কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩

নিমাই জানা

কবিতার কালিমাটি ১২৬

 


প্রোলাক্টিন বিষয়ক পাখি ও অদৃশ্য মহাজনপদের মনুবীজ

প্রোল্যাকটিন বিষয়ক সব পাখিরা রাতের হোমকুন্ডলী থেকে উৎসারিত চরু জাতীয় ক্ষারীয় পদার্থ মহানন্দে খেয়ে নেওয়ার পর আমি এক বাটিটাকির মতো গর্ভদেশে গিয়ে নীল অব্যয় চিহ্ন রেখে আসি, আমার শরীরে অদৃশ্য মহাজনপদ গজিয়ে উঠছে

ভূকম্পনে সতিচ্ছদ ফেটে গেলেও পৃথিবীর মনু বীজেরা একটা দিব্য বিমানে করে আকাশ পাড়ি দিচ্ছে অযোগবাহ শ্মশান যাত্রীদের মত, আমরা বারবার সেলুলাইসিসের ভেতরে পুঁজ ঘাম রক্তরসের লিম্ফাটিক ক্ষত মুখের কাছে চৈতন্যতলা আবিষ্কার করি বুকের তৃতীয় পাঁজর দিয়ে মৃত্যুকে বারবার শীতকাল বলে মনে হয় আমার, গায়ের কাপড় এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে তৃতীয়বার সমুদ্রের পিচ্ছিল ইস্ট্রোজেন সম্ভোগের পর

ঈশ্বর মৃদু হলদে রংয়ের কাচ পাত্রের ভেতরে থাকা সাপের বিষময় পাত্রের পিচ্ছিল হিসহিসে গলিত ব্যাকটেরিয়াল বিষয়ক অযৌন ব্যাবিলন প্রদেশের ধূসর খন্ডটিকে নিয়ে শূদ্রহীন থার্মাল ঘরের ভেতর ঢুকে যায় আমি শুধু ডিম্ব কোষের নীল রুদ্রেশ্বর  চিহ্ন নিয়ে অসুখের ম্যালপিজিয়ান দাঁত ছুঁড়ে দিচ্ছি অগ্নি শলাকার দিকে

জননতন্ত্রের নিচে যারা রাতের গোপনাঙ্গ ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায় তারা জোনাকির আবহবিকার শেষে কোন এক গলিত মৎস্যগন্ধার আবরণ হীন স্নায়ুতন্ত্রের কোষীয় অঙ্গানু নিয়ে ধৈবত উপমহাদেশে চলে যায়

 

তৃতীয় ব্রহ্মা ও অ্যালকোহলিক জিরাফের ক্রনিক অসুখ

ব্রহ্মার মতো জৈবনিক মানুষেরা অ্যালকোহলিক পদার্থগুলো লুকিয়ে রাখার নামে প্রতিবন্ধী অসুখে পরিণত হয়ে যায় পশ্চিম বাড়ের মতো ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে যাওয়ার পর,

আমার বুকে অ্যাসপিরিন মেশানো রক্ত তঞ্চনের নীল জিরাফ গুলো হলুদ অন্তর্বাস ফেলে আসা গোপনাঙ্গের ভেতর একসাথে লাল দ্রবণ ফুলের মতো শর্করা ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে,

আমরা শুধু লাল বাণপ্রস্থের মতো হিমাঙ্কের ভেতর বসে থাকা পিঁপড়ের কাছে কৃষ্ণ গহ্বর খুঁজে বেড়াই আজ ও দশমযোজন চিহ্নের  আগুন মৌলের মতো, শুকদেব বৃষ্টিতে ভেজার পর গুপ্ত পুরুষের ও শ্মশানে কালো ধান বীজ গজিয়ে ওঠেনি ঈশ্বর জিনোমের মতো

আয়ুকে সর্বদাই বংশগতির থার্ড ফিরা জেনারেশন মনে হয় একটা মৃত মানুষ বুকের উপরে কতগুলো জননতন্ত্র নিয়ে ঘুমিয়ে থাকে দুই হাতে কৃষ্ণ গ্রহণ খুঁজে বেড়াচ্ছি আমার প্রহর কেন্দ্রে ঈশ্বর রোপন করে গেছে

ডোরাকাটা আপেল ফলগুলো ঝুলে আছে মৃত্যুর সম্ভবামীর মতো

চাঁদের মত আর কোন কাপালিক নেই বলে একটা সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত পুরুষের শরীরে বারবার গর্ভাধান ঘটে যায়, মিথোজীবী কাঁকড়াবিছারা আমার বাবার বিছানার দিকে উঠে আসছে ৮৫ সেন্টিমিটার সাদা গেঞ্জি গায়ে দিয়ে,

 

সঞ্জয় রানা ও ক্লোরামফেনিকল চোখের আবহবিকার

সঞ্জয় রাণা নামক এক স্থলপদ্মের নাবিক পৃথিবীর মাইগ্রেন জাতীয় মস্তিষ্কের অসুখ সারিয়ে দিচ্ছে অগ্নুৎপাত মেশানো ২° শীতল চন্দ্রকোনায় দাঁড়িয়ে

শিবালিক আবহবিকারের নিচে দাঁড়ানো সরলবর্গীয় সাপেরা অদ্বৈত চিহ্নের অসুস্থ কথার উপর অদিতি পুরের স্বর্গ নিয়ে বারবার নীল সমুদ্র গর্ভে স্নান সেরে নেয়,

গলার কাছে যৌন চিহ্নের মতো আর কোন ক্লোরামফেনিকল দাগ থাকে না বলে আমরাও শমী গাছের তলায় কৃষ্ণের ধারালো অস্ত্র সকল রেখে আসি, পুরোহিত নপুংসক হয়ে যাচ্ছেন চন্দ্রবোড়া সাপের মতো

মৃত প্রহরের থাইরক্সিন দৈর্ঘ্যের নীল কাপালিকেরা এক একটা জিংক সালফাইটের মত রক্তাক্ত খাদক রাতের নভোমন্ডল ছাড়িয়ে সপ্তর্ষি ক্ষেত্রফলে মিশে যায়,

আমি একটা বৃত্তীয় পথের উপপাদ্য ছেঁড়া দাঁত নিয়ে নিজের সরলবর্গীয় ফাটলের ভেতর ঢুকে যাই রাতের অন্ধকারে গেস্টাপো বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে,

দুটো শিংওয়ালা নভশ্চর কালো কাগজ ফুলের মত পোশাক রেখে একটা দীর্ঘ জ্যোতিচিহ্ন হয়ে যাচ্ছে, আমার নবম বাবার গর্ভাধান বিষয়ক পোশাকটির নিচে টিকটিকিরা লাল অগ্নিবলয় উড়িয়ে দিচ্ছে লজ্জাবতী ছায়ার মতো কাল্পনিক সাপ আমার নাভির চারদিকে আঙ্গুল দিয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বের করছে

রাতের মধ্যম প্রহর হলে সঙ্গম ঘোর অতিক্রান্ত ঘোড়াদের শিরশ্ছেদের পর নীল গোলাপ ফুলের চাষাবাদ করছে আমার পাঁজরের কাছে তেরো জন মৎস্যগন্ধা, অষ্টবসু ও তেত্রিশজন মিশরীয় নারী, নীল সরীসৃপের মতো ধারালো কাগজ ফুলের নারীরা উত্তল লেন্সের ভেতর ঢুকে যাচ্ছে অ্যাক্রেলিক বিশেষ্য পদের মতো ইছামতির আবছায়া শরীরটা নৌকা চালিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে গলিত কৃষ্ণনগর থেকে 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন