কবিতার কালিমাটি ১০০ |
স্টুপিড
মূর্খ ছোকরা,
বার্গার খায় না
টিফিনে চেবায়
রুটি-চচ্চড়ি,
আর দেদার সয়ে
থাকে খিল্লি;
একাযাপন, মেয়েমানুষ
চেনে না
শখের পাছায়
লাথি কষিয়ে মাথায় ভরে নেয় চোখ
আর একদিন নির্লিপ্ত
মুখে
জুতোর বাক্সে
তুলে রাখা পুঁজি প্লেটে সাজিয়ে
বাপ-মাকে দেওয়াল
থেকে নামিয়ে
ঠিকানা লিখে
দেয় মেহগানি কাঠের দামি ড্রয়ার।
শিক্ষানবিস
সে চিলের শিকারি
আহ্বান শোনেনি কখনও
সে শোনেনি ছিলা
ছিঁড়ে ছুটে যাওয়া হরিণের গান
আদ্যন্ত ব্র্যান্ডেড
চাকরিকে বরফ মাখিয়ে বলে দেয়
নিপাত যা ব্র্যান্ডেড
নরকের কীট!
এরপর গ্রাম
গ্রাম মেঘ সাঁতরে সে ঢুকে পড়ে
ময়ূরপেখম খাসমহলে।
দ্বারপাল পথ আটকালে
ব্র্যান্ডেড
আহাম্মক হাতে ধরিয়ে দেয়
পৃথিবীর অসুস্থ
অবশিষ্টাংশ…
ঝাঁকে ঝাঁকে
উড়ে আসে ঠাকুমার ঝুলির প্রেম।
সুখলেখা
আজ লিখবোই,
এই দেখো কাগজ-কলম
আজ লিখেই ছাড়বো,
এই দেখো অঢেল সময়
লিখতেই তো বসেছি,
কবিতা…
থামো দেখি কতটা
দুঃখভরা আছে কলমে!
খুঁজছি, দুঃখ
খুঁজছি;
একে একে দূরে
সরে যাওয়াদের কথা ভেবেও
দেখি দুঃখ নেই…
এসবই বলল কবি
চোখের, আঁতেল ব্যাগের ছেলেটি
আর তারপর, হাতের
কাগজ-কলম বাগিয়ে
দিলো ব্ল্যাকবেল্ট
হবার প্রতিযোগিতায়, আত্মঘাতী ঝাঁপ।
বাহ।
উত্তরমুছুন