কবিতার কালিমাটি ১২৬ |
উড়ে যায় সব, বাতাস উদাসী
ইদানিং অবাধ্য
জনকোলাহলে
তোমাকে কেমন
যেন অবশ্য দেখেছি
মৃতগন্ধপূঁতিময়
আর
অবিচল ঝড়ের
বাতাসে
উড়ে যাও নরক
অবধি
কার ঘটে নষ্ট
ভ্রুণ কে রাখে আমার নামে
বিপন্ন আভাস
কেন তাড়া করে ফেরে
জলমগ্ন পদ্ম
কেন দাঁড়ায় হঠাৎ
কে যেন লুকালো
মুখ আড়ালে তাহার
আমি কি অভ্রান্ত
পরাস্ত সহিস
নিজস্ব শ্মশানে
ঘুরি, আর
বিলি করি দাহপত্র
স্বকীয় স্বভাবে
কার স্নানে
জল হলো বিরক্ত প্রবল
দুঃখ কার অবিরত
অচলধ্রুবম
আমি বহু বন
এড়িয়ে পেরিয়ে
কেন জানি শেষতক
শ্বাপদ হলাম।
জলগত দুঃখ আসে কাছে
প্রতিপক্ষপাত
আছে
বহুবর্ণী দেশীয়
বিদ্বেষে
চোখমগ্ন ঘৃণা
থাকে
তোমাদের অতিঅগ্রসরে
আর আমি পিছনে
সারিতে
অবিকল বসে থাকি
পাহাড় যেমন
কেউ ভেসে আসে
উঠোনে আমার
যে কিনা অবাধ্য
জল উপজাত
বিষ হতে কার
ইচ্ছে হয়
কেবল প্রণয়দাহে
কার অভিরুচি
নিবিড় অপেক্ষা
শেষে
কার হাতে জলপদ্ম
উঠে
জলের পিপাসা
দেখে
হতবাক হয়ে
আছি আমি
জিজ্ঞাস্য কিছু
থাক সমুদ্রজনে।
জলক্ষয়
অভিন্ন জলের
সহঘাতে
তুমি বরফের
খুব কাছাকাছি
তমোতে সুস্থির
জড়
জলকণা অতিরিক্ত
প্রণয়বিলাসী
অন্ধ হলো আমাদের
ব্যসন-কামনা
দারিদ্র্য আসছে
ফিরে কল্পনাবিহীন
আকালের দেশে
আর আহার হবে না
সন্তরণ করে
যাই, যেখানে দুঃখ গহীন।
kubh bhalo laaglo
উত্তরমুছুন