কবিতার কালিমাটি ১০০ |
চ্যাটিং রিলেশন
থার্মোমিটারের দিকে তাকিয়ে আছি
পারদ নেমে যাচ্ছে ক্রমশঃ শূন্যের দিকে
তাকিয়ে আছি, ভাবছি শীতলতা
হাঁ-মুখে শত শত উষ্ণ ঠোঁট গুজে দিলে
লাফিয়ে উঠবে কি পারদ? ভাবছি,
মেরুবরফ গলে কই যায় হিমস্রোত?
পারদ নেমে যাচ্ছে ক্রমশঃ শূন্যের দিকে
তাকিয়ে আছি, ভাবছি শীতলতা
হাঁ-মুখে শত শত উষ্ণ ঠোঁট গুজে দিলে
লাফিয়ে উঠবে কি পারদ? ভাবছি,
মেরুবরফ গলে কই যায় হিমস্রোত?
আসুন কবি, সূর্যের দিকে হাটি
ইথারের শূন্যতা আমরা মানছি না
‘গরম ভাতে বিলাই বেজার’
আসলে সম্পর্কের পথ তো গোলাকার
কাঁপতে থাকে হাওয়ায়
আগুন এক মিথ, যেমন বরফ
কে উপরে? কে নিচে?
ইথারের শূন্যতা আমরা মানছি না
‘গরম ভাতে বিলাই বেজার’
আসলে সম্পর্কের পথ তো গোলাকার
কাঁপতে থাকে হাওয়ায়
আগুন এক মিথ, যেমন বরফ
কে উপরে? কে নিচে?
বুকের ওপর অর্ধেক পৃথিবী-মানসী,
অর্ধেক মাংস
অক্তাভিও পাজ
দুটো লাশ মুখোমুখি
তারা মাঝে মাঝে দুটো ঢেউ
আর রাত হল মহাসাগর।
তারা মাঝে মাঝে দুটো ঢেউ
আর রাত হল মহাসাগর।
দুটো লাশ মুখোমুখি
তারা মাঝে মাঝে দুটো পাথর
আর মরুভূমির রাত।
তারা মাঝে মাঝে দুটো পাথর
আর মরুভূমির রাত।
দুটো লাশ মুখোমুখি
তারা মাঝে মাঝে শিকড়
আর রাতে লিঙ্ক করা।
তারা মাঝে মাঝে শিকড়
আর রাতে লিঙ্ক করা।
দুটো লাশ মুখোমুখি
তারা মাঝে মাঝে ক্ষুর
আর বজ্রপাতের রাত।
তারা মাঝে মাঝে ক্ষুর
আর বজ্রপাতের রাত।
("The poetry of Octavio
Paz," wrote the critic Ramón Xirau, "does not hesitate between language and silence; it
leads into the realm of silence where true language lives.")
মাটির ঘন্টা বাজে শূন্যের উপর
বুক জুড়ে মাটির ঘন্টা বাজে
অর্থহীন হাওয়াই মিঠাই ঢং ঢং... ঢং ঢং...
বিবশ করা সড়কে
কে জানে পাহাড় - ওপার হতে
চোখজ্বালা
রৌদ্দুর ফাঁক করে
- বুক সমান বৃষ্টি
এই বসত মধ্যাহ্নের পায়ের উপর পূর্বাহ্নের দেবী
মুখ তুলে আলোড়ন
স্বভূমির স্বপ্ন বালির সন্তান
দু’ মুঠো আঁকড়ে আঙুল
হাটতে হাটতে ফাঁকা হাতে বালুর স্মারক
শূন্যতার ঢং ঢং… ঢং ঢং...
আজও কি বানে ভাঙ্গে নয়ন দু’কূল - উৎকন্ঠার যন্ত্রণায়
কখন আসে বৃষ্টি - গুঁড়ি গুঁড়ি বুকের ভিতর
এই মধ্য রৌদ্রের?
সমস্ত সময় লোপাট করে
- দৌড়, ইশারার দিগন্তে
ফেলে ডোবা, নদী, সাগর আর পাহাড়
যা পাহাড়ায় বিবেকের দরজায়
অপূর্ব স্নেহময় মায়ের বোরকায়?
