কবিতার কালিমাটি ১২৬ |
নবজাতক
নবজাতক চোখ
মেলে দেখছে
এই পৃথিবী
বিশুদ্ধ বাতাস
চাইছে
আলো চাইছে
জল চাইছে
সে একদিন উর্বিরূহ
হতে চায়
তার ভেতরেও
ঘুমিয়ে আছে
আরও একটা উর্বিরূহ
চক্রের মতো
এই জীবন
সে একদিন ছায়া
প্রসারিত করবে
তার তরুতল শীতল
ভূমি হয়ে যাবে
ঊর্ধ্ব আকাশ
জুড়ে যে বায়ু প্রবাহিত হবে
প্রসারিত ডালপালা
দিয়ে
দিক থেকে দিকে
ছড়িয়ে দেবে
এখন এই বসুন্ধরা
জুড়ে অমানিশা
কোন আলোক রেখা
নেই
দিগন্ত বিচ্ছুরিত
অবিশ্বাসের বাতাবরণ
কারও কোন হৃদয়ের
ভেতর
আগমনী সুর বাজে
না
একটা অসহায়তা
সমুদ্রশব্দের মতো
পাড় ভেঙে দিয়ে
যায়...
তবুও নবজাতক
চোখ মেলে দেখছে...
একটা শুধু অঙ্গীকার
তিনদিক জলবেষ্টিত
ভূখণ্ডে
একটা উত্তরণের
ইতিহাস
ছড়িয়ে আছে আবহমান
কাল জুড়ে
পরাধীন, ভারী
বুটের শব্দে রাজপথ
শহর, গ্রামগঞ্জ-এর
বাতাসে আগুন
এক অসহনীয় পরিস্থতির
ভেতর
একটা দেশ ও
তার অধিবাসী
কথাহীন মুখ
শূন্য দৃষ্টিপাত
শুধু শ্রাবণধারার
মতো ঝরে যেত
অবশেষে মুক্তি
শিখল ছেঁড়া মেঘের মতো
উড়তে উড়তে দিকহীন
এক নিশানায়
রাজতন্ত্র থেকে
সাধারণতন্ত্রর দিকে
একটা নির্দিষ্ট
উত্তরণের পথ ধরার অঙ্গীকার
গুমোট হাওয়ার
মতো পেরিয়ে যাওয়া
শতাব্দীসময়
পল অনুপল ভেঙে ভেঙে
রাজপথ জুড়ে
আজও সমরসজ্জা
একটা ভাবী কালের
জন্য অঙ্গীকার
সবার জন্য হয়ে
উঠবে এই ভূমিপ্রান্ত
হাতে হাত রেখে
হয়ে যাবে আনন্দময় জীবন
তবুও নামে চোখে
তিমির অরণ্য
দৃশ্যলোকে বিভেদময়
সমাজ জীবন
গড়িয়ে যাওয়া
আরও একটা
সকাল থেকে শীতসন্ধ্যা...
অনুরূপ ভারতবর্ষ
পবিত্র জলধারা
তার পাশে জনপথ
একটা ভূমিক্ষেত্রে
জুড়ে কত শতাব্দীর গল্প
এই জলধারায়
ছড়িয়ে আছে গোমতীচক্র
একটা আস্থা
যেন আবহমান কাল জুড়ে
একটা ইতিহাসে
বার বার আলোড়িত ভূমিতলে
আর সেখানেই
এসে মাঝে মাঝে দাঁড়াই
উপলব্ধিতে আসে
একটা মায়াটান ভূমিপ্রান্তে
একটা বিশ্বাস
অতিপ্রাকৃত রাজ্য জুড়ে
এখানে আকাশের
মতো ছড়িয়ে আছে বহুত্ববাদ
অনেকটা স্থির
প্রত্যয় নিয়ে গাছের মতো
বিবিধ বর্ণের
সমাহারের এক নিশ্চিন্ত আশ্রয়
যেন হয়ে ওঠে
আসমুদ্রহিমাচলের ভারতবর্ষ
ভালো
উত্তরমুছুন