অমলেন্দু চক্রবর্তী

 

কালিমাটির ঝুরোগল্প ১২১

আশ্রয়

 

জুঁবাপে যো হ্যায়

লব্জ'মে লাউঁ'তো!

লাউঁ ক্যায়সে?

দরিয়াদিলি জান গ‌ওয়া

নে য্যায়সে হো।

হিম্মত্ ওয়ালা কত্ত্'ই হিম্মৎ ধরে!

 

কথায় আছে না- শের কা শ‌ওয়া শের। বাপের ও বাপ্ থাকে। মন‌ওয়ারি ব্যাপার স্যাপার। এই যে, সংলাপ  যখন হাবি হয়, গল্প তখন থেকেই শুরু হয়ে যায়। শব্দ কারও ধার ধারে না বালাসোর ওড়িষার ভয়ঙ্কর শব্দের চরাচর কাঁপিয়ে দেওয়া, ট্রেন দুর্ঘটনা। করমন্ডল সহ তিনটি গাড়ির। গ্রীষ্মের খরতাপ কয়েক দফা রাতদিন।  মানুষ পচার কটু গন্ধেও মানুষ সেখানে উদ্ধার কাজ। সব‌ই মানুষ। কতশত হৃদয় লাল রোহিতাশ্বের স্রাবে রক্তাক্ত। তখনো দৈনন্দিন সূর্যদয় সূর্যাস্ত। এসো যাতনার ভৈরবী গেয়ে উদ্ধার কারীদের মতো। বিরহীর আলাপ মৌনমাতন পিরামিড গড়ি। সময় আসে সময় চলে যায়। থেমে থাকা হয়! কি? ছবি কুয়াশার মতো স্মৃতিও।

—বাবুরা, আমাদের ঘরের ছেলেটার কিছু কি পাওয়া গেল।'

—নাহ্

—ট্রেনে ফেরি করত। এই কদিন আমাদের, দিনরাত এক হয়ে' রয়েছে। বৌটাকে বোধহয় আর বাঁচানো যাবে না। ভরাপুয়াতি' মেয়া। ছেলেটার কি মায়া গো আহ্ ঈশ্বর, সমসারটাকে কি করে সমসারে'র মতো রাখতে হয়। জাদুমন্ত্রের মতো রাখা' আছে। সে নাই আর্ত'চিৎকার লুকোনো ব্যথা। শুধু শুকনো চোখে ছিটকে বেরুনো চোখের পাতায় শিশিরের মতো বিন্দু বিন্দু। বিবর্ণ ঝাপসা আলোকময় কুটির, অসহায়।

—দিনরাত এক'করে পরিশ্রমিক করা জুয়ান বেটা আমার, দেখেছো কি তোমরা কেউ। লাড়াই ছিল তার জীবন'জুড়ে। বাপ্'টা সেই কবেই ! তিনটাই তো প্রাণী গো; স্বপ্ন বুনে রাখাছিল সবার সঙ্গে। আমার, বৌয়ের, সে নিজের মতো করে। বৌ'টা বাঁচলেও পাগল হয়ে যাবেই। ভরা'পুয়াতি মেঝটায় গড়াগড়ি একফোঁটা জল জীভে ঠেকায়নি। উকে বাঁচানো যাবেনি। খর'বাতাস যেন বা আগুন সর্বগ্রাসী। সোঁ সোঁ শব্দভেদি বাণ। সনসন সনসন্ এক গাঢ় হলুদ নির্জন' নিস্তব্ধতা। দুচোখে ঝাপসা বিশাল দিগন্ত, পর্বত'প্রমাণ অসময় কটিমাত্র প্রাণ প্রতীক্ষায় শেষ দেখার তরে। অভাগা যেদিকে চাই সাগর ও...

তামাটে শীর্ণ' শরীরে আরো স্থির দুই চোখ পলকহীন অভিশপ্ত আতুর ভেজা মন। কাকে সে এত কথা! কেউই তো নেই আসেপাশে মরুভূমির মতো জন'মানব শূন্য! আছে ঐ দূরে দেয়ালে মতো বৃক্ষদল, সর্বংসহা  প্রাণ। দুঃখের রাত্রি বড়‌ই নিষ্ঠুর দীর্ঘ, অংহকারি ব্যথা ঢেউ মুহুর্মুহু আছড়ে পড়ে। সংলাপের বিলাপ বিলাসী।  অনন্ত অপেক্ষা সময়ের বিলীয়মান দূখদ অবস্থার। মানবতার এতবড়ো শত্রুওতো মানুষ। তা হকিকাত্ চলবে যেমন চলে। দলবাজিও তাই।