মাদকতার দৌড়ে
কতটা ক্লান্ত কিশলয়
- যতটা ক্লান্তি আশ্লেষে আপন
মধ্যরাত্রির বালিশের তুলায় গুমরে ওঠা স্বর
কুঁড়ির উদ্দাম হুমড়ে পড়ে পতনে
নাড়িয়েছে পাতাল গহীন
‘যদি বলি আপন ঘর পাতালের মাতাল সন্তান’
অণুর সীমানায় যে বিস্ময়
মাটি খুঁড়ে দেখে পাখি
কী বাহানায় ডেকে দেখায় ডুবে যাওয়া শব
চঞ্চল নায়ে অনল পাল
পুড়িয়ে সর্বনাশ...
মিলায়ে বুক ঠেকায় পেরেক
- চোখে চোখে
বিছানা চৌকাঠে
মুড়ায়ে ঘূর্ণি অন্দর সদরে
সুখের উত্তাপ শুষে কাচের শরীর
উভযৌন তারের সুরে প্রথম শিয়রে
ফেনার স্তন
-যেন সর্বনাশা নি:সাড় পুরী
কৃষ্ণ তিথির সাপের ছায়ায়
বিস্তারে সুপ্রিয় আদুর আগুন
ঢং ঢং... ঢং ঢং...
উত্তাপের প্রতিবেশী শরীর
পড়েছিল অলংকার
আলপনা আছে রাতের সুদূরে
আছে স্নায়ুর আলোড়ন
কর স্বর্গ স্পর্শ হাজিরে
শুধু শরতের শুভ্র কাশফুল
মাটির ঘন্টা বাজায়
ঢং ঢং... ঢং ঢং...
রাতের সবুজ ছায়ার আঁচলে
আপন করে রাখে সকালের সবুজ
অহ্নের ক্রম কম্পাংকে
আর অসহ্য মন্থনে পেশী
মুচড়ে ভাঙ্গে বালিশ
ইঁদুর কাটে কূট কূট
গহীনের কানাগলি
ভীরুতায় সেধানো
মূঢ়তায় টাল খাওয়া
জন্তুর নখে ছেনা
অতলগর্ভ নেগেটিভ
বাতাসের ঘুরান হতে
দিয়াশলাই জ্বেলে
পুড়ে গেছে নতুন কুঁড়ি
লতানো লতা
বাতাসের সংঘর্ষে - উদিত কথা
কী দহনে বন্ধু জানে
পালক ঝরে পোড়া চোখের
- সেই শাপলার
আবিল শেওলার জাল জলে যার জন্ম
বৃষ্টির পরশে পঙ্খী কোমল
সেই ধীর লয়ের
বুক জুড়ে বৃষ্টি
পাথর তুলে চোখ হতে
জল ছুরে বুকে - সরল দহনে
আপন ভেবে চুরি করে
দোহায় দরদ
হারায়ে আপন ঘর
মিশে থাকা শরীর ঘামে যে জীবন
হারায়নি কারও কাছে
এই গহীন বনে সড়ক ভুলে
গাছের সুরভি মাখা পথে
মাটির ঘন্টা বেজে যায়
ঢং ঢং... ঢং ঢং...
একরাশ পোকা জমে মানুষের জীবন
গোপনে খেয়ে যায় বুকের আদর
জমিয়ে পাথর বুকের নিচে
অশ্রু ভাঁজে সাত জমিন সমান
নামায়ে কলতান শূন্যতার
ঘন্টা বাজে মাটির
রাত্রি গভীরের প্রদীপ
বাতাসের আঘাতে রাত্রি গভীরে আগুন
জোড়ায় জাগে একা
সেই ষোড়শী চড়াই
জালের শূন্যতা ভরে
উঁকি দেয় তুমুল চঞ্চলতায়
যেন ভুল করে জানালার গ্রিল ধরে
গাড়ীর জলন্ত আলো বিম্বিত লেকের জলে
স্বপ্নের কাগজে নৌকা ভাসায়
কাঁধ হাতে পিছন থেকে সংসার হাসে
পিছলে পড়ে আরও যত সবল তারল্য
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন