কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৪

০৪) শুভঙ্কর দাশ

সাবিত্রি

সাবিত্রি আমার দু’কাঁধের অন্ধকারে হাত রেখে
বলেছিল বটে আমার ভবিতব্যের কথা
এই ছাতেই তো!
তবু মাঝে মাঝে
যেমন আজকের এই স্তব্ধ মেঘলা সকালে
টিপটিপ বৃষ্টির মতো
মনে এলো সেই ভয়।
এই শহরতলির প্রায় অন্ধকার ঘরগুলোয়
যখন জানালা খুলে
আমি আলোদের টেনে আনছি প্রাণপণ
হাতছানি দিয়ে ডেকে বলছি এসো হে
এই অন্ধকার আমায় বড় বিষণ্ন করে
বড় ময়লা করে দিয়ে যায়।
কাজের মেয়েটির মতো তবু আলোগুলো
সময় নিচ্ছে দেদার।
আর ছাতা উঁচিয়ে লোকজন
বাজার করতে বেরিয়ে পড়েছে।


দোকান

হেগে মুতে বিছানার সাথে পচে গলে
মারা যাচ্ছে যে লেখক
তার কাছে সহানুভূতি জানাতে আমি
এখনই ছুটে যেতে পারছি না।
মরে গেলে কাঁধ দেওয়ার
চারজন পাওয়া যাবে না জানি
তখন বরং ডেকো।
রাজা ফোন করেছিল
মাপ করে দাও। চলো।
শালা আমি যেন জমাদার!
হৃদয়ের অবিরাম পোঁদ পাতায়
আমারও যেন বিরামের দরকার নেই!
মাপ করুন স্যার, পরে আসুন
আজ দোকান বন্ধ আছে হৃদয়ের,
একথাও বলা বারণ আমাদের।
চল্‌ মঙ্গলবার যাব
মরে গেলে একেবারে কাঁধ দিয়ে
আসা যাবেখন।


ঠিক মাঝখানে

তোমার আমার মাঝে
শুয়ে আছে একটা
কোল বালিশের শীত
একটা চেকনাকার রাত্তির 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন