কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

রবিবার, ১৭ মে, ২০২০

বর্ণশ্রী বক্সী


কবিতার কালিমাটি ১০০











রিংটোন   


যে দিকেই কান পাতি 
   ভেসে আসে অজানা রিংটোন
স্তব্ধতা ভেঙে দিয়ে সুর বয়
   ক্রমে আত্মীয়তা জেগে ওঠে, 
মনের গোপন কোণে লালিত 
   ভালবাসা বোধের মত
শ্রুত হয় রিংটোনের ভিন্নতা!

দূরে গির্জার মাথায় ঘন্টা বাজে
    পাখিরা উড়ে যায় পথ-
পালকের পতন দেখে 
    বালিকাটি  হেসে ওঠে,
সঞ্চিত হয় খাতার পাতায়
   আবারও আচম্বিতে বেজে ওঠে
কিছু পরিচিত ও অপরিচিতের 
        একটানা রিংটোন।



অপার্থিব 

যে জীবন একদিন পাখির পালকে ছিল লীন
আমি তার জানি কিছু, কিছুটা আঁকাবাঁকা 
রক্তিম নেশায় চুর পুরুষের মত
সীমিত সুখের আকাঙ্ক্ষায় সাদা ওড়না জড়িয়ে 
ঝাঁপিয়ে নামা ঝরনার অভিমান 
সূচক হয়েছিল চাহিদার শীর্ষ বিন্দু ছুঁয়ে।

তফাতে যেতে গিয়ে ঝুঁকে পড়ে বৃক্ষশাখাটি
খোলা দরজা দিয়ে ঢুকে আসে একমুঠো 
মায়াবী ভালবাসা, ঘুমন্ত পরীর ডানায় লেখা 
চিরচেনা কিছু স্বরলিপি,  
দোতরায় সুর অনুরণিত হয় অজানা বোধ
সংগোপেন  ললিত রাগিণী!


অনুভব 

বড় দীর্ঘ এই স্হির সময়ের কাঁটা 
দূরে কোথাও শিশুর জন্ম হলো বুঝি
কি পাবে এই অস্হির বাতাবরণে-
তবু নতুন প্রাণের জন্ম হয়, ঝরাপাতা
পড়লে বুঝি কচিপাতায় ডাল পরিপূর্ণ 
হবে? ওগো নিয়তি নিয়ন্ত্রণ বলো 
গ্রীষ্মকালে হঠাৎ উঠে আসা বৈশাখী ঝড়ের 
পূর্বাভাসে মোহময় আলাপে আকাশ 
গেয়ে ওঠে গুরু গুরু গর্জন ধ্বনি-
তারপর বারিষ পতনের মদিরালাপে এ ধরা
আবিষ্ট হয়, সৃজনের তৃষা জাগে বুকে ।

এভাবেই ক্রমাগত চক্রবৎ পরিবর্তন ঘটে
জানি নিরাশার শেষে আছে আশার আলো
ধীরে ধীরে স্নিগ্ধ প্রান্তরে রাতচরা পাখিটি
গেয়ে ওঠে মিষ্টল গান...



0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন