কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩

প্রশান্ত গুহমজুমদার

 

কবিতার কালিমাটি ১৩১


আপনায়ন

 

বিধেয় রেলগাড়ি, বিশেষত মেল হইলে সবকিছুই কেমন দৌড়বীর গাছ, মাইলপোস্ট, নদীর নাম এবং হত্যা। রঙে অবিবেকী বিরূপতা নাই। ফলত বিবেক দুয়ার হয়, প্রাচীন প্রাকার হয়, রক্তে আর আগ্রহ থাকে না। আমি মার্জার দেখি, দোহনকালে আগ্রহ, বকযথা। আপনায়নে আলপনা দিই। বলি, রক্ত তো খারাপ কিছু নহে, কেবল অতিরিক্ত কিছু। অপেক্ষা করি। সর্বসম্মতি প্রয়োজন। রৌদ্র উল্লাস করিবে, ক্রিপার সামান্য সাহসী, পাতাসব স্নান করিতে করিতে রন্ধনের কূট বিষয়ে তৎপর। সে উদ্দেশ্য প্রকটের কাল। খেলা করিতে করিতে, জ্বর বহিতে বহিতে, অপরূপ হত্যা হইবে। মা দেখিবে। নক্ষত্র সাক্ষী, মিথ্যা বলিতেছি না। অতঃপর কিছু পিঁপড়া ডাকিয়া আনিব। রক্তের সূত্রসব অবিন্যস্ত করিবার ছলে। উদ্দেশ্যকে বিধুর করিবার মানসে। তুমিই কেবল থাকিবে না।  

 

অলিন্দ

 

অনন্য বলিয়া সে এই তুলিয়াছিল। অন্ধকার, ক্ষুধা এবং ভালবাসা মিশ্রিত ছিল সে সাদা। প্রকৃতই ছিল। আবরণে ছিল? রক্তে ছিল না? কুঠারে? অনাদি শ্রমে? চুম্বনে তাহা কিঞ্চিৎ রক্তিম। সামান্য সংশ্লিষ্ট। সন্ধ্যায় তাহা অন্তর হইবে। ধূপে, আল্পনায়, সঙ্গীতে, ভয়ে, বিবেচনায়। পাঁচ আঙুলের পরিচর্যায়। অতঃপর কাঁটাতার, বিবেচনার অধিক ঘৃণা এবং অনন্তর স্বেদ লইয়া ফিরিবেঅথবা ফিরিবে না। শ্বেতপাথরের অলিন্দে কৌতুক ফেরি করিবে। সামাজিক মুখোশের অন্বয়ে।  

 

মৃদঙ্গ

 

শব্দের খাঁচা। অতুল নামিতেছে। অথবা নৃত্যের ঐশ্বর্যে মৃদঙ্গ। ইহাকে এখন রাত্রি। ইহাকে এখন অমাবস্যা। ইহাকে এখন জন্মের আবৃত্তি পাঠ করিতে হইবে। আমি নাচিবে। আমি জারজ, সুতরাং ইহা মদ ও মাৎসর্যে সঙ্গত করিবে। মৃত্যু দেখে নাই। ত্বকের আড়ালে সাদা তরঙ্গ। চামড়ার কোলাহল। জলের অভাব ঘটিলে বরফ আসিবে। বরফের বিকল্পে কোহল। মরু গোলাপের লাল দেখিবে সে এইবার। ঘুমের অভ্যন্তরে সাদা। সাদার আড়ালে অস্বচ্ছ বাতাস। যুদ্ধ তো এ প্রকারেই বিবৃত অদ্যাবধি। হত্যাই শ্রেষ্ঠ আপেল, ইতিপূর্বে যা বহুল আস্বাদিত। অতএব, হে সম্পর্ক, হে পূর্ব, হে ভবিষ্যৎ, কালোর ভিতরে দ্যাখো পোডিয়ামের অনন্ত জিহ্বা। সে, হে আমার মহান আত্মা, এইবার কথা বলিবে এক না-ভাষায়, এক না-গদ্যে। রক্তের আহ্বানে এই রীতিই তো উপযুক্ত।  

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন