথিবী অসুস্থ এখন, অসুস্থ তার সময়, অসুস্থ নদী মাটি জল হাওয়া, অসুস্থ সব মানুষ
অসুস্থ সব, অসুস্থ সমস্ত কিছু...
এখন কেউ কারও দিকে তাকাবার সময় নেই
এখন কেউ কারো সাথে কথা বলার সময় নেই
গাছ দাঁড়িয়ে থাকে গাছ, মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে মানুষ
শুধু ছুরি উল্টে যায়, শুধু উল্টে যায় বিশ্বাস...
একটু আগে রক্তের নালি কেটে দেখলাম
একটু আগে নিজের হৃৎপিণ্ড কেটে দেখলাম
দেখলাম ঠিক আছে ফুসফুস, লিভার, শিরা-উপশিরা
সেখানের উচ্চারিত ধ্বনিও শুনতে পেলাম
শুনতে পেলাম প্রতিনিয়ত উচ্চারিত পঙক্তির বর্ণায়ন -- কী অসাধারণ, অপূর্ব মাধুর্য তার!
অথচ, প্রতিটি শব্দ আজ পেরেকবিদ্ধ
প্রতিটি বর্ণ আজ কুণ্ঠিত, শৃঙ্খলিত...
অনেকদিন আমি আমার ঘরে আলো জ্বালিনি
অনেকদিন আমি আমাকে দেখিনি
অনেকদিন আমি কোনো কথা বলিনি
এমন অনেকদিন আমি শুধু বিশ্বাসহীন থাকি
এমন অনেকদিন শুধু অন্ধকার, শুধু অন্ধকার...
ভোর হলেই যেমন
দুপুর হলেই যেমন
কিংবা যেমন বিকেল হলেই
আমার কাছে এক আকাশ চিঠি, এক আকাশ সমুদ্র, এক আকাশ পঙক্তি কিংবা এক আকাশ নক্ষত্র
যদি এমন হয়
একটা টেবিলের একপাশে পৃথিবী
একপাশে সমুদ্র, একপাশে পর্বতশৃঙ্গ
আর অন্যপাশে কতগুলো হিজিবিজি দুঃখ, ছেঁড়াপাতা, রক্তাক্ত পাঁজর রেখে দেয় কেউ
আর
যদি তখন পৃথিবীর জায়গায় টেবিল, শৃঙ্গের জায়গায় সমুদ্র
কিংবা সমুদ্রের জায়গায় হিজিবিজি দুঃখ
এসে বসে যায়
তখন কি বোঝা যাবে মানুষ কোথায় ছিল
তখন কি বলা যাবে মানুষ কোথায় ছিল
তখন কি বলা যাবে আমি কোথায় ছিলাম, কিংবা আছি?
জীবনের পৃষ্ঠাগুলো উল্টিয়ে
দুঃখগুলো সেলাই করে করে
অন্ধকারের কররেখায় দীপ জ্বালিয়ে
দেখছি অন্তহীন পথচলা
দিকচিহ্নহীন মাস্তুল, দূরবর্তী নৌকোর
অনস্তিত্বের গাঢ় অভিমান...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন