কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৪

১৩) রুদ্র শায়ক

ভূগোল ক্লাস

জ্যামিতির কম্পাস ঘোরাতেই, অবিন্যস্ত কুন্ডল হয়ে যায় আকাশ সমান পরিধি
ভূগোল ক্লাসে বদ্বীপ আঁকতে গিয়ে একেঁছি গোপন চিবুক

বিনম্র চাঁদার কৌণিক রেখা ধরে ঝুলে আছে একটি হৃদয়
চাঁদবুড়ি সাক্ষী;
এ চাঁদা মেপে দেবে মনের বাড়ি
তারপর বোকা শব্দের ঘু ঘু চরে
উড়বে ইচ্ছে ঘুড়ি

একজোড়া চোখ জেগে রবে
তাড়িখোরের লুপ্ত কথা নিয়ে
একজোড়া চোখ ঘুমোবে মৌসুমীর সুরে সুর মিলিয়ে
কার্ণিশে উঁকি দেবে বেওয়ারিশ জোছনা
জানবে না কেউ এসব...



গ্রামসির মেয়ে


গ্রামসির মেয়ে বোধের নূপুর পরে কোন্‌ দিকে যাবে?
ক্যাম্পাস অবরোধ শহরে লাশের মিছিল
আমি মিথ্যা পাগল ঈশ্বর বুঝি না
দেখা হলে বলার কথা বলি না
নিরাপরাধ কলম বুঝে রাতের ভাষা
তোমাকে ভাবলে হাত ফসকে যায়
ওকি বোঝে মনের কথা

স্বপ্ন জাগরণে পারমিতা পাখিকে বলি
নোলকের অবিকল ঝুলে থাকতে চাই
রাত্রিকে দিন ভেবে তোমাকে টেনে তুমি
নিরব প্রকৃতির খামে জেগে ওঠো পাড়া ঘুমোলে
শব্দের ঘুঙুর পরে নাচো... মনের পাতানো জলসায়
                                                          এ আমার ভোগ নয়
                                                                                     উপভোগ তাড়না
স্নায়ুর ওপর শব্দক্ষত যেভাবে করেছে দখল
সে নিয়ম-কায়দায় চাই হৃৎমন্দির
গ্রামসির মেয়ে তুমি; আমি করুণ শব্দশ্রমিক
শব্দমন্দিরে প্রার্থনায় আছি তামাটে রাখাল
উপাসনায় দেখো কতটুকু বাদামী

...যেতে যেতে দীর্ঘ পথে জেগে থেকো গ্রামসির মেয়ে



ঈর্ষা-নগর

বাঈজির পায়ের থেঁতলানো আঙুর চুষতে চুষতে
আমরা হয়েছি কৈশোরের নিয়মানুগ খোকা
কোমর বিছায় ঝলক ওঠে ঠিকই
মীরাবাঈ এ পাড়ায় আর নেই
ঈর্ষা-নগরে বাজে ঘুঙুর
হেরেমখানায় মাতাল দ্বৈরাত্য
বোবাসুরে বন্দির ইতিহাস
কথা কয়
কথা কয়
বাজুর হুকে গাঁথা লুপ্তকথা
আঁচলে ডাকা চেনা ক্ষত
ঔপনিবেশিক প্রতিচ্ছবি আঁকছে ওরা
আলতা পায়ে অচেনা জলসায়


নক্সা কিস্‌সা বাতেলা

পুষ্প সম্ভাবনাময় বৃক্ষমেলায় কোনো কলোনি সংস্কৃতির কথা হবে না
নিসর্গের চিত্রপটে নির্জনে দাঁড়িয়ে অচিনবৃক্ষ
ঢুকে পড়ছে প্রশস্ত বাহু খুলে ছায়ামূর্তির অক্ষিকোটরে।
চৈতন্য তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে নগরীর কোনো জটিল গলিতে

চরকা খেলা বালকেরা কোথায়?
আশ্চর্য জুয়ার নেশায় পড়ে থাকত বৃক্ষের বেদীতে
মনযোগী সে শিল্পীটি কোথায়?
যে ধুরুন্ধর দৃষ্টি দিয়ে মেপে নিত প্রতিমা কল্পিত শেকড়টি

পরাবাস্তব বস্তিতে প্রবীণ তাত্ত্বিক, লোলুপ দৃষ্টি মেলে চেয়ে আছে
শেফালির রহস্য পুকুরে। বাঘবন্দি সময়গুলো যায় না
রাখীবন্ধনে আলোহীন ফ্ল্যাট ঘরে।

নির্ভয়ে শ্রাবণকন্যারা উড়ে বেড়ায়
উত্তাল ঢেউয়ের সাথে পাঞ্জা ধরে।

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